আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
মহান আল্লাহ কুর’আনের নারী কন্ঠ স্বর নরম বা মোলায়েম বা আকর্ষনীয় করে গায়ের মাহরাম পুরুষের সাথে কথা বলতেই নিষেধ করেছেন। প্রয়োজনে নারী গায়ের মাহরাম ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারে তবে তা পর্দার আড়াল থেকে ও স্বাভাবিক সোজা সাপ্টা কথা। মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের জীবনে সুন্দর স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যই নরম স্বরে/ইনিয়ে-বিনিয়ে/স্বাভাবিক থেকে একটু ভিন্ন আকর্ষণীয় করে বিপরীত লিংগের সাথে কথা বলতে নিষেধ করে দিয়েছেন।
প্রয়োজনে নারী-পুরুষের সাথে কথা বলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, কথা বলার ভঙ্গি ও ধরণ এমন হবে যেন পুরুষের মনে এ ধরণের চিন্তার উদয় না হয় যে, এ নারীর ব্যাপারে অন্য কিছু আশা করা যায়। বলার ভঙ্গিতে কোন নমনীয়তা থাকবে না। তার কথায় কোন মনমাতানো ভাব থাকবে না। স্বরে মাধুর্য্য সৃষ্টি করবে না, যা শ্রবণকারী পুরুষের আবেগ উদ্বেলিত করে সামনে পা বাড়াবার প্ররোচনা দেবে ও সাহস যোগাবে। প্রয়োজনীয় কথাটুকুই সহজ স্বাভাবিক ভাবে বলেই চলে যাবে।
যেহেতু কুর’আন তেলাওয়াত একটি সুমিষ্ট সুর দিয়েই করতে হয় তা ই এটা গায়ের মাহরামের সামনে করা যাবে না।
যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে। মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। সূরা আহযাবঃ৩২-৩৩