রোগ ও রোগী-ইসলাম কি বলে!-১৪

রোগ প্রতিরোধে ও প্রতিকারে ইসলামের শিক্ষা

ক। প্রতি ৫ওয়াক্তের সালাত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্নিত, তিনি বলেন রাসূল স. হিজরত করলেন,আমিও হিজরত করলাম। আমি সালাত পরার পর তাঁর পাশে বসলাম। নবী স. আমার দিকে দৃষ্টিপাত করে বললেন, তোমার পেটে কি ব্যথা আছে? আমি বললাম, হ্যা, ইয়া রাসুলুল্লাহ! তিনি বললেন, তুমি উঠে দাঁড়িয়ে সালাত পড়ো। কেননা সালাতের মধ্যে  রোগমুক্তি আছে। ইবনে মাজা: ৩৪৫৮

তাই যারা জীবনে কখনো সালাত পড়েন নি, হতাশ না হয়ে, অন্তত অসুখের বা বিপদের এই সময়ে নিজেরা তাওবা করে সালাতে কায়েম হয়ে যান। অতীতের সকল বাদ যাওয়া সালাতের গুনাহ মাফ করে দিবেন আল্লাহ তা’আলা। মহান আল্লাহ খুশি হয়ে আসমান ও যমীনের নি’আমতের দরজা তার জন্য খুলে দিবেন। কারন মহান আল্লাহ বান্দাহর অনুশোচনায় ক্ষমা চাওয়া নিয়ে মহান রবের পথে ফিরে আসাকে ভালোবাসেন।

সংক্ষেপে সালাতের কিছু উপকারীতার দিক তুলে ধরা হলো।

নামাজের অনেক উপকারিতা আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আমরা মুসলিমরা সালাত আদায় করি শুধুমাত্র আল্লাহর নির্দেশ পালনে আনুগত্যশীল থাকার নমুনা পেশ করা, মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য আর তার প্রশংসা করবার জন্য। সালাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে ব্যক্তি তার চাওয়াগুলোকে দরখাস্ত আকারে পেশ করতে পারেন। এর মাধ্যমে মহান রবের অনুগ্রহ, ক্ষমা দয়া পাওয়ার মাধ্যমে দুনিয়াতে শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি লাভে সক্ষম হবে ইন শা আল্লাহ।

তাই আমাদের মুসলিমদের জন্য উপকার সমূহ জানা হল এক ধরনের সাইড ডিশ(side dishes)। বলতে পারেন ডেজার্ট(dessert), যা মূল খাবারের পরে সামান্য পরিমাণে খাওয়া হয়। একজন অমুসলিমকে নামাজের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য  উপকারগুলোর কথা বলা যেতে পারে তা হয়ত তাকে নামাজের দিকে আকৃষ্ট করবে, কিন্তু আমাদের মুসলিমদের জন্য প্রধান বা মূল খাবার অর্থাৎ নামাজের মূল উদ্দেশ্য হল আল্লাহকে স্মরন করে শুকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের বিধান মেনে চলা।

প্রথমে আসি মানসিক প্রশান্তি—-

মহান আল্লাহ বলেছেন,

‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা বাকারা : ১৫৩)

মুসনাদে আহমদ রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা. কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তায় পতিত হলে, সালাতের দিকে দৌড়ে ছুটতেন।

সালাত হলো  মহান রবের সাথে মুমিনের সবচেয়ে উত্তম কথোপকথন। রাসূল স.বলেছেন,

নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করে, তখন সে তার প্রভুর সঙ্গে মুনাজাত করে’ অর্থাৎ গোপনে আলাপ করে’। -বুখারী হা/৫৩১, ১/৭৬ পৃঃ; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ,

যে মানসিক অস্তিরতা ও চাপে অসুস্থ্য হওয়ার উপক্রম হয় সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায় মহান রবের সামনে নিজের সব কথা খুলে বলা। এমন অনেক কথা বা সমস্যা আছে যা কাউকে বলা যায় না বা একা সেই কষ্ট বহন সহনীয় নয়, একমাত্র মহান রবের কাছেই আমরা বিনা দ্বিধায় বলতে পারি ও সেই চাপ ও অস্থিরতা থেকে মুক্ত হতে পারি। যত গুনাহগার হোন না কেনো প্রতিটি ব্যক্তি যখন সুন্দর করে অযু ও পবিত্রতা সহকারে সালাতে দাঁড়ায় একনিষ্ঠভাবে, তখন মহান আল্লাহ তার দিকে মনোযোগ দিয়ে শুনেন কি চায় বান্দা, সুবহানাল্লাহ।

