উমরাহ
অনেকে শুধু উমরা করতেও মক্কায় সফর করে থাকেন বছরের অন্যান্য সময়ে। হজ্জের উদ্দেশ্যে যাবার পরও উমরা করতে হয়।
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: এক উমরাহ আদায়ের পর পরবর্তী উমরাহ আদায় করা (এ দু’ উমরাহর) মধ্যবর্তী গোনাহসমূহের জন্য কাফ্ফারা। আর মকবুল হজ্জের (যে হজ্জ আল্লাহর কাছে কবুল হয়) পুরস্কারই হচ্ছে জান্নাত। সহীহ আল–বুখারী:১৬৪৭
মহান আল্লাহতা’আলার সন্তুষ্টি ও রাসূল(সঃ) এর দেখানো নিয়মে সব কাজ করতে হবে, তবেই সেই কাজ আমলে সালেহ এর মাঝে গন্য হবে ইনশা’আলাহ।
উমরার জন্য ফরয কাজ তিনটি—
১। নিয়্যত মুখে উচচারন করে করা- আল্লাহুম্মা লাব্বায়িকা ঊমরাতান/ লাব্বায়িকা ঊমরাতান
২। কা’বা ঘরের তাওয়াফ করা।
৩। সাফা-মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা।
উমরার জন্য ওয়াজিব কাজ দুইটি—
১। মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা (বাংলাদেশীদের জন্য ইয়ালামলাম যা একটি পর্বতের নাম)
২। হালাক বা তাকসীর অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে পুরুষরা মাথা নেড়া বা চুল ছোট করা এবং মহিলাদের জন্য চুলের গোছার শেষাংশ থেকে আংগুলের মাথার শেষ গিট(এক আংগুল) পরিমান চুল কাটতে হবে বা সমগ্র চুল একত্র করে ঐ পরিমান কাটতে হবে।