খ। সাওম
বছরে একমাস সাওম ঠিক তদ্রুপ একটি বাধ্যতামূলক ইবাদাত যা বান্দাহর কল্যানের জন্যই করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারে, আরবী মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখের নফল সাওম রাখাও সুস্বাস্থের জন্য প্রয়োজন যা আজ বিজ্ঞান প্রমান করেছে।
সাওম কিভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এনে দেয় সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করি।
ক। মানসিক প্রশান্তি—
সাওমের ফলে অন্তরে একধরনের পবিত্রভাব বিরাজ করে। মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্থাৎ মনের এমন অবস্থা যা দিয়ে সকল অন্যায় অবাধ্যতা থেকে নিজেকে দূরে রেখে ভালো কল্যান লাজে নিয়োজিত করার ইচ্ছা সদাজাগ্রত থাকে এবং তা মহান আল্লাহর আনুগত্যের জন্য।
মানুষের মাঝে ৩টি জিনিসের দাবী থাকে —
১। ক্ষুন্নিবৃত্তির দাবী (জীবন রক্ষার জন্য)
২। যৌন আবেগের দাবী
৩। শান্তি ও বিশ্রাম গ্রহণের দাবী
রোযা মানুষের আত্ম-সংযমের শক্তি সৃষ্টি করে – মানুষের খুদী বা আত্মজ্ঞান যখন দেহ ও অন্যান্য শক্তিসমূহকে পরিপুর্ণভাবে আয়ত্তাধীন করে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিজের অধীন করে তখনই আত্মসংযম হয়।এই অবস্থায় কোন অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকার প্রত্যয় লাভ করে যা ব্যক্তির মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। সিয়াম সাধনায় মানুষের স্বভাবে নম্রতা ও বিনয় সৃষ্টি হয়। কৃচ্ছ্বতাসাধনের মাধমে আত্মশুদ্ধি সিয়াম সাধনার একটি অন্যতম তাৎপর্য। আর আত্মশুদ্ধি মানবচরিত্র সংশোধনও বিকাশের উৎকৃষ্টতম উপায়। আত্মশুদ্ধির দ্বারা ব্যক্তিতথা সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে স্বচ্ছ সুদৃঢ় স্বকীয় সত্তার। রোজা পালনের দ্বারা মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয়ভীতি ও তাকওয়ার গুণ সৃষ্টি হয়। রোজার দ্বারা মানুষের স্বভাবে নম্রতা ও বিনয় সৃষ্টি হয় এবং দুরদর্শিতা আরো প্রখর হয়।
আল কুরআনের সূরা আশ শামসের ৯ ও ১০ আয়াতে ইরশাদ হয়েছে ‘সেই সফলকাম হবে যে নিজেকে পবিত্র করবে এবং সেই ব্যর্থ হবে, যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করবে।’ নিজেকে পবিত্র করার অর্থ হলো যাবতীয় অন্যায় অপকর্মের অত্যাচারে জর্জরিত আত্মাকে কলুষমুক্ত করার জন্য আল্লার ভয়ে ভীত হয়ে তার প্রতি নিঃশর্ত ও পরিপূর্ণভাবে নিজেকে সমর্পণ করে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা অর্জন করা। পক্ষান্তরে আত্মাকে কলুষিত করার অর্থ নিজেকে পাপের পঙ্কিলে ডুবিয়ে দেয়া।
চিন্তা হতে কাজের উৎপত্তি। যাবতীয় কর্মকাণ্ডের পেছনে উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায়ই মুখ্য, যা প্রণীত হয় বিবেক-বুদ্ধির আলোকে। আত্মাই মানুষের অন্যতম চালিকাশক্তি। আত্মা স্বচ্ছ পবিত্র ও কলুষমুক্ত না হলে ভালোমন্দ পাপপুণ্য উপলব্ধির ক্ষমতা লোপ পায়। সাওম আত্মাকে পবিত্র রাখার জন্য সহায়ক একটি অধ্যায়।
খ। শারিরীক কল্যানঃ
সাওম ব্যক্তিকে অতি ভোজন থেকে দূরে রাখে ও স্বাস্থ্যগত কল্যান এনে দেয়।
দেহের টক্সিন দূরঃ
আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রতিদিন বেড়ে চলেছে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপর নির্ভরতা। যেমন- হাতে বানানো রুটির বদলে খাই পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, পিৎজার মতো নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। বাইরে বের হয়ে কাজের ফাঁকে ঝটপট ক্ষুধা নিবারণে এগুলোই থাকে হাতের নাগালে। কিন্তু এসব খাবার থেকে আমাদের দেহে জমা পড়ে ক্ষতিকারক টক্সিন। এতে অ্যাজমা, আথ্রারাইটিস, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিওর, দৃষ্টিশক্তি হারানো, দাঁত পড়ে যাওয়া, মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদির পেছনে মূল কারণ হলো এই AGE। রোজাতে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে এই ফ্যাট কমে আসে। ক্ষতিকারক টক্সিনগুলো লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গের মধ্য থেকে বেরিয়ে যায়।