“যখন কোন বান্দা সালাতে দাড়ায়, তখন তার সমস্ত গুনাহকে উপস্থিত করা হয় এবং গুনাহগুলো তার মাথা ও ঘাড়ের উপর রাখা হয়। তারপর যখন রুকু করে এবং সেজদা করে তখন তার গুনাহসমূহ ঝরে যায়”। বাইহাকী, সুনানুল কুবরা ৩/১০। সহীহুল জামে‘তেও হাদিসটি বর্ণিত।

মুগীরা ইবনে শু’বার(আযাদ করা) গোলাম ওয়াররাদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন মুয়াবিয়া রা. মুগীরা ইবনে শু’বাকে লিখে পাঠালেন-নবী করীম স.কে নামাযের পরে যা পাঠ করতে শুনেছেন তা আমাকে লিখে পাঠাবেন। অতঃপর মুগীরা আমার দ্বারা লিখালেন এবং বললেন,আমি নবী করীম স.কে নামাযের পরে পাঠ করতে শুনেছি,

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ

اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ

(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।

একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই,

হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা রোধ ও বারন করার কেউ নেই, আর আপনি যা বারণ করবেন ও রোধ করবেন, তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না। সহিহ বুখারী: ৬১৫৪

এই বিশ্বাসের প্রভাব এতো গভীর যে একজন মুমিনের জীবনকে শান্ত, স্থীর, সুন্দর ও মানসিক প্রশান্তিতে রাখে।

ইসলাম কখনো অবাস্তব কল্পনা বা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে শান্তি বা কোন কিছুর প্রাপ্যতাকে অনুমোদন করে না। আর তাই বর্তমান সমাজে প্রচলিত কিছু প্রথা যা মেডিটেশনের নামে চালু হয়েছে তা ইসলাম সম্মত নয়। এই ধরনের চক্র মিথ্যা প্রবোধ দিয়ে অসংখ্য শিরকের চেতনায় ব্যক্তিকে ধাপে ধাপে নিয়ে যায়, ইসলামে যে কারনে তাবিজকে অনুমোদন দেয়া হয় না।  তথাকথিত শান্তি লাভের জন্য কিছু ব্যবসায়িক মেডিটেশনের ব্যবস্থা করে সমাজের একশ্রেনীর লোক মানুষকে সঠিক দীনের অনুশীলন থেকে বিমুখ করার পায়তারা করে চলেছে। তারা কল্পনার জগতে বিচরন করিয়ে শান্তি এনে দিতে চায়। কিন্তু মহান আল্লাহ মিথ্যা ও হটকারীতাকে স্থান দেন নি ইসলামের কোন বিধানে। মহান আল্লাহ এই ধরনের চক্র থেকে আমাদের প্রত্যেককে হেফাজত করুন।

উম্মে ছালামা বর্ণনা করেন, আমি রসূল সা.কে বলতে শুনেছি :

“যে কোন মুসলমান মুসিবত আক্রান্ত হয় এবং বলে- আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, তুমি আমার এ মুসিবতের প্রতিদান দাও এবং এর চে’ উত্তম জিনিস দান কর। আল্লাহ তাকে উত্তম জিনিস দান করেন।” মুসলিম : ১৫২৫

সত্যিকার মুমিন আপন প্রভুর প্রতি সুধারণা পোষণ করে। হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন :

“আমার ব্যাপারে আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী, আমি ব্যবহার করি।” বুখারী : ৬৭৫৬ মুসলিম : ৪৮২২

সালাতের মাধ্যমে একজন মুসলিম তার বিশ্বাসের স্থানকে সেই মানে নিয়ে যায় যেখানে সে তাঁর সৃষ্টিকর্তার সাথে সরাসরি কথা বলে থাকে। মহান আল্লাহ এই ধরনের অবস্থাতেই বান্দার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। বান্দা যা চায় মহান আল্লাহ তার চাওয়াকে কবুল করে দিয়ে থাকেন বিভিন্নভাবে।

মহান আল্লাহ কখনো বান্দার সরাসরি চাওয়াটাই দেন অথবা বড় কোন কঠিন অবস্থা থেকে এই চাওয়ার বদলে হেফাজত করেন অথবা আখেরাতে তার জন্য কাজে লাগবে সেই জন্য জমিয়ে রাখেন। আর তাই মানসিক প্রশান্তি এসে থাকে। সকল ক্ষমতা ও দেয়ার যিনি একমাত্র মালিক সেই দরবারে দাঁড়িয়ে কথা বলার শান্তিই মনের শক্তিকে বাড়িয়ে দেয় যা শারিরীক শক্তির উপর প্রভাব ফেলে থাকে। আখেরাতে চিরস্থায়ী জীবনের মুক্তি আসল লক্ষ্য যাদের তাদের জীবনে মহান রবের আনুগত্যে অটল থাকাই শান্তির সোপান, সাময়িক দুঃখকে সহজ করে নেয়া্র মানসিকতা মহান আল্লাহই দান করেন।

