রোগী দেখতে যাওয়ার ফযীলত
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো লোক তার মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে না বসা পর্যন্ত যেন জান্নাতে ফল আহরণে বিচরণ করতে থাকে। অতঃপর যখন সে (রোগীর পাশে) বসে, (আল্লাহ্র) রহমত তাকে ঢেকে ফেলে। সময়টা যদি সকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা ও কল্যাণের দোআ করতে থাকে বিকাল হওয়া পর্যন্ত। আর যতি সময়টা বিকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দোআ করতে থাকে সকাল হওয়া পর্যন্ত।” তিরমিযী, নং ৯৬৯; ইবন মাজাহ্, নং ১৪৪২; আহমাদ, নং ৯৭৫।
রাসূল স.বলেছেন, যে ব্যক্তি খুব ভালোভাবে অযু করলো, অতঃপর সওয়াবের নিয়্যতে কোন মুসলমান রোগী ভাইয়ের সেবা শুশ্রুষা করলো, তার ও জাহান্নামের মধ্যে সত্তর বছরের দূরত্ব সৃষ্টি করে দেয়া হবে।
আবু দাউদ: ৩০৮৪
রোগী দেখতে যাওয়া মুসলিমদের পারস্পরিক অধিকার। করুনা করে নয় বা লোকে কি বলবে সে জন্য নয় বরং রোগীর অধিকার আদায়ের জন্যই দেখতে যেতে হবে এবং অবশ্যই তা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লক্ষ্যে।
রাসূল স. বলেছেন, অপর মুসলমানের পাঁচটি হক্ব রয়েছে। সেগুলো হলো-
১। সালামের জবাব দেয়া
২। রোগীর সেবা-শুশ্রুষা করা
৩। জানাযায় অংশগ্রহন করা।
৪। দাওয়াত কবুল করা ও
৫। হাঁচিদাতার হাঁচির জবাব দেয়া অর্থাৎ হাঁচিদাতা আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা। সহিহ আল বুখারি: ১১৬১ ও ইবনে মাজাহ:১৪৩৫
রাসূল স. বলেছেন, তোমরা ক্ষুধার্তকে আহার করাও, রোগীর সেবা করো এবং বন্দিকে মুক্ত করো। সহিহ বুখারি