আল্লাহর আহবানে বায়তুল্লাহর অতিথির সাড়া-“হে আল্লাহ আমি হাযির”-১

দয়াময় মেহেরবান আল্লাহতা’আলার নামে

হজ্জ পালনের জন্য যারা সফরের ইচ্ছা পোষন করেন, তাদের জন্য  হজ্জের ইতিহাস, প্রয়োজনীয়তা, শিক্ষা ও সঠিকভাবে হজ্জের করনীয় এবং কাজের নির্দেশনা জানা থাকা খুবই জরুরী। জীবনে মাত্র একবার হজ্জ ও উমরাহ পালন করা ফরয। ফরয কাজ যা  সুন্দর ও সঠিক নিয়মে করা অত্যাবশ্যক। তবে নফল হজ্জ ও উমরাহ একাধিকবার করাও সুন্নাত। তাই কুর’আন ও হাদীস থেকে সহিহ জ্ঞান নিয়ে মূল্যবান এই ইবাদাত আদায় করা প্রয়োজন।
কুর’আন হাদিস ও বিভিন্ন ইসলামী সাহিত্য থেকে সংক্ষিপ্তভাবে এবং অভিজ্ঞতার আলোকে হজ্জ সংক্রান্ত কিছু টিপস দেয়া হলো। মহান আল্লাহ বলেছেন:
তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে, (যেমন) মাকামে ইবরাহীম। আর যে তাতে প্রবেশ করে সে নিরাপদ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে যাদের সেখানে যাবার সামর্থ আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ্জ করা তাদের উপর অবশ্য কর্তব্য। এবং কেউ (তা) প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।   সুরা আলে ইমরান: ৯৭

লোকেরা আপনাকে (হে মুহাম্মাদ সা.) চাঁদ ছোট বড়ো হওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছে। বলে দিন: এটা হচ্ছে মানুষের জন্য তারিখ নির্ণয় ও হজ্জের আলামত।    সূরা আল বাকারা:১৮৯

. আর তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ্জ ও উমরাহ পূর্ণ করো।                        সূরা আল বাকারা:১৯৬

আবু হুরায়রা রা: এর হাদিস থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি হজ্ব আদায় করেন; কিন্তু কোন পাপের কথা বা কাজ করেননি সে ব্যক্তি ঐদিনের মত হয়ে ফিরে আসবে যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল”।                          সহিহ বুখারী:১৫২১ ও সহিহ মুসলিম ১৩৫০

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন: “এক উমরা আরেক উমরা মাঝের গুনাহ মোচনকারী। আর মাবরুর হজ্বের প্রতিদান হচ্ছে- জান্নাত”।       সহিহ বুখারি:১৭৭৩ ও সহিহ মুসলিম:১৩৪৯

সুতরাং হজ্ব ও হজ্ব ছাড়া অন্য নেক আমল গুনাহ মাফের কারণ; যদি বান্দাহ সে আমলগুলোকে যথাযথভাবে আদায় করে। অধিকাংশ আলেমের মতে, নেক আমলের মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ মাফ পাওয়া যায়; কবিরা গুনাহ নয়। কবিরা গুনাহ মাফ পেতে হলে তওবা করতে হবে। এর সপক্ষে তাঁরা দলিল দেন যে,  আবু হুরায়রা রা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন: “যদি বান্দাহ কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে অন্য জুমা, এক রমাদান থেকে অন্য রমাদান মধ্যবর্তী গুনাহগুলোকে মার্জনা করিয়ে দেয়।”   সহিহ মুসলিম: ১/২০৯