আয়নার সামনে নিজের প্রতিবিম্ব দেখা যায়। অন্য কোন স্থান থাকলে অবশ্যই অন্য স্থানেই সালাত আদায় করতে হবে। অপারগ হলে কোন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করে নিতে হবে। কিছুই করা সম্ভব না হলে সাজদাহগর দিকে দৃষ্টি রেখে সালাত আদায় করে নিতে হবে। তাতে সালাত আদায় হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।
আমরা অনেক সময়ই দেখা যায় কোন কাজে বাইরে গিয়েছি,তখন সালাতের সময় হয়ে গিয়েছে,বেশীরভাগ স্থানেই সালাতের ব্যবস্থা থাকে,তবে যে ক্ষেত্রে নাই সেক্ষেত্রে স্থান খুঁজে নিতে হবে যদি বাসায় এসে সালাতের সময় পাওয়া না যায়।
অনেকে দেখা যায় কোন দাওয়াতে গেলে বা রেষ্টুরেন্টে খেতে গিয়েছে,সালাতের সময় হয়ে গেলো,তখন মনে মনে ধরে নেন যে বাসায় যেয়ে পড়ে ফেলবো,আবার অনেকে চেয়ারে বসেই আদায় করে নেন। কিন্তু এর কোনটাই সঠিক নয়। সালাত আদায় করতে হবে সময়ের মাঝেই। এবং সুস্থ্য থাকাবস্থায় ও সুযোগ থাকলে বসে সালাত আদায় করা যাবে না। সেই ক্ষেত্রে স্থান খুঁজে নিতে হবে।
চেষ্টা থাকবে সালাত আদায় করেই বাইরে যাওয়া।
একবার এইরকম অবস্থায় পড়ে রেষ্টুরেন্টের মেনেজারকে বললাম যে সালাত পড়ার স্থান আছে কি? তিনি বললেন নাই ম্যাডাম। আমি বললাম,তাহলে একটু ছোট জায়গা আছে যে সালাত আদায় করা যাবে? সে বললো কিচেনে লোক আছে আয়না আছে সেখানে আপনি পড়তে পারবেন? আমি বললাম অসুবিধা নেই। ভিতরে যেয়ে দেখলাম ছোট একটু জায়গা যা আমার কোন রকম দাঁড়িয়ে সাজদাহ আদায় করাও সম্ভব হয়ে যাবে,আলহামদুলিল্লাহ বলে দাড়ালাম। কিবলামুখী হওয়াতে দেখলাম সামনেই আয়না। গায়ের শালটা ঝুলিয়ে দিলাম এবং সাজদাহর দিকে চোখ রেখে সালাত আদায় করে বের হয়ে আসলাম। খাওয়ার পর চলে আসার সময় ম্যানেজার বললো, ম্যাডাম, আসলে কেউ কখনো সালাত পড়তে চায় নি এই পর্যন্ত আর আমাদের এই ব্যাপারটা মাথায় আসে নি। এখন আমরা একটি ব্যবস্থা করে রাখবো। আমি বললাম, জাযাকাল্লহি খাইরান। সালাতের জায়গার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আপনারা একটি নোটিশ দিয়ে রাখতে পারেন সালাতের ব্যবস্থা এইদিকে। সে খুব খুশি হলো। আলহামদুলিল্লাহ,মনে খুব ভালো লাগলো যে একটি জায়গায় সালাতের আবাদ হবে ইন শা আল্লাহ।
আমরা সকলেই যদি সচেতন থাকি তবে সব স্থানেই সকলেই সালাতের ব্যাপারে সচেতন হবে ইন শা আল্লাহ।
আয়নার সামনে সালাত আদায় না করাটাই উত্তম তবে সুযোগ না থাকলে সালাত আদায় হয়ে যাবে।কারন সালাতের সময়তো সাজদাহর দিকে দৃষ্টি থাকবে।