দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে।
আমাদের সমাজে বিভিন্ন বিপদ-আপদ, অসুস্থতার সময় অনেকেই বিভিন্ন রকমের দু’আর খতমের ব্যবস্থা করেন, একটা বিশ্বাস তাদের মাঝে কাজ করে যে, এই খতম দিতে পারলে সমস্যা দূর হয়ে যাবে। অনেক সময় এটা শিরক এর দিকেও নিয়ে যায়।
এই খতম আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে করে থাকেন আবার অনেক সময় দলবদ্ধভাবে করে থাকেন।
আমাদের লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, যে উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে আসলে কি এই ব্যবস্থাপনা কুর’আন বা হাদীস বা সাহাবা আযমাইন রা এর জীবন থেকে জানা যায় কি না! মহান রবের সবচেয়ে প্রিয়তম বান্দা হলেন নবী রাসূল ও সাহাবারা (রা)। সুতরাং সেই পথকেই জানা প্রয়োজন যাচাই করার জন্য।
যেকোন বিপদে /অসুস্থতায় মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল স শিখিয়ে দিয়েছেন কি করতে হবে,কোন দু’আ পড়তে হবে, কিভাবে কখন দু’আ করলে কবুল হবে। অথচ শয়তান মানুষের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিদ’আতি আমল করার দিকেই প্রলুব্ধ করে। ইবাদাতের নামে মূলত ব্যক্তিকে বিদ’আতী বানানোর জন্য ও জাহান্নামের উপযুক্ত করার জন্যই শয়তান এই চক্রান্ত বা ফাঁদ পেতে রেখেছে। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে, জ্ঞানার্জন করতে হবে অন্তত যা সহিহ রেফারেন্স জানি না তা থেকে দূরে থাকাটাই তাকওয়ার দাবি। বর্তমান অবস্থায় আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। আমরা খাবার দাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের বেলায় এতো সচেতন থাকি অথচ যা আমার আখেরাতের স্থায়ি চূড়ান্ত ফয়সালা নির্ভর করে সেটা ভেজালমুক্ত কি না যাচাই করবো না!
জাবের রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হামদ ও সালাতের পর বলেন, ‘নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী হল, আল্লাহর কিতাব এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ হেদায়েত (পথনির্দেশ) হল, মুহাম্মদের হেদায়েত (পথনির্দেশ)। আর নিকৃষ্টতম কাজ হল, দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি এবং প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই হল ভ্রষ্টতা।”’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১)।
আর নাসাঈতে রয়েছে, ‘প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণতি জাহান্নাম’ (নাসাঈ হা/১৫৭৮)।
ক. দুআ ইউনুস কোনটি এবং এর উপকারিতা কি?
সম্মানিত নবী ইউনুস (আ.) মাছের পেটে বন্দী অবস্থায় বিপদে পড়ে যে দুআ পাঠ করার কারণে মহান আল্লাহ তাকে মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন তাকে দুআ ইউনুস বলা হয়। দুআটি হল, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা, সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায যালিমীন-(অর্থ: তুমি ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই; তুমি পূত পবিত্র-নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত)।”
◈ এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَذَا النُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَىٰ فِي الظُّلُمَاتِ أَن لَّا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ – فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ ۚ وَكَذَٰلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ
“এবং মাছ ওয়ালার (ইউনুস আ.) কথা স্মরণ করুন। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন। অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধৃত করতে পারব না। অতঃপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে (মাছের পেটে থাকা অবস্থায়) এ কথা বলে আহবান করলেন: “লা ইলাহা ইল্লা আনতা, সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায যালেমীন” (অর্থ: তুমি ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই; তুমি পূত পবিত্র-নিশ্চয় আমি জালিমদের [অবিচারী ও গুনাহগারদের] দলভুক্ত।” অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।” (সূরা আম্বিয়া: ৮৭)
তাফসিরে ত্ববারীতে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে বলেন,
وكما أنجينا يونس من كرب الحبس فى بطن الحوت فى البحر إذ دعانا كذلك نجى المؤمنين من كربهم إذا إستغاثوا بنا و دعونا . و بنحو الذى قلنا فى ذلك جاء الأثر
“আর ইউনুস (আ.) মাছের পেটে বন্দি দশা অবস্থায় আমাকে ডাকার ফলে যেভাবে তাকে মুক্তি দিয়েছিলাম সেভাবে আমি মুমিনদেরকেও বিপদ থেকে উদ্ধার করব যখন তারা আমার কাছে সাহায্য চায় এবং আমাকে ডাকে।”
◈ এ মর্মে হাদিস হল, সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
دَعْوَةُ ذِي النُّونِ إِذْ دَعَا وَهُوَ فِي بَطْنِ الحُوتِ: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَدْعُ بِهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلَّا اسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ
“যুননুন (মাছ ওয়ালা) ইউনুস আ. মাছের পেটে দু’আ করেছিলেন: ‘লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায যালিমীন’ (অর্থ: তুমি ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই; তুমি পূত পবিত্র-নিশ্চয় আমি জালিমদের (গুনাহগারদের) এর দলভুক্ত) কোন মুসলিম যখনই এর মাধ্যমে দুআ করে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার দু’আ কবুল করে থাকেন।”
(তিরমিজী, হা/ ৩৫০৫ [আল মাদানি প্রকাশনী], আল কালি-মুত তাইয়্যিব ১২২/৭৯, তা’লীকুর রাগীব ২/২৭৫, ৩/৪৩, মিশকাত, তাহকিক ছানী ২২৯২-সনদ: সহিহ)
❑ খ. কখন কিভাবে কতবার দুআ ইউনুস পাঠ করতে হয়?
