একজন রোগীর মর্যাদা
কুর’আন ও হাদীসের আলোকে একজন রোগী সেই অবস্থায় থাকে যখন-
আল্লাহ তার কল্যান চান।
তার গুনাহকে দূর করে দেন।
গুনাহের কাফফারা করে দেন কোন কোন ক্ষেত্রে।
পরীক্ষার মাধ্যমে উন্নত মর্যাদায় নিতে চান।
আরো বেশী ধৈর্যশীল, শুকরগুযার হওয়ার ও আল্লাহর উপর নির্ভরশীল করার সুযোগ দান করেন।
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. বর্ণনা করেন, রাসূল স. বলেছেন- তুমি কোন রোগীকে দেখতে গেলে তখন তাকে তোমার জন্য দু’আ করতে বলবে। নিশ্চয়ই তার(রোগীর) দু’আ ফেরেশতাদের দু’আর মতো।
ইবনে মাজাহ:১৪৪১
রোগের কারনে ব্যক্তি মহান রবের প্রতি আরো বেশী মনোযোগী ও করুনাপ্রার্থী হয়ে থাকে, সে বুঝতে পারে যে তার কষ্ট কেউ কমিয়ে দিতে পারে না, একমাত্র মহান আল্লাহই এই কষ্ট থেকে পরিত্রান পাওয়ার পথ বাতলে দিতে পারেন। তাই রোগী তখন আরো বেশী আল্লাহকে ডাকতে থাকে। রোগী যদি ধৈর্যশীল, শুকরগুযার ও আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যায়, তখন তার প্রতি মহান আল্লাহ আরো বেশী রহমত দান করে থাকেন। আর তাই এই রোগ তার জন্য রহমতস্বরুপ। তখন রোগীর দু’আ কবুল হয়ে থাকে।
তাহলে একজন রোগীর মর্যাদা কি বুঝতেই পারছেন তবে রোগীকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধরে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
কোন অসুস্থ ব্যক্তি রোগের কারনে বা অক্ষমতার কারনে সুস্থ অবস্থার নিয়মিত আমল বা ভালো কাজ যদি এখন করতে না পেরে থাকেন, তবে তার সওয়াব সে যথারীতি পেয়ে যাবে।
রাসূল স.বলেছেন-আল্লাহর কোন বান্দা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে বা ভ্রমণরত অবস্থায় থাকে, তখন তার আমলনামায় সেই পরিমান নেকিই লেখা হয়, যে পরিমান আমল সে সুস্থ থাকাকালে করতো।
সহিহ বুখারী: ২৭৭৮ ও আবু দাউদ: ৩০৭৮