রামাদান পূর্ব কিছু অনুশীলন–১০

আল্লাহ সুবহান আরো বলেছেন:

প্রত্যেক মানুষের ভাল-মন্দ কাজের নিদর্শন আমি তার গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য বের করবো একটি লিখন, যাকে সে খোলা কিতাবের আকারে পাবে। পড়ো, নিজের আমলনামা, আজ নিজের হিসেব করার জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট। যে ব্যক্তিই সৎপথ অবলম্বন করে, তার সৎপথ অবলম্বন তার নিজের জন্যই কল্যাণকর হয়। আর যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয়, তার পথভ্রষ্টতার ধ্বংসকারিতা তার ওপরই বর্তায়। কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না। সুরা বনী ইসরাঈল: ১৩-১৫

রামাদানের জন্য এখনই একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করে নিন, কিভাবে ইবাদাতে সময় কাটাবেন।নিচের স্তরভেদে পরিবারে পরিকল্পনা করে নিন প্রত্যেকের জন্য।

 রামাদানে করণীয় পরিকল্পনাটি তিনটি গ্রুপে ভাগ করেছি।

১। বাড়ীর মুরুব্বীদের জন্য (পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, শশুর-শাশুড়ী, অন্যান্য বয়োবৃদ্ধদের জন্য)।

২। অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের জন্য।

৩। পূর্ণ বয়স্ক সন্তানের জন্য।    

মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।

 

 

রামাদানে পরিকল্পনা (বাড়ীর মুরুব্বীদের জন্য)

(পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, শশুর-শাশুড়ী, অন্যান্য বয়োবৃদ্ধদের জন্য)।

  • যারা কোরআন পড়তে জানেন তাঁদের অর্থসহ পুরো কোরআন একবার পড়ার জন্য ব্যবস্থা ও সুযোগ করে দিন। যারা কুরআন পড়তে পারেন না দৃষ্টিশক্তির বা অসুস্থতার জন্য উনাদের জন্য অর্থসহ পুরো কুরআন শুনার জন্য মোবাইল/কম্পিউটার/ল্যাপটপ ইত্যাদিতে সেট করে দিন বা আপনার সন্তানকে দিয়ে করিয়ে নিন।
  • কিছু ইসলামিক আলোচনা সেট করে রাখুন শুনার জন্য।
  • সহীহ দু’আ দরুদ বিশেষ করে সকাল বিকাল ও ফরয সালাতের পরের যিকির ও দু’আ পড়ার পরিকল্পনা দিন। একসাথে একটি লিফলেটের মত করে প্রস্তু্ত করে দিতে পারেন।
  • নামাজের নিয়ম, সূরাগুলো সহীহ হচ্ছে কি না তা যাচাই করার গুরুত্ব তুলে ধরুন, প্রয়োজনে একজন মুরুব্বী (যিনি সহীহ নিয়ম জানেন) উনাকে কিছুদিন বাসায় আনার ব্যবস্থা করতে পারেন।
  • মুরুব্বীদের দায়িত্ব দিন বাসার ছোট ছেলে-মেয়েদের নবী জীবনী/ দু’আ শুনাতে।
  • রোযা রাখতে সামর্থ্য না থাকলে এখনি ফিদিয়া আদায়ের ব্যবস্থা করে ফেলুন।
  • নির্দিষ্ট রোগী হলে (ডায়াবেটিক) সেই অনুযায়ী ইফতার ও সেহরীর মেন্যু ঠিক করে বাজার করিয়ে ফেলুন।
  • সময় নষ্টকারী অনুষ্ঠান দেখা/বেহুদা গল্প করা (গীবত) থেকে বিরত রাখুন।
  • দান করার জন্য উনাদের সাথে পরামর্শ করে (কুরআনের আলোকে) দানের খাত বের করুন। নিজের(মুরুব্বীর) সম্পদ বা মুরুব্বী কোন খাতে দান করতে চান সেই খাতে আপনার সম্পদ থেকে দানের সহযোগীতা করুন।
  • বয়স্ক হলেও শরীয়াতে পর্দার বিধান অনুসরনে সহযোগীতা করুন।
  • অন্য আত্মীয়দের সাথে একটি হলেও দীনের কথা বলার জন্য উৎসাহিত করুন।

মহান আল্লাহ আমাদের মুরুব্বীদের সুস্থভাবে তাঁর সন্তুষ্টির কাজ করার তাওফিক দান করুন।

 

 

রামাদানে পরিকল্পনা (অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের জন্য)