যে কোন বালা-মসিবত, বিপদাপদ, দু:শ্চিন্তা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ইত্যাদি থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দুআ ইউনুস পাঠ করা অত্যন্ত কার্যকর আমল। এর জন্য নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নাই। এটি পড়ার পর একান্ত বিনয়-নম্রতা, পূর্ণ আন্তরিকতা ও ভয়ভীতি সহকারে আল্লাহর নিকট দুআ করতে হয়।
আমির সানআনী বলেন,
” فإن قيل: هذا ذكر لا دعاء! قلنا: هو ذكر يفتح به الدعاء ثم يدعو بما شاء ” انتهى من “التنوير
“যদি বলা হয়, এটা তো একটা জিকির; দুআ নয়। আমরা বলব, এটি এমন একটি জিকির যা দ্বারা দুআ শুরু করা হয়। এটা পড়ার পর যা ইচ্ছা দুআ করবে।” (আত তানবীর, ৬/৯৮)
এভাবে প্রথমে দুআ ইউনুস পাঠ করার পর দুআ করলে আশা করা যায়, মহান দয়ালু দাতা আল্লাহ দুআ কবুল করবেন। তবে শর্ত হল, দুআ কবুলের শর্তাবলী ও আদব ঠিক থাকতে হবে। যেমন:
✓ হালাল উপার্জন থেকে খাদ্য-পানীয় গ্রহণ করা এবং হালাল অর্থের উপর জীবন যাপন করা।
✓ দুআর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করা। দুআ শেষে আবারও দরুদ পাঠ করা ভালো।
✓ দুআ কবুল হওয়ার দৃঢ় আস্থা ও মনোভাব সহকারে দুআ করা।
✓ একান্ত বিনয়-নম্রতার সাথে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে এক দুআ বারবার করা।
✓ দুআ করতে করতে বিরক্ত না হওয়া।
✓ দুআ কবুলের জন্য তাড়াহুড়া না করা।
✓ দুআর মধ্যে গুনাহের কিছু না থাকা ইত্যাদি।
আরও মনে রাখতে হবে, যে কোন দুআ আল্লাহ তাআলা তিনভাবে কবুল করেন-যা সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত। যথা:
১) মহান আল্লাহ বান্দাকে কখনো তার প্রত্যাশিত চাওয়াটি দুনিয়াতেই পূরণ করেন।
২) কখনো তিনি এর প্রতিদান আখিরাতের জন্য জমা রাখেন। তিনি বান্দার দুনিয়াবি প্রত্যাশা পূরণ না করে এই দুআর বিনিময়ে আখিরাতে তাকে মহা পুরষ্কারে ভূষিত করবেন-যা তার জন্য দুনিয়া থেকে আরও বেশি কল্যাণকর।
৩) কখনো এই দুআর কারণে তাকে বড় ধরণের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন-যার তার জন্য অবশ্যম্ভাবী ছিল।
❑ গ. খতমে ইউনুস করা বিদআত:
বিপদাপদ ও বালামুসিবত থেকে পরিত্রাণ লাভ, রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ, মৃতপ্রায় ব্যক্তির সহজে জান কবজ, মৃত ব্যক্তির গোর আজাব মাফ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে হাফেজ, ইমাম ও মৌলভীদেরকে টাকার মাধ্যমে ভাড়া করে অথবা সাধারণ লোকজন জমায়েত করে তসবি দানা, ডিজিটাল কাউন্টার মেশিন, তেঁতুলের বিচি, পাথরের টুকরা, কঙ্কর ইত্যাদি দ্বারা সত্তর হাজার বার অথবা সোয়া লক্ষ বার বা ৩১৩ বা এ জাতীয় নিদিষ্ট সংখ্যায় পাঠ করার মাধ্যমে ‘খতমে ইউনুস’ বা ‘দোআ ইউনুসের খতম’ করার প্রচলিত রীতি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও শরিয়ত বর্হিভূত বিদআত। এ ব্যাপারে কুরআন, হাদিস ও ফিকাহের নির্ভরযোগ্য কিতাবাদিতে এর কোন অস্তিত্ব নেই বরং এগুলো তথাকথিত বুর্জগদের পক্ষ থেকে দীনের মধ্যে নতুন সংযোজন (বিদআত) যা ক্রমান্বয়ে মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিকৃষ্টতম কাজ হল, দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা (বিদআত তৈরি করা)-শরিয়তের দৃষ্টিতে যার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। । যেমন: হাদিসে এসেছে:
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ وَخَيْرَ الْهَدْىِ هَدْىُ مُحَمَّدٍ وَشَرَّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ. وَفِيْ نَسَائِي (وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِى النَّارِ).
