মহান আল্লাহ বলেন,
অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তাঁর রসূলের স্বপ্ন সত্যে পরিনত করে দেখিয়েছেন,অবশ্যই তোমরা আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় নিরাপদে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে,তোমাদের কতখন থাকবে মাথা মুণ্ডন করা অবস্থায় আবার কেউ থাকবে মাথার চুল কাটা অবস্থায়। সূরা আল ফাতহ:২৭
কুরবানীর পশু কুরবানী করার স্থানে না পৌছা পর্যন্ত তোমরা মাথা মুণ্ডন করো না। সূরা আল বাকারা: ১৯৬
রাসূল স. বলেছেন, হে আল্লাহ, মাথা মুণ্ডন কারীদের মাফ করে দাও। সাহাবীরা বললেন, চুল কর্তনকারীদের? তিনি বললেন: হে আল্লাহ, মাথা মুণ্ডনকারীদের মাফ করে দাও। তারা বললেন, চুল কর্তনকারীদের? তিনি তৃতীয়বারও বললেন, মাথা মুণ্ডনকারীদের মাফ করে দাও। এরপর বললেন, চুল কর্তনকারীদের মাফ করে দাও। সহিহ বুখারী:১৭২৭
হজ্জ ও উমরা উভয় ইবাদাতের ক্ষেত্রে ওয়াজিব।
শুধুমাত্র উমরা পালনকারীর জন্য সাঈ শেষে চুল কাটা ওয়াজিব।
তামাত্তু হাজীদের জন্য উমরা শেষে সাঈ করার পর চুল কাটবে কিন্তু ইফরাদ ও কিরান হজ্জকারী তাওয়াফে কুদুমের পর সাঈ করে চুল কাটবেনা,তারা ইহরাম অবস্থায় থাকবে। তারা চুল কাটবে আরাফা, মুজদালিফা থেকে ফিরে এসে কঙ্কর নিক্ষেপ ও কুরবানী করার পর।
- টাক মাথার লোকও ক্ষুর বা ব্লেড দিয়ে সেভ করবে।
- চুল কাটার কাজ বারবার সপ বা হোটেল কক্ষেও করা যাবে।
- হারামের সীমানায় যেকোন জায়গায় চুল কাটতে পারেন তবে উত্তম হলো উমরা পালনকারী মারওয়ার আশে পাশে এবং হাজী মীনায় থাকা অবস্থায় চুল কাটা।
- লোম নাসক তেল বা কোন ঔষধ দিয়ে চুল তুলে ফেললে,চুলকাটার হুকুম পালন হবে তবে সুন্নাত হলো চুল কাটা বা কামানো,তুলে ফেলা নয়। তাই তা সুন্নাতবিরোধী কাজ বলে বিবেচিত হবে।
মাথা মুণ্ডানো বা চুল কাটা সংক্রান্ত ভ্রান্তিসমূহ
১. মাথার কিছু অংশ কামানো।
২. মাথার একদিকের কয়েকটি চুল কাটা। এটি
“তোমাদের কেউ কেউ মস্তক মুণ্ডিত করবে আর কেউ কেউ কেশ কর্তন করবে।” আয়াতের বিধানের বিরোধিতা।
৩. ‘উমরা আদায়কারী মাথা নেড়া করা বা চুল কাটার আগেই ইহরামের কাপড় খুলে ফেলা।