১।  কুরআন প্রতিদিন শেখানোর জন্য একজন শিক্ষক নিযুক্ত করুন।

২। কুরআনের গল্প প্রতিদিন একটি করে শুনাতে বলুন/নিজে বলুন।

৩। ছেলে শিশুকে মসজিদে ও মেয়ে সন্তানকে সাথে নিয়ে নামাজ আদায় করুন।

৪। নামাজে পড়া যায় এমন ছোট সূরা অর্থসহ নির্দিষ্ট করে শেখান: ৫-৬টি

৫। আখলাক জাতীয় হাদীস ১টি করে শুনান, প্রয়োজনে মুখস্ত করিয়ে দিন ও বাস্তবে আমল করান।

৬। প্রতিটি কাজের আগে নির্ধারিত যিকির বা দু’আ শেখান ও বাস্তবে পড়ার অভ্যাস করান।

৭। সবাইকে সুন্দর করে সালাম দেয়ার অভ্যাস করান।

৮। টেবিলে ইফতার গুছানোর কাজ দিন।

৯। সেহরীতে জাগিয়ে দিন, সেহরী খেতে উৎসাহিত করুন এবং ফজর নামাজ সাথে নিয়ে পড়ুন।

১০। মাঝে মাঝে রোজা রাখতে উৎসাহিত করুন। শিশুদের রোযা: আমাদের শিশুদেরও রোযা রাখাতাম। তাদেরকে আমরা তুলা বা পশমের খেলনা তৈরী করে দিতাম। তারা কেউ খাওয়ার জন্য কাঁদলে আমরা তাদেরকে ঐ

       খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এইভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত। সহীহ আল বুখারী: ১৮২১

১১। শিশুদের হাত দিয়ে দান করান। অন্যদের ইফতার খাওয়াতে কাজ দিন।  খাওয়া দাওয়ার আদব সম্পর্কে শিক্ষা দিন।  মহান রবের নি’আমত এর শুকরিয়া আদায়ের শিক্ষা দিন।

১২। টিভিতে কার্টুন বা অন্য কোন বেহুদা অনুষ্ঠান না দেখতে দিয়ে কম্পিউটারে গেইম খেলতে ছেড়ে না দিয়ে কিছু ইসলামিক প্রামান্য, ইতিহাস, ছোট শিশুদের কুরআন তেলাওয়াত দেখান। নিজ সন্তানের কুর’আন

তেলাওয়াত রেকর্ড করে উপভোগ করুন পরিবারে, পুরস্কৃত করুন এই কাজের জন্য।

১৩। ইসলামিক ইতিহাস জানার জন্য কিছু কুইজ প্রস্তুত করে শেখাতে পারেন, উপহার দিতে পারেন উৎসাহিত করার জন্য।

১৪। পাঠ্য বইয়ের পড়ার ব্যপারে অন্তত এই মাসটা হালকা করে দিন।

১৫। পর্দার অনুভূতি ও লজ্জাশীলতার শিক্ষা দিন। বন্ধুদের সাথে পরিচ্ছন্ন ও শিক্ষনীয় গল্প করার শিক্ষা দিন।

১৬। বিভিন্ন কেনা কাটার বায়না বা আবদারে সংযম শিক্ষা দিন।

১৭। ভালো কাজের পুরস্কার ও খারাপ কাজের শাস্তি এবং সর্বাবস্থায় মহান রব দেখছেন এই শিক্ষা ও অনুভূতি জাগিয়ে তুলুন।

১৮। সকল কাজের পিছনে শুধুমাত্র একমাত্র মহান রবের সন্তুষ্টির নিয়ত থাকতে হবে এখনই বুঝতে দিন।

১৯। ইবাদাতের সকল নিয়ম রাসূল স.এর দেখানো পদ্ধতিতে হতে হবে সেই শিক্ষা দিন। ফরয ইবাদাতের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।

২০। সাবালক ও সাবালিকাদের কোন শরয়ী কারন ছাড়া রোযা না করার সুযোগ দিবেন না। পুষ্টিকর ও পছন্দনীয় খাবার মেনু দিয়ে প্রয়োজনে অভ্যস্থ করতে হবে।

পরিবারের বন্ধন দুনিয়াতে ও আখেরাতেও যেন থাকে সেই পরিবেশ সম্পর্কে বুঝতে দিন, ভালোবাসা ও পবিত্র সুন্দর আচরন নিজেকে দিয়ে শেখান।

রামাদান  পরিকল্পনা (প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য)