সালাতের পর পরই যে দোয়া আল্লাহর রাসূল স. করতেন তা হলো–

اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ-

আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু ওয়া মিন্কাস্ সালা-মু, তাবারাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম ।

অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ আপনিই শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় আপনি, হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক’। মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬০,

মহান আল্লাহ বলেছেন- ‘জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।’ ( সূরা রাদ : ২৮)

 

শারীরিক সুস্থ্যতায় সালাত একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যায়াম—-

প্রতিটি সালাতের পূর্ব শর্ত পবিত্রতা ও অযু। আজ চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঘন ঘন হাত ধোয়ার কথা অত্যন্ত জোড়ালো ভাষায় তাগিদ দিচ্ছে। স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোও প্রচারের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। বর্ত্মানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) হাত ধোয়া দিবস পালন করছে। অথচ ইসলাম কত সুন্দর ব্যবস্থা রেখে দিয়েছে। অযুর মাধ্যমে হাতসহ খোলা অংগগুলোর পরিষ্কারের বিধান ব্যক্তিকে অনেক রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করছে।

সালাতে শরীরের এমন স্থিরতা ও  কিছু নাড়াচাড়া হয় যা আমাদের শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য খুবই প্রয়োজন এবং আমরা পরিকল্পনা করেও এই ধরনের ব্যয়াম করতে সক্ষম হতাম না।

সোজা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে সালাত শুরু করে রুকু সাজদাহ পর পর নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট সময় ধরে করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থির হয়ে সোজা দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হওয়ার মাধ্যমে একদিকে আর্থিং এর কাজ হচ্ছে আবার অন্যদিকে দুনিয়ার বাস্তবতার সকল ঝামেলা সমস্যা বা কাজ থেকে কিছু সময়ের জন্য নিজেকে মুক্ত করে হালকা বা relax হওয়ার অবস্থা আসে।

এরপর নির্দিষ্ট নিয়মে যে রুকু ও সাজদাহ এবং প্রতিটি কাজের পর আবার স্থির হয়ে আসার বিধান সালাতে আছে তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত।

এতে মেরুদণ্ডের হাড় ধীরে বাকা হয়ে থাকে ও সমান গতিতে আবার সোজা হয়। নামাজে রুকু সিজদা বসা আর উঠে দাঁড়ানোর সময় আমরা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করি যার কারণে আমাদের বিভিন্ন অস্থি ও অস্থি সন্ধিগুলোসহ মেরুদণ্ডে যে ব্যায়াম হয় তা আমাদের বিভিন্ন রকমের রোগ থেকে বাঁচিয়ে রাখে। রুকু সাজদাহ করার সঠিক নিয়ম অনুসরন করলেই এই ধরনের কল্যান লাভ করা সম্ভব। সঠিকভাবে রুকু সাজদাহ না করার কারনে কল্যান থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

আর মুসলিম হিসেবে আপনি এটাও হয়তো জেনে থাকবেন যে, নামাজের শ্রেষ্ঠতম অংশ হল সিজদা।

স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা যখন দাড়িয়ে থাকি বা বসে থাকি তখন আমাদের ব্রেইনে রক্ত পৌছায় ঠিকই, কিন্তু তা একটা স্বাস্থ্যকর ব্রেইনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু আমরা যখন সিজদায় যাই তখন মস্তিষ্কে/ব্রেইনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্ত সঞ্চালিত হয়, যা একটা স্বাস্থ্যকর ব্রেইনের জন্য খুবই জরুরী। আর আমরা যখন সিজদা করি তখন ব্রেইনের ন্যায় আমাদের মুখমণ্ডলের ত্বকেও অতিরিক্ত রক্তসঞ্চালন হয়, যা আমাদের চিল্বলাইন(chilblain) নামক এক ধরনের চর্মরোগ এবং এজাতীয় আরও অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

তাছাড়া সিজদা আমদেরকে সাইনুসাইটিস (sinusitis) থেকেও বাঁচিয়ে রাখে। কেননা যারা নিয়মিত সিজদা করে অর্থাৎ নামাজ পড়ে তাদের সাইনাসের (sinus) প্রদাহ হবার সম্ভাবনা অনেক কম।