হজম ক্রিয়ার বিশ্রামঃ
দেহের যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খাবার হজমের কাজ করে, রোজার সময় তারা কিছুটা বিরতি পায়। হজমের রস নিঃসরণ তখন ধীর হয়। খাবারগুলোও ভাঙে ধীরে। দেহে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এটা খুব সহায়ক। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিও তখন নিঃসরণ হয় ধীরে। তবে রোজা রাখলেও পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বন্ধ হয় না। এজন্যই পেপটিক আলসারের রোগীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।
এলার্জি এবং চর্মরোগ নিরাময়কঃ
গবেষণায় দেখা গেছে, জীবাণু বা আঘাতজনিত কারণে দেহ যে প্রক্রিয়ায় অসুস্থ হয় রোজা সে প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে দেয়। ফলে রিউমাটয়েড আর্থ্রারাইটিস, এলার্জি, সোরিয়াসিস নামক চর্মরোগ ইত্যাদি থেকে নিরাময়ে রোজার ভূমিকা আছে বলে মনে করেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, পিত্তথলির রোগ আলসারেটিভ কোলাইটিস নিরাময়েও রোজার ভূমিকা অনেক।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করেঃ
রোজা রাখাকালীন একজন মানুষের দেহের গ্লুকোজগুলো দ্রুত ভাঙতে থাকে এবং দেহের জন্যে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করে। ফলে তখন ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায় যা প্যানক্রিয়াসকে কিছুটা বিশ্রাম দেয়। অন্যদিকে গ্লুকোজ ভাঙার সুবিধার্থে শরীরে গ্লাইকোজেন তৈরি হয়। এর ফলে দেহে ব্লাড সুগারের পরিমাণ কমে তা ডায়াবেটিস প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
ফ্যাট কমায়ঃ
দেহে রোজার প্রথম প্রভাবই হলো গ্লুকোজের আধিক্য কমানো। আর গ্লুকোজ যখন কমে যায় তখন কেটসিস নামে দেহের এক ধরনের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয় যা ফ্যাট কমায় এবং শরীরে শক্তি যোগায়। এমনকি কিডনি বা পেশিতে যে ফ্যাট জমে তাও ক্ষয় হয়ে শরীরে শক্তি উৎপাদিত হয়।—
রক্তচাপ কমায়ঃ
ওষুধ ছাড়া রক্তচাপ কমাবার এক আদর্শ পদ্ধতি রোজা। কারণ রোজা রাখলে প্রথমে গ্লুকোজ, পরে চর্বিকণাগুলো ক্ষয় হয়ে শক্তি উৎপাদন করে। রোজা রাখলে মেটাবলিক রেটও কমে। এড্রিনালিন এবং নরএড্রিনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন কমে। আর এতে করে মেটাবলিক হার একটা স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। ফলে ব্লাড প্রেশার কমে। আর এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে এথেরেসক্লেরোসিস বা ধমনীতে চর্বি জমার প্রক্রিয়ার ওপর যা হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়।—
নেশাদ্রব্য থেকে মুক্তিঃ
অনেকেরই অনেক ধরনের বদ অভ্যাসের প্রতি আসক্তি থাকে। এর মধ্যে ধুমপান করা, নেশা করা, অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রভৃতি রয়েছে। রমাদানে সারাদিন খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকায় অনেক ধরণের বাজে অভ্যাস থেকে দূরে সরে আসা সহজ হয়। একটানা কয়েকদিন বিরত থাকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সেই অভ্যাসটা ত্যাগ করা সহজ হয়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি এ কাজটা সংঘবদ্ধভাবে করা যায়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস রমাদানে মাসটাকে ধুমপান ছেড়ে দেবার জন্য আদর্শ সময় বলে আখ্যায়িত করেছে।
ভোজনবিলাস কমানোঃ
রামাদানে খাবার কম খাওয়াতে পাকস্থলী সংকুচিত হয়ে যায়। তাই অল্প খাবার খেলেই পেট ভরে যায়। রমাদান মাস হচ্ছে সঠিক খাদ্যাভ্যাস শুরু করার একটা ভীষণ ভালো সময়। কাজেই এ ধরনের অভ্যাসের কারণে রমাদানের পরেও দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করাটা সহজ হয়।
কোলেস্টেরল কমানোঃ