   ১। কুরআন

  • অর্থসহ একবার পড়ার জন্য সুযোগ করে নিন। যদিও এটা বাধ্যতামূলক নয় যে রামাদানেই পুরুটা পড়তে হয়, তবে এটা একটা সুযোগ যে নিজ জীবন বিধানকে জানার। দিনে ৩০-৩৫ পৃষ্ঠা বা প্রতি ওয়াক্তে ৭ পৃষ্ঠা করে পড়ে নিলে এক মাসে পুরোটা পড়া যাবে। আপনারা অন্যভাবেও নিজেদের সুবিধামতো করে  পরিকল্পনা করে নিন।
  • হায়েজ/নিফাস অবস্থায়ও তিলাওয়াত শুনা ও অর্থ পড়ার কাজ চালু রাখুন। তাফসীর সমূহ পড়া যায় এই সময়েও যা স্কলার্সদের অভিমত।
  • নিচের সূরা গুলো সহ আপনি যে আয়াতগুলো নামাজে পড়েন অন্তত সেগুলো এই রোযায় শব্দভিত্তিক অর্থ শেখার পরিকল্পনা নিতে পারেন।

সূরা নং- ৯৭, ৯৯, ১০১-১১৪ (সহীহ ভাবে তেলাওয়াত সহ) অথবা শুধু পুরু ৩০তম পারাটি বুঝে জানা ও মানার চেষ্টা করুন।

  • কয়েকটি সূরা অধ্যয়নের (তাফসীর সহ) পরিকল্পনা নিতে পারেন, সূরা নং- ৩৬, ৫৫, ৫৬, ৫৭, ৫৯, ৬৩, ৬৪, ৮৭, ৯০, ৯২
  • দু’আ মুখস্থের তালিকা করে নিন। বেশী করে দরুদ পড়ুন। সকাল বিকাল ও ফরয সালাতের পরের যিকির ও দু’আ একসাথে একটি লিফলেটের মত করে প্রস্তু্ত করে নিতে পারেন।

২। প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় হাদিস জানুন ও মানুন – প্রতিদিন ১টি করে সহীহ আল বুখারী ও সহীস মুসলিম থেকে।

৩। তওবা ও ইস্তেগফার বেশী করে করুন। এটা খুবই জরুরী। সাইয়েদুল ইস্তেগফার শিখে নিন। অনুশোচনা ও আত্মউপলব্ধি নিয়ে বিগত গুনাহের জন্য ক্ষমা ও আগামী দিনের জন্য হেদায়েতের পথে টিকে থাকার জন্য সাহায্য

কামনা মহান আল্লাহর কাছে করুন।

৪। নামাজ ওয়াক্ত অনুযায়ী ও খুশু সহকারে সহীহভাবে আদায় করুন।

৫। তারাবীহ ও জুমার নামাজ মসজিদে পড়ায় পরিবারের সবাইকে সহযোগিতা করুন।

৬। তাহাজ্জুদ নামাজে অভ্যস্ত হোন যদিও ২ রাক’আত হয়। মহান আল্লাহর সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী ও বেশী করে আল্লাহ তা’লার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, চেয়ে নিন আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস। চোখের অশ্রু ফেলুন

জাহান্নামের ভয়ে, নিজের গুনাহের অনুশোচনায়। পরিবারের সদস্যসহ সকল মু’মিন বান্দাহদের (জীবিত ও মৃত) জন্য দোয়া করুন।

৭।  সালাতুত দোহা নামাজে অভ্যস্ত হোন।

৮। নিজের আচার-আচরণ সুন্দর করুন যেন পরিবারে উত্তম মানুষ হিসেবে সাক্ষী পেতে পারেন যা আখেরাতে মুক্তির জন্য সহায়ক।

৯। শিরক-বিদ’আত, হারাম কাজ থেকে পরিচ্ছন্ন হোন। বিশেষ করে আয়ের ও জমানোর ও ব্যয়ের স্থানগুলো হারামমুক্ত করে ফেলুন সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই।

১০। মিথ্যা কথা (কৌতুক করে হলেও) বলা, গীবত করা, অন্যকে কষ্ট দেয়া ও লোক দেখানো কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।

১১। এই রামাদান মাসে নিজের ব্যক্তিগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার তাগিদেই টিভি, কম্পিউটারে সময় কমিয়ে আনুন বা বাদ রাখুন (যদিও ভাল অনুষ্ঠান হয়)।

১২। কোন ফরয/ওয়াজিব কাজ আমলে না এনে থাকলে তা এই মাসেই অভ্যাস করে ফেলুন। বিশেষ করে পর্দার ব্যপারে আমলী হউন এখনি।

