যে কুরবানী করতে চায় সে কোন কাজ থেকে বিরত থাকবে?
যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার মাধ্যমে বা জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে যিলহজ্জ মাসে প্রবেশ করল এবং কুরবানী করার ইচ্ছা পোষণ করল তার জন্য কুরবানীর পশু জবাই করা পর্যন্ত নখ, চুল বা শরীর থেকে চামড়া উঠানো থেকে বিরত থাকবে।
উম্মু সালামাহ রা. বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন: তোমাদের মাঝে যে কুরবানী করার ইচ্ছে করে সে যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে। ইমাম মুসলিম হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
তার অন্য একটি বর্ণনায় আছে, সে যেন চুল ও চামড়া থেকে কোন কিছু স্পর্শ না করে। অন্য বর্ণনায় আছে, কুরবানীর পশু যবেহ করার পূর্ব পর্যন্ত এ অবস্থায় থাকবে। সহিহ মুসলিম: ১৯৭৭, মিশকাত: ১৪৫৯
যিলহজ্জের দশ দিন শুরু হওয়ার পর যদি নিয়ত করে তবে নিয়ত করার সময় থেকেই নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকবে। নিয়্যত করার আগে কেটে থাকলে তাতে গুনাহ হবে না।
এর পেছনে হেকমত হল, হাজীদের সাথে কুরবানী কারীর কিছু ক্ষেত্রে বৈশিষ্টগত মিল থাকা। অর্থাৎ হাজীগণ যেমন কুরবানী করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে থাকে তেমনি কুরবানীকারীও কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে থাকে। ঠিক তদ্রূপ হাজী সাহেবগণ যেমন এহরাম অবস্থায় নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকে কুরবানীকারীগণও নখ-চুল ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থেকে তাদের এই অবস্থার সাথে শামিল হয়।
এই ভিত্তিতে মাসয়ালা হল, কুরবানী কারীর পরিবারের জন্য নখ-চুল ইত্যাদি কাটা জায়েয। নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকার হুকুম কেবল কুরবানী কারীর জন্য প্রযোজ্য। যাদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা হচ্ছে তাদের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কুরবানী করতে ইচ্ছুক, তিনি বলেন নি যে, যাদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা হচ্ছে তারাও বিরত থাকবে। তাছাড়া তিনি তাঁর পরিবারের কাউকে নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকতে আদেশ করেছেন এমন কিছু বর্ণিত হয় নি।