যারা ৮ই যিলহজ্জের অনেক আগে মক্কা যেয়ে থাকেন, তামাত্তু হজ্জের জন্য উমরাহ হয়ে গেলে এখন শুধু মসজিদে ৫ওয়াক্ত সালাত আদায়, তাহাজ্জুদ, যিকর, কুর’আন তিলাওয়াত, দোয়া-দরুদ পড়া সহ বেশী করে তাওয়াফ করা উত্তম। একমাত্র তাওয়াফ ইবাদাতটি কাবা ঘরকে কেন্দ্র করেই হয় তাই এই ইবাদাতটি বেশী করে করা প্রয়োজন। হজ্জের কিছুদিন আগে থেকে আবার শরীরের বিশ্রাম ঠিক রেখে সুস্থ্য থাকার চেষ্টা থাকতে হবে কারন হজ্জের মূল কাজগুলো ৮ই যিলহজ্জ থেকে শুরু হবে,তখন অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ৫ ওয়াক্ত সালাত জামায়াতে আদায় করার মাধ্যমে সারাদিনের একটি নিয়মানুবর্তিতার মাঝে সময়কে আনতে হয়। সময়ের ব্যবহারের ক্ষুদ্র পরিকল্পনার নমুনা দেয়া হলো যা থেকে আপনাদের কোন উপকারে আসতে পারে বা নিজেরা সময়কে কি ভাবে কাজে লাগানো যায় তার একটি চিত্র পেতে পারেন। প্রতিদিন যা করা যেতে পারে–
সকাল ১০-১০:৩০ টার মাঝে গোসল সেরে একটি ফ্লাস্কে চা নিয়ে ও একটি বক্সে ( আপেল,শসা,গাজর) ছোট করে কেটে কাধের ব্যাগে নিতে পারেন যা দুপুরের খাবারে কাজে লাগবে। তারপর চলে যান হারাম শরীফে।
এমন একটি জায়গা বেছে নিন যেন কাবা ঘরটি চোখে দেখা যায়, না পেলেও সমস্যা নেই। তবে কাবা ঘরের দিকে তাকিয়ে থাকাটাও অনেক রহমতের। তারপর যোহর ও আসর নামাজের মাঝে সময় কম থাকে বিধায় দুপুরের খাবার সামনের দোকান থেকে প্যাকেট নিয়ে সালাদ দিয়ে বাইরে বসে খেয়ে ফেলতে পারেন।
আবার সেই জায়গাতে যেয়ে বসে যিকির কুর’আন পড়ায় বসে গেলেন। আসর থেকে মাগরীবের সময় অনেকেই তাওয়াফ করতে পারেন অথবা ইশা নামাজের পর তাওয়াফ করলেন।
আসরের পর খেজুর / বিস্কুট ও চা খেয়ে আবার দোয়া দরুদে সময় কাটান।
ইশা নামাজের পর তাওয়াফ করে রুমে ফেরার পথে খাবার খেয়ে ফিরুন। রুমে এসে গোসল সেরে বিছানায় শুয়ে পড়ুন।
ভোর রাতে ২.৩০-৩.০০ টায় আবার তাহাজ্জুদের জন্য চলে যান কাবা ঘরে, চেষ্টা করুন সুযোগ থাকলে হাতীমের ভিতর ২ রাক’য়াত নফল নামাজ পড়ার ও হযরে আসওয়াদে চুমো দেয়ার।
তারপর ফযর পড়ে এশরাক বা চাশতের নামাজ পড়ে তাওয়াফ করে আবার রুমে ফিরে যান। যাবার পথে দুধ বনরুটি বা নাস্তা নিয়ে রুমে যেয়ে নাস্তা খেয়ে শুয়ে পড়ুন কিছুক্ষন বিশ্রামের জন্য। ২-৩ঘন্টা পর আবার আগের মতই সময়কে কাজে লাগান।
সকালে নাস্তার জন্য অনেক সময় হোটেলে সময় চলে যায় তাই এইক্ষেত্রে চিড়া দুধ বা দুধ রুটি ভালো।
এই ভাবে দিনে দুইবার বা একবার অন্তত তাওয়াফ করে রুমে ফিরুন।
হজ্জের দিনগুলোর ৪/৫দিন আগে থেকে তাওয়াফ না করে শুধু ৫ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতে আদায় ঠিক রাখুন।
এই সময় খাওয়া দাওয়া ঠিক রেখে ঘুম পর্যাপ্ত রেখে সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করুন ও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকুন যেন হজ্জের কার্যক্রম আদায়ে সুস্থতা রাখেন।