সিজদার আরও উপকার রয়েছে। যেমন, যারা নিয়মিত সিজদা করে তাদের ব্রঙ্কাইটিস (bronchitis) হবার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কম। একটা লোক যখন স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস ছাড়ে  তখন আমদের ফুসফুসে থাকা দূষিত বায়ুর কেবল দুই-তৃতীয়াংশ বের হয় বাকি একতৃতীয়াংশ ভিতরেই থেকে যায়। কিন্তু কেউ যখন সিজদায় অবনত হয় তার এবডমিনাল ভিসেরা(abdominal viscera) ডায়াফ্রামের(diaphragm) উপর চাপ প্রয়োগ করে, ফলে ডায়াফ্রাম ফুসফুসের নিচের দিকে (lower lobes) চাপ প্রয়োগ করে। ফলে কেউ যখন সিজদায় অবনত অবস্থায় শ্বাসপ্রশ্বাস নেয় তখন ফুসফুসের ভিতরে জমে থাকা এক তৃতীয়াংশ দূষিত বাতাসও বের হয়ে যায়, যা একটা সুস্থ ফুসফুসের জন্য খুবই দরকারি। এর ফলে আমদের ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ হবার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকাংশে।

যদি কেউ নিয়মিত সিজদা করে তবে সিজদার সময় করা অঙ্গভঙ্গি ও শরীরের বিভিন্নরকমের নাড়াচাড়ার কারণে তার অর্শ(hemorrhoid) বা পাইল্‌স(piles) এবং হার্নিয়া (hernia) হবার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকাংশে।

সাজদাহর মাধ্যমে আমাদের সবচেয়ে বেশী আর্থিং এর কাজ হয়ে থাকে,ফলে শরীর থেকে বিভিন্ন অতিরিক্ত রশ্মি মাটিতে চলে যেয়ে শরীরকে নিরাপদ রাখে যা বিজ্ঞান প্রমান করেছে।

আবার আমরা যখন সিজদা থেকে উঠে দাড়াই তখন শরীরের পুরো ওজন আমদের পায়ের উপর পড়ে এবং আমদের পা আর রানের পেশীতে চাপ পড়ে। তখন সে পেশীগুলু সক্রিয় হয়ে উঠে যা আমাদের নিন্মাঙ্গে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Science behind Sajdah (Prostration)

QUOTE

Random, but ever wonder why it’s not common for muslims to have Alzheimers? Performing the sujood causes blood circulation to the brain, multiply that by the number of times the sujood is done, taking into account the years… Hence, a good memory and lesser chance of mental deterioration.

Although I’ve never heard about Muslims having less Alzheimers, it’s very much possible that doing sajda in prayer is one of the reasons for this, because doctors believe that increased blood flow to the brain can have beneficial effects on the brain and nervous system, including memory.

Besides increasing blood flow to the brain, sajda also has beneficial effects on the neck muscles, as the following article explains.

_______________________________________

The Medical Benefits of Sajdah

Sajdah is a unique position or stance in the regular prayers, which a Muslim is supposed to offer at least five times a day. Although the basic purpose of obligatory prayers is not to provide an exercise for people yet it is being increasingly recognized that it has plenty of medical advantages for the human body. Here it is worth mentioning that Holy Prophet Muhammad has mentioned in a hadith in Ibn Majah that prayer is a cure for many diseases. The fact is that a person who offers his prayers regularly that too in the mosque is protected from many diseases which he many not even know.

The position of Sajdah in which the forehead touches the earth is exclusively associated with the Muslim form of prayer. It is the climax of a Muslim’s prayer and as mentioned in a Hadith a Muslim is nearest to Allah in this position.

Abu Huraira (radiAllahu anhu) reported that the messenger of Allah (sallAllaahu ‘alayhi wa sallam) said:

“The nearest a servant comes to his Lord is when he is prostrating himself, so make supplication (in this state)”  [Sahih al-Bukhari]

A’ishah Siddiqa (radiAllahu anha) narrates that The Prophet (sallAllaahu ‘alayhi wa sallam) used to prolong the prostration to such an extent that one could recite fifty verses (of the Qur’an) before he would lift his head  [Sahih al-Bukhari]

In another Hadith narrated by Anas bin Malik (radiAllahu anhu) the Prophet (sallAllaahu ‘alayhi wa sallam) advised Muslims to perform Ruku (bowing) and Sajdah properly.

In another Hadith he (sallAllaahu ‘alayhi wa sallam) advised to perform Sajdah and Bowing calmly and to get up only when the body has come to ease.

