ইব্নু ‘উমার (রাঃ)
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন এবং এ সিয়ামের জন্য আদেশও করেছেন। পরে যখন রমযানের সিয়াম ফরয হল তখন তা ছেড়ে দেওয়া হয়। ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) এ সিয়াম পালন করতেন না, তবে মাসের যে দিনগুলোতে সাধারণত সিয়াম পালন করতেন তার সাথে মিল হলে করতেন। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৯২
আয়িশাহ্ (রাঃ) জাহিলী যুগে কুরায়শগণ ‘আশূরার দিন সওম পালন করত। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- ও পরে এ সওম পালনের নির্দেশ দেন। অবশেষে রমযানের সিয়াম ফরয হলে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার ইচ্ছা ‘আশূরার সিয়াম পালন করবে এবং যার ইচ্ছা সে সওম পালন করবে না। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৯৩
রাসূল স.এর হিজরতের প্রথম বছর মদিনায় অবস্থানে যখন আশুরার সাওম বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন। পরবর্তী বছর অর্থাৎ হিজরতের ২য় বছর রামাদানের সাওম পালনের নির্দেশ মহান আল্লাহ নি’আমত হিসেবে দিলেন, তখন আশুরার সাওম নফল হিসেবে পালন করার সুযোগ রাখা হয়।