মধ্যপ্রাচের একদল কার্ডিওলজিস্ট গবেষণার ফলে বলেছেন, যারা রমাদানে রোজা রাখেন তাদের রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। নানা ধরণের হৃদরোগ যেমন হার্ট আটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির ঝুঁকিও কমে যায়। আর যদি রমাদানের পরেও সুষম এই খাদ্যাভ্যাস চালু রাখা যায় তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
রমাদানে রোজা রাখার মাধ্যমে দেহ ও মনে নিঃসন্দেহে একধরণের ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন যে, রমাদানে রোজা রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্কে নতুন নতুন কোষের জন্ম হয়। ফলে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে কোটিসল নামক একধরণের হরমোন রয়েছে যা আড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত হয় তার পরিমাণও কমে যায়। এর ফলে পুরো রমজান মাসে এবং রমাদানের পরেও মানসিক চাপ বেশ কম থাকে।
সিয়াম সাধনায় মানুষের যে শারীরিক কল্যাণ সাধিত হয় কায়রো হতে প্রকাশিত Science Calls for Fasting গ্রন্থে তার বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। পাশ্চাত্যের প্রখ্যাত চিকিৎসাবিদেরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন- The power and endurance of the body under fasting conditions are remarkable. After a proper day’s fast, the body is literally born afresh. রোজা একই সাথে দেহে রোগ প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। রোজা পালনের ফলে দেহে রোগ জীবাণু জীর্ণ অন্ত্রগুলো ধ্বংস হয় এবং ইউরিক এসিড বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পেলে নানা প্রকার নার্ভসংক্রান্ত রোগ বৃদ্ধি পায়। দেহের বেশির ভাগ রোগের সৃষ্টির কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ। সমীায় দেখা গেছে, গৃহীত খাদ্য দ্রব্যের শতকরা পঁচিশ ভাগ বা তার অধিক অংশ অপ্রয়োজনীয়। দেহযন্ত্রে খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে টকসিন নামক এক প্রকার রস জাতীয় বিষ সঞ্চিত হয়ে থাকে। বাড়তি খাদ্যদ্রব্যাদি ক্ষেত্র বিশেষে স্বাস্থ্য রক্ষায় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনায় দেহের পরিপাকযন্ত্র এক প্রকার পরিশুদ্ধি লাভের অবকাশ পায়। এই সময় পরিপাকযন্ত্র যে অবসর পায় তার ফলে দেহের অপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের সারাংশ ও সঞ্চিত বিষাক্ত রস নিঃশেষ হয়ে যায়। দেহের বাড়তি ওজন, রস ও চর্বি ইত্যাদি হ্রাস পায়।
আধুনিক যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানে সিয়াম সাধনার ব্যবহারিক তাৎপর্য উপলব্ধি করেই জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, হল্যান্ড প্রভৃতি দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে প্রতিবিধান হিসেবে উপবাসের উল্লেখ করা হয়েছে। সুফি সাধকদের মতে হৃদয়ের স্বচ্ছতা হাসিলে স্বল্প খাদ্যগ্রহণের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
অতি-ভোজন পরিত্যাগ, সুস্থ্য থাকার একটি উপায়।
- রাসূল(সঃ) বলেছেন: মানুষ পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোন পাত্র ভর্তি করে না। মেরুদণ্ড সোজা রাখার জন্য কয়েক গ্রাস খাবারই আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট। তার চেয়েও যদি বেশী দরকার হয় তবে পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে। তিরমিযী – আবওয়াবুয যুহদ – ২৩২১
- জনৈক ব্যক্তি রাসূল(সঃ) এর সামনে ঢেকুর (belching) তুলল। তিনি বলেন: আমাদের থেকে তোমার ঢেকুর বন্ধ কর। কেননা দুনিয়াতে যারা বেশী পরিতৃপ্ত হবে কিয়ামতের দিন তারাই সবচেয়ে বেশী ক্ষুধার্ত থাকবে। তিরমিযী – আবওয়াবু সিফাতিল কিয়ামাহ ওয়ার রিকাক – ২৪২০
Benefit of less intake—
(A scholar of the 20th Century, Hazrat Maulana Ashraf Ali Thanwi Sahib (rah) published in a magazine called ‘Al-Mu’min‘)
- The heart remains pure. This leads to recognition of the Ni’mat (bounties) of Allah (sw).
