আল্লাহর আহবানে বায়তুল্লাহর অতিথির সাড়া-“হে আল্লাহ আমি হাযির-২৭ একনজরে মহিলা ও পুরুষ হাজীদের মধ্যে পার্থক্যসমূহ

একনজরে মহিলা ও পুরুষ হাজীদের মধ্যে পার্থক্যসমূহ

 

মহান আল্লাহ মহিলা পুরুষের মাঝে সৃষ্টিগত যেমন কিছু পার্থক্য রেখেছেন তেমনিভাবে তাদের সৃষ্টি ও শক্তি-সামর্থ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবাদতের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয়ে পার্থক্য করেছেন।

আমরা যদি হজের আহকামসমূহের প্রতি তাকাই তাহলে দেখতে পাব যে, এ পার্থক্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে তিনটি বিষয়:

১- মহিলাদের উপর পুরুষদের দায়িত্বশীলতা

২- মহিলাদের হায়েয ও নেফাস জনিত সমস্যা

৩- মহিলাদের পর্দা ও অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ

 

১- মহিলাদের উপর পুরুষদেরকে মহান আল্লাহ দায়িত্বশীল ঘোষণা করেছেন। আর সে কারণে যে যে বিষয়ে মহিলারা পুরুষদের থেকে ভিন্ন তা হচ্ছে:

  • নফল হজের জন্য মহিলাদেরকে তাদের স্বামীর অনুমতি নিতে হবে।
  • ফরজ হজের জন্য মহিলাদেরকে তাদের স্বামীর অনুমতি নেয়া মুস্তাহাব।
  • কোন মহিলা ইদ্দতে থাকলে সে হজের সফরে যেতে পারবে না।

 

২- মহিলাদের হায়েয ও নেফাসজনিত সমস্যার কারণে যে যে বিষয়ে মহিলারা পুরুষদের থেকে ভিন্ন তা হচ্ছে:

  • হায়েয-নেফাস অবস্থায় মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • হায়েয-নেফাস অবস্থায় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে পারবে না। [তবে যে অবস্থা সম্পর্কে পূর্বে আলোচিত হয়েছে সেটা ভিন্ন]
  • মক্কা ছাড়ার সময় কোন মহিলা হায়েয-নেফাস অবস্থায় থাকলে তার আর বিদায়ি তাওয়াফ করা লাগবে না।

 

৩- মহিলাদের পর্দা, ইজ্জত আব্রুর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তারা পুরুষদের থেকে যে যে বিষয়ে ভিন্ন তা হচ্ছে:

  • মাহরাম ব্যতীত সফর করা মহিলাদের জন্য জায়েয নয়।
  • যদি হজের কর্মকাণ্ড শুরু করার পর কারও মাহরাম মারা যায় তবে তিনি তার হজ কমপ্লিট করে নেবেন।
  • মহিলাগণ হাত মোজা ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • এমন বোরকা ব্যবহার করা যাবে না যাতে মুখ ঢাকা পড়ে যায়।
  • মহিলাগণ হজে স্বাভাবিক অবস্থায় মুখ ঢাকতে পারবেন না।
  • যদি গায়রে মাহরাম তাদের সামনে এসে যায় তখন তারা মুখ ঢেকে ফেলবেন।
  • মাথার উপর থেকে ঢেকে রাখার মত কাপড় রাখা যাবে যা প্রয়োজনের সময় নীচে নামিয়ে ফেলা যায়।
  • নেকাব পরতে পারবে না।
  • মহিলাগণ অলংকার ব্যবহার করতে পারবেন।
  • সুগন্ধি নেই এমন সৌন্দর্যমূলক কিছু পরতে পারবেন। তবে না পরা ভাল।
  • মেহেদি ও খেজাব ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সুগন্ধি মিশ্রিত হতে পারবে না।
  • বড় ও উঁচু স্বরে তালবিয়া পাঠ করবে না।
  • অনুরূপভাবে তাওয়াফ, সা’য়ী ও অন্যান্য দো’আর সময়ও তার স্বর উঁচু হবে না।
  • মহিলাগণ রমল করবে না।
  • মহিলাগনের উপর ‘ইয্‌তেবা’ নেই।
  • মহিলাগণ পুরুষদের ভিড় থেকে বাঁচার জন্য প্রান্তদিক থেকে তাওয়াফ করবেন।
  • ভিড় থাকলে হাজরে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানী ধরার চেষ্টা না করাই ভাল।
  • সা’য়ীর সময় মহিলাগণ দুই সবুজ গম্বুজের মাঝখানে দৌড়াবেন না।
  • সা’য়ীর সময় মহিলাগণ সাফা পাহাড়ের উপরে বেয়ে উঠার চেষ্টা করবেন না।
  • মহিলা হাজী সাহেবা নিজের ‘হাদী’ নিজে জবাই করার চেয়ে অন্যের মাধ্যমে তা করানো উত্তম।
  • মহিলা চুল খাট করবে, যার পরিমাণ পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা মাথা কামাতে পারবে না। এটা জায়েয নেই।