দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে
**রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় নবী(সঃ) বলতেন
«سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ».
(সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ)।
“যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শুনুন (কবুল করুন)।” বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/২৮২, নং ৭৯৬।
«رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ».
(রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি)
“হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।”[বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/২৮৪, নং ৭৯৬।
“একদিন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করছিলাম, যখন তিনি রুকু হতে মাথা উঠান তখন বলেন, سمع الله لمن حمده ، ‘আল্লাহ শোনেন তার কথা যে তার প্রশংসা করে’ এ কথা শোনে পেছন থেকে একলোক বলল, ربنا ولك الحمد حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه ‘হে রব, তোমার জন্যই অধিক প্রশংসা যা পবিত্র ও বরকতময়’। অতঃপর যখন রাসূল সালাত শেষ করলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ কথাটির কথক কে? লোকটি বলল, আমি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ত্রিশের অধিক ফেরেশতাকে আমি দেখছি, তারা কে প্রথমে সাওয়াব লিখবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে”। বুখারি ২/২৮৪।
কোন ব্যক্তির নামায সে পর্যন্ত শুদ্ধ হয় না, যে পর্যন্ত না সে তাকবীর বলে রকু থেকে সম্পূর্ন সোজা হয়ে সামিয়াল্লাহুলিমান হামীদাহ বলে। সহীহ আল বোখারী