- Love for Allah (sw) develops in the purified heart.
- Mercy and Tenderness become the attributes of the heart.
- Pleasure is experienced in Du’aa (supplication) and Zikr (rememberence of Allah)
- Pride and Rebellion of the Nafs are restraint and eliminated.
- The difficulty of even a little hunger leads to abstention from sins. The inclination for sins decreases.
- One stays healthy.
- One feels less sleepy, and laziness in regard to Tahajjud (a virtuous prayer read between the night and morning) and other acts of Ibaadah (worship) is uprooted.
Disease caused by obesity
- Coronary heart disease, Stroke, Diabetes complication.
- Cirrhosis, Gall stone,
- Hormone-dependent cancers (breast, uterus),.
- Polycystic ovary syndrome (infertility, hirsutism).
- Psychological —depression.
- Skin disease—
The physiological effect of fasting:
lower of blood sugar
lowering of cholesterol
and lowering of the systolic blood pressure.
In fact, Ramadan fasting would be an ideal recommendation for treatment of
mild to moderate, stable, non-insulin diabetes, obesity and essential hypertension.
In 1994 the 1st International Congress on “Health and Ramadan”, held in Casablanca, entered 50 research papers from all over the world, from Muslim and non-Muslim researchers who have done extensive studies on the medical ethics of fasting. While improvement in many medical conditions was noted; however, in no way did fasting worsen any patients’ health or baseline medical condition.
On the other hand, patients who are suffering from severe diseases, whether diabetes or coronary artery disease, kidney stones, etc., are exempt from fasting and should not try to fast.
Psychological effects of fasting:
There is a peace and tranquility for those who fast during the month of Ramadan. Personal hostility is at a minimum, and the crime rate decreases. This psychological improvement could be related to better stabilization of blood glucose during fasting as hypoglycemia after eating, aggravates behavior changes.
Medical benefits of Ramadan
Muslims do not fast because of medical benefits which are of a secondary nature. Fasting has been used by patients for weight management, to rest the digestive tract and for lowering lipids. There are many adverse effects of total fasting as well as of crash diets. Islamic fasting is different from such diet plans because in Ramadan fasting, there is no malnutrition or inadequate calorie intake. The calorie intake of Muslims during Ramadan is at or slightly below the nutritional requirement guidelines. In addition, the fasting in Ramadan is voluntarily taken and is not a prescribed imposition from the physician.
Ramadan is a month of self-regulation and self training, with the hope that this training will last beyond the end of Ramadan.
If the lessons learned during Ramadan, whether in terms of dietary intake or righteousness, are carried on after Ramadan, there effects will be long lasting. Moreover, the type of food taken during Ramadan does not have any selective criteria of crash diets such as those which are protein only or fruit only type diets. Everything that is permissible is taken in moderate quantities.
The difference between Ramadan and total fasting is the timing of the food; during Ramadan, we basically miss lunch and take an early breakfast and do not eat until dusk. Abstinence from water for 8 to 10 hours is not necessarily bad for health and in fact, it causes concentration of all fluids within the body, producing slight dehydration. The body has its own water conservation mechanism; in fact, it has been shown that slight dehydration and water conservation, at least in plant life, improve their longevity.