১৩। রামাদান মাস জিহাদের মাস, এই মাসেই বেশির ভাগ যুদ্ধ হয়েছিল যা ইসলাম কায়েমের জন্য। এই খাতে দানের উত্তম উদাহরণ আমরা সাহাবা রা. ও মুমিনা নারীদের জীবনে দেখতে পাই। তাই এই মাসে এই খাতে

(ইসলাম প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোন কাজে) আপনারাও শরীক হোন।

১৪। যাকাত ও ফিতরার  সঠিক হিসেব করে বন্টনের পরিকল্পনা করে ফেলুন।

১৫। প্রতিদিন অল্প কিছু দিয়ে হলেও কাউকে ইফতার করান।

১৬। প্রতিদিন ১টি আয়াত বা হাদীস অন্যকে শুনান।

১৭। ই’তেকাফে বসার পরিকল্পনা রাখুন। এখনি রামাদানের শেষ দশদিনের কোন সময়ের জন্য ছুটির ব্যবস্থা নিয়ে নিন। ইতিকাফ পুরুষ মহিলা সকলের জন্যই মসজিদে আদায়ের ইবাদাত।

১৮। শেষ দশ রোজা বিশেষ করে বেজোড় রাতগুলোতে সারা রাত ইবাদাতে মশগুল থেকে পবিত্র মহিমান্বিত রাতের যে সকল ফায়দা রয়েছে তা হাসিল করার চেষ্টার পরিকল্পনা করুন।

১৯। যাদের বিভিন্ন জিনিস (তামাক পাতা, জর্দা, সিগারেট) খেতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন এবং একধরনের নেশা হয়ে গিয়েছে, এই রামাদান মাসটিকে আপনারা কাজে লাগাতে পারেন। মহান আল্লাহ তা’লার সাহায্যে

ইনশাআল্লাহ এই সমস্ত কুঅভ্যাস থেকে নিজেদের ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তবে নিজেদের মনকে সিদ্ধান্ত নেয়াতে হবে প্রথমে। “জীবন” এই দুনিয়াতে একবারই, সময় চলে যাচ্ছে!!!!

২০।  গায়ের মাহরামদের সাথে অবাধ মেলা মেশা ও অবৈধ সম্পর্ক থেকে এখনই সরে আসুন তাওবা করে,যেন যিনাকারীদের মাঝে অন্তর্ভূক্ত না হয়ে যান। মুবাইলে ও সামাজিক মিডিয়াতে হারাম যোগাযোগ থেকে ফিরে

আসুন।  সন্তানদেরও তথাকথিত গার্ল ফ্রেন্ড ও বয় ফ্রেণ্ড কনসেপ্ট থেকে সরে আসার শিক্ষা দিন, ইসলামে হারাম করে দেয়া হয়েছে এই সম্পর্ককে। আপনা্র আখেরাতের বিচারের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে এখনই

সচেতন ভূমিকা রাখুন ও জাহান্নামের আগুন থেকে পরিবারকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

২১। নাচ,গান,সিনেমা ও অতিরিক্ত খেলা দেখা নিয়ে নিজের মূল্যবান সময়কে নষ্ট করার দায়বদ্ধতা থেকে এখনই মুক্ত হোন। অভ্যস্থ হোন কল্যানমূলক কাজে সময় দিয়ে।

২২। অধিনস্থ গৃহ পরিচারিকা, ড্রাইভার, দাড়োয়ান প্রত্যেকেই আপনার পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনার দায়বদ্ধতায় আছে। তাই এদেরকে গুনাহ থেকে দূরে রাখার উপদেশ ও ভালো কাজে জড়িত থাকার সহযোগীতা

আপনাকে করতে হবে। অনেকে মন খুশি করার জন্য সিনেমা নাটক দেন যার দায়বদ্ধতা এড়াতে পারবেন না হাশরের ময়দানে। তাকে কোরআন শেখা ও বুঝার ব্যবস্থা করে দিন। আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসা জাগ্রত করে

সেই রকম আলোচনা শুনার সুযোগ করে দিন।

মহান আল্লাহ তা’লা আমাদের আমল করার মন ও দৃঢ়তা দান করুন, আমীন।

পবিত্র রামাদানের শুভেচ্ছা সকলের জন্য।

মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে রামাদানের প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষিত হওয়ার ও তাঁর ক্ষমাপ্রাপ্ত বান্দাদের মধ্যে শামিল হওয়ার সুযোগ দান করুন।