মহান আল্লাহ বলেছেন,
তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে, (যেমন) মাকামে ইবরাহীম। আর যে তাতে প্রবেশ করে সে নিরাপদ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে যাদের সেখানে যাবার সামর্থ আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ্জ করা তাদের উপর অবশ্য কর্তব্য। এবং কেউ (তা) প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন। সুরা আলে ইমরান: ৯৭
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ প্রসঙ্গে যা বলেছেন, তার মধ্যে দু’টি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে:
আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার জন্য পথের সম্বল এবং বাহন যার আছে সে যদি হজ্জ না করে, তবে এ অবস্থায় তার মৃত্যু ইহুদী ও নাসারার মৃত্যুর সমান বিবেচিত হবে।
সহীহ জামে আত তিরমিযী
যার কোনো প্রকাশ্য অসুবিধা নেই, কোন যালেম বাদশাও যার পথ রোধ করেনি এবং যাকে কোন রোগ অসমর্থ করে রাখেনি – এতদসত্ত্বেও সে যদি হজ্জ না করেই মরে যায়, তবে সে ইয়াহুদী বা খৃষ্টান হয়ে মরতে পারে। দারেমী,বায়হাকী,যাদে রাহ-৫২
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা.হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত:
১। এ সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই আর এ সাক্ষ্য দান করা যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রাসূল।
২। নামায প্রতিষ্ঠা করা
৩। যাকাত প্রদান করা।
৪। রামাদানে সিয়াম পালন করা
৫। এবং আল্লাহর ঘরের (কাবা ঘর) হজ্জ করা
সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিম
হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বাখ্যা করে বলেছেন:
সামর্থ থাকা সত্ত্বেও যারা হজ্জ করেনা, তাদের ওপর জিজিয়া কর আরোপ করতে ইচছা হয়, কারণ তারা মুসলমান নয়, মুসলমান নয়।
আল্লাহ তায়ালার উল্লিখিত ইরশাদ এবং রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তারঁ খলিফার এ ব্যাখ্যা দ্বারা প্রত্যেকেই বুঝতে পারেন যে, হজ্জ করা সামান্য ফরয নয়। তা আদায় করা না করা মুসলমানদের ইচ্ছাধীন করে দেওয়া হয়নি।বস্তুত যে সব মুসলমানদের কা’বা পর্যন্ত যাওয়া আসার আর্থিক সামর্থ আছে ,শারীরিক দিক দিয়েও যারা অক্ষম নয় তাদের পক্ষে জীবনের মধ্যে একবার হজ্জ করা অবশ্য কর্তব্য । তা না করে কিছুতেই মুক্তি নেই।