The physiological effect of fasting includes lowering of blood sugar, lowering of cholesterol and lowering of the systolic blood pressure. In fact, Ramadan fasting would be an ideal recommendation for the treatment of mild to moderate, stable, non-insulin diabetes, obesity, and essential hypertension. In 1994 the first International Congress on “Health and Ramadan”, held in Casablanca, entered 50 extensive studies on the medical ethics of fasting. While improvement in many medical conditions was noted; however, in no way did fasting worsen any patients’ health or their baseline medical condition. On the other hand, patients who are suffering from sever diseases, whether type I diabetes or coronary artery disease, kidney stones, etc., are exempt from fasting and should not be allowed to fast.
There are psychological effects of fasting as well. There is a peace and tranquility for those who fast during the month of Ramadan. Personal hostility is at a minimum, and the crime rate decreases. Muslims take advice from the Prophet who said, “If one slanders you or aggresses against you, say I am fasting.”
This psychological improvement could be related to better stabilization of blood glucose during fasting as hypoglycemia after eating, aggravates behavior changes. There is a beneficial effect of extra prayer at night. This not only helps with better utilization of food but also helps in energy output. There are 10 extra calories output for each unit of the prayer. Again, we do not do prayers for exercise, but a mild movement of the joints with extra calorie utilization is a better form of exercise. Similarly, recitation of the Quran not only produces a tranquility of heart and mind, but improves the memory.
One of the odd nights in the last 10 days of Ramadan is called the night of power when angels descend down, and take the prayer of worship to God for acceptance.
Fasting is a special act of worship which is only between humans and God since no one else knows for sure if this person is actually fasting. Thus God says in a hadith qudsi that “Fasting is for Me and I only will reward it”. In another hadith, the Prophet Mohammad (peace be upon him) has said “If one does not give up falsehoods in words and actions, God has no need of him giving up food and drink”.
DIABETES MELLITUS AND RAMADAN FASTING
Diabetes mellitus affects people of all faiths. Muslims are no exception. Many diabetic Muslims have a desire to fast during the month of Ramadan, although if they cannot for health reasons, they have a valid exemption. The dilemma for physicians and Muslim scholars is whether or not Muslim diabetic patients (1) should be allowed to fast if they decide to; (2) can fast safely; (3) can be helped to fast if they decide to; (4 ) can have their disease monitored at home; and (5) are going to derive any benefit or harm to their health. Fasting during Ramadan by a Muslim diabetic patient is neither his right nor Islamic obligation, but only a privilege to be allowed by his physician, at the patient’s request, knowing all the dangers and assuming full responsibility in dietary compliance and glucose monitoring, with good communication between the physician and the patient .
PSYCHOLOGICAL STATE OF DIABETES DURING RAMADAN
Diabetes mellitus itself adversely affects patients’ psychological states by changes in glucose metabolism, blood and CSF osmolality, needs for discipline and compliance, fear of long term complications and threat of hypoglycemic attacks and the possibility of dehydration and coma.
On the other hand, fasting during Ramadan has a tranquilizing effect on the mind, producing inner peace and decrease in anger and hostility. Fasting Muslims realize that manifestations of anger may take away the blessings of fasting or even nullify them.
Diabetics know that stress increases the blood glucose by increasing the catecholamine level and any tool to lower the stress ; ie., biofeedback or relaxation improves diabetic control. Thus, Islamic fasting during Ramadan should have a potentially beneficial effect with regard to diabetic control.
EDUCATIONAL PROGRAM FOR DIABETICS DURING RAMADAN
It should be directed toward (a) diabetic home management; (b) preparing them for Ramadan; (c) recognizing warning symptoms of dehydration, hypoglycemia and other possible complications.
Patients should be taught home glucose monitoring, checking urine for acetone, doing daily weights, calorie-controlled diabetic diet, need for sleep and normal exercise. They should be able to take pulse, temperature, look for skin infection and notice changes in the sensorium ( mental alertness ) . They should be on special alert for any colicky pain, a sign for renal colic, or hyperventilation, a sign of dehydration, and to be able to seek medical help quickly rather than wait for the next day.
Source–
Shahid Athar M.D. is Clinical Associate Professor of Internal Medicine and Endocrinology, Indiana University School of Medicine Indianapolis, Indiana, and a writer on Islam.