In supplication for the victory, He (sallAllaahu ‘alayhi wa sallam) also performed long bowing (Ruku) and Sajdah in the special prayers at the time of eclipse. Hence the first positive effect upon a person who prostrates or does Sajdah is that he comes nearest to Allah and hence in that condition he can supplicate. This is a great psychological advantage and it gives relief to the person concerned as life is full of worries and in this position he gets at least a transient refuge from the agonizing problems. When a person goes to the position of prostration Sajdah his whole body is in active motion. This position can be considered as a mini dive as the musalli (one who offers prayer) goes to rest his forehead on the ground while his hands are placed at the sides. This brings most of the body muscles if not all in active motion and serves to give them some exercise.

The hands are then specifically stretched out and thence the forearm as well as arm muscles are supposed to bear the weight in the Sajdah position. It gives good exercise to the muscles of the upper limb. The Prophet (sallAllaahu ‘alayhi wa sallam) in a hadith advised not to put the forearms flatly on the ground but to keep them elevated above ground and this is better for the forearm and arm muscles.

Sajdah is a unique position as this is the only position in which brain (or head) becomes lower than the heart and hence for the first time the blood gushes towards the brain with full force whereas in all other positions (even when lying) brain is above the heart when it has to work against gravity to send blood to the brain.

In the position of Sajdah due to the increased blood supply the brain receive more nourishment and it has good effect upon memory, vision, hearing, concentration, psyche and all other cognitive abilities. People who offer their prayers regularly have more will power and can cope with the difficulties of life in a much better manner. They have less incidence of headaches, psychological problems and other defects of cognitive function.

In the unique position of Sajdah the neck muscles get best exercise. They have to bear the load when the forehead lies at the ground hence the neck muscles become stronger. One can note the tense pressure at the neck muscles in the position of Sajdah specially the active motion of the neck and the facial muscles when the head is being lifted. (e.g. one inch above the ground) and it will be noticed that they are in a very active motion.

More strong cervical muscles mean the cervical vertebra will be better protected. Strength of cervical muscles is important as the head rests upon cervical vertebra supported by cervical musculature.

Infact head performs rotator movements over the cervical vertebra. In any accident cervical neck examination is especially important to the physicians because of its extraordinary importance.

It is uncommon that a person who offers his prayers regularly will get the usual neck myalgias or cervical spondylosis as the neck muscles particularly become very strong due to the 34 sajdahs offered daily in five prayers.

Position of Sajdah is also said to be a good treatment for the retroversion of uterus, a disease of women.

Most of us do not know that the position of Sajdah is an excellent exercise for men (for manpower). It may be a good information to the Viagra dependents. While getting up from Sajdah the perinneal muscles are one of those muscles which have to pull the trunk back to sitting position and they contract actively. Similarly while standing up from Sajdah the perennial muscles are again actively mobilised and this gives much strength to the muscles important for manpower.

The unique position of Sajdah also has positive effects upon the back muscles as while going into Sajdah and getting up from it the back muscle contract actively and they become stronger. Probably it is because of this reason that a person who is regular in prayers will uncommonly get backache.

After performing Sajdah either the musalli stands up or he sits to pray Attahiyyat. In this position the person sits calmly while his hands rest at his thighs which are folded backwards. This is much similar to the relaxation position of Yoga and has soothing effect upon one’s health and mentation.

The Prophet Muhammad (sallAllaahu ‘alayhi wa sallam) used to elongate the position of Ruku (bending) and Sajdah positions and he advised to do so. In the light of the above facts it is appropriate to say that from medical point of view as well this advice is a golden rule for health.

Finally it must be reminded that prayer is not meant to be an exercise. However there are a lot of medical advantages associated with it.

Still the best blessing is the peace of mind, which a person derives by the accomplishment of his duty to Allah by fulfilling an obligation.

Dr. Muhammad Karim Beebani

Source: geocities…its_sajdah

আবার পাঁচবার বাসা থেকে মসজিদে সালাত আদায়ে যাওয়ার মাধ্যমে শারিরিক ব্যায়ামের সবচেয়ে উত্তম একটি উপায়। বর্তমান সমাজে মানুষ ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দেখা যায় অনেকের জন্য এই হাঁটা বাধ্যতামূলক করে নিতে হয়। অথচ মহান আল্লাহর আদেশ পালনার্থে সালাত আদায়ে মসজিদে গেলে ডায়াবেটিক রোগকে প্রতিরোধ করা যেতে পারতো। ফজরের সালাতের পর ভোরের  সুন্দর হিমেল বাতাস যা পরিশুদ্ধ তা আমাদের ফুসফুসের জন্য উপকারী। শ্বাস প্রশ্বাসের পুরু পদ্ধতিকে পরিশুদ্ধ বাতাস দিয়ে সঞ্চালিত করে।