আসন্ন রামাদানে আমাদের প্রায় সকল এলাকাতেই মসজিদগুলোতে খতমে তারাবীহ সালাত আদায় হয়। কোন কোন জায়গায় ছোট ছোট সূরা দিয়ে সূরা তারাবীহ আদায় হয়ে থাকে।
তারাবীহ সালাত রাক’আত সংখ্যা নিয়ে যদিও অনেক মতভেদ দেখা যায় তবে যেহেতু এটি সুন্নাত/নফল সালাত, রাক’আত মতভেদকে উপেক্ষা করেই আমাদের যার যার সহিহ রেফারেন্সে সালাত আদায় করাতেই ইন শা আল্লাহ মহান রবের কাছে সওয়াব পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে একেকদিন কুর’আনের যে অংশটুকু পড়া হয় তার অর্থগুলো আমরা সেইদিনই যদি পড়ে সালাতে যাই তাহলে সালাতে মনোযোগ আসবে ইন শা আল্লাহ। সেই অংশের উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত ও দু’আ সমূহ তুলে ধরার চেষ্টা রইলো। প্রতিদিনের সেই অংশ থেকে শিক্ষা আমরা নিজের ও পরিবারে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেই, নিজেকে রাংগিয়ে তুলি কুর’আনের আলোকে। নতুন করে সুন্দর খালেস বন্দেগীতে নিজেকে সপেঁ দেই মহান রবের দরবারে।
যে উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য এই নিয়ামতটি(কুর’আন) দান করা হয়েছিল তাকে পুর্ণ করার জন্য নিজেকে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত করা দরকার। কুর’আন আমাদেরকে এই উদ্দেশ্যে দান করা হয়েছে যে, আমরা এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টির পথ জেনে নিয়ে নিজেরা সেই পথে চলবো এবং অন্যদেরকেও সেই পথে চলার আহবান জানাবো। এভাবে নিজেদের তৈরী করার সর্বাত্মক মাধ্যম হচ্ছে রোযা। কাজেই কুর’আন নাযিলের মাসে আমাদের রোযা রাখা কেবল ইবাদত ও নৈতিক অনুশীলনই নয় বরং সেই সাথে কুর’আন রূপ নিয়ামতের যথার্থ শুকরিয়া আদায়ও এর মাধ্যমে সম্ভব।
মহান আল্লাহ বলেছেন:
রমযান মাস এতেই নাযিল করা হয়েছে কুর’আন, মানুষের জন্য হিদায়াত স্বরূপ এবং হিদায়েতের সুস্পষ্ট নিদর্শন ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে পাবে মাসটি, সে যেন এতে রোযা রাখে।
বাকারা: ১৮৫