জাবের রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হামদ ও সালাতের পর বলেন, ‘নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী হল, আল্লাহর কিতাব এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ হেদায়েত (পথনির্দেশ) হল, মুহাম্মদের হেদায়েত (পথনির্দেশ)। আর নিকৃষ্টতম কাজ হল, দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি এবং প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই হল ভ্রষ্টতা।”’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১)।
আর নাসাঈতে রয়েছে, ‘প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণতি জাহান্নাম’ (নাসাঈ হা/১৫৭৮)।
(আল্লাহ আমাদেরকে সব ধরণের বিদআত ও গোমরাহি থেকে হেফাজত করুন। আমীন)
➧ ডক্টর আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) লিখেছেন:
“বিভিন্ন প্রকরের খতম এর বিদাআত
আমাদের সমাজে বিভিন্ন প্রকারের ‘খতম’ প্রচলিত আছে। এধরনের খতমের নিয়ম, ফজিলত ইত্যাদির বিবরণ ‘মকসুদুল মোমিনীন’, ‘নাফেউল খালায়েক’ ইত্যাদি বিভিন্ন বইয়ে পাওয়া যায়। সাধারণত: দুটি কারণে ‘খতম’ পাঠ করা হয়:
- (১) বিভিন্ন বিপদাপদ কাটানো বা জাগতিক ফল লাভ।
- (২) মৃতের জন্য সাওয়াব পাঠানো।
উভয় প্রকারের খতমই ‘বানোয়াট’ ও ভিত্তিহীন। এ সকল খতমের জন্য পঠিত বাক্যগুলি অধিকাংশই খুবই ভাল বাক্য। এগুলি কুরআনের আয়াত বা সুন্নাহ সম্মত দোয়া ও যিকর। কিন্তু এগুলি এক লক্ষ বা সোয়া লক্ষ বার পাঠের কোনো নির্ধারিত ফযীলত, গুরুত্ব বা নির্দেশনা কিছুই কোনো সহীহ বা যয়ীফ হাদীসে বলা হয় নি। এ সকল ‘খতম’ সবই বানোয়াট। উপরন্তু এগুলিকে কেন্দ্র করে কিছু হাদীসও বানানো হয়েছে। ‘বিসমিল্লাহ’ খতম, দোয়া ইউনুস খতম, কালেমা খতম ইত্যাদি সবই এ পর্যায়ের। বলা হয় ‘সোয়া লাখ বার ‘বিসমিল্লাহ’ পড়লে অমুক ফল লাভ করা যায়’ বা ‘সোয়া লাখ বার দোয়া ইউনুস পাঠ করলে অমুক ফল পাওয়া যায়’ ইত্যাদি। এগুলি সবই ‘বুজুর্গ’দের অভিজ্ঞতার আলোকে বানানো এবং কোনোটিই হাদীস নয়।
তাসমিয়া বা (বিসমিলাহ), তাহলীল বা (লা ইলাহা ইলালাহ) ও দোয়া ইউনুস এর ফযিলত ও সাওয়াবের বিষয়ে সহীহ হাদীস রয়েছে। তবে এগুলো ১ লক্ষ, সোয়া লক্ষ ইত্যাদি নির্ধারিত সংখ্যায় পাঠ করার বিষয়ে কোনো হাদীস বর্ণিত হয় নি। “খতমে খাজেগানের” মধ্যে পঠিত কিছু দোয়া সুন্নাহ সম্মত ও কিছু দোয়া বানানো। তবে পদ্ধিতিটি পুরোটাই বানানো।” [সুত্রঃ বই- হাদীসের নামে জালিয়াতি]
সুতরাং বুজুর্গদের আমল বা পরীক্ষিত আমল ইত্যাদির নামে সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত তথাকথিত ‘খতমে ইউনুস’ নামক বিদআত অবশ্যই পরিত্যাজ্য। এ থেকে মুসলিম সমাজকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন। সেই সাথে দীনের সঠিক জ্ঞান, বুঝ ও তদনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
▬▬▬▬◆◯◆ ▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।