সূরা আবাসা সংক্ষিপ্ত তাফসীর-৪

 

مُكَرَّمَةٍ   শব্দের অর্থ সম্মানিত

مَرْفُوعَةٍ  যা উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন

مُطَهَّرَةٍ  পবিত্র

মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর পাঠানো জীবন নির্দেশিকা সেই সব উচ্চমানের লেখক যাঁরা সম্মানিত,পবিত্র ও উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ফেরেশতাদের দিয়ে লেখা সংরক্ষন ও সম্মানিত ব্যক্তির কাছে পৌছানোর কাজ করিয়ে থাকেন। রাসূল স.কে মহান আল্লাহ সম্মানিত করেছেন, তেমনি সম্মানিত ব্যক্তির কাছে সেই ধরনের যোগ্যতা সম্পন্ন ফেরেশতা দিয়েই বার্তা পৌছে দিয়েছেন।

তাই কুর’আনের বানী কেউ গ্রহন করলে তা নিজের জন্যই কল্যান। মহান আল্লাহর বানী কারো দিকে মুখাপেক্ষী নয় বরং মানুষই এই বানীর মুখাপেক্ষী কারন মহান রবের জীবন নির্দেশিকা ছাড়া কোনভাবে মানুষ সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারতো না এবং পারবেও না।

মহান আল্লাহ এখানে যারা কুর’আনের আহবানকে গ্রহন করেনি, উপেক্ষা করেছে এবং যারা এর বিরোধীতা করার কাজে লেগে গিয়েছে তাদের প্রতি অত্যন্ত ক্রোধ প্রকাশ করেছেন এবং অভিসম্পাদ করেছেন।

মহান আল্লাহই মানুষ সৃষ্টি করে তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু দিয়ে দিয়েছেন, সেই ব্যক্তি কিভাবে সৃষ্টিকর্তার বানীকে উপেক্ষা করতে পারে? অকৃতজ্ঞ হতে পারে? মহান আল্লাহই অফুরন্ত নি’আমত  দিয়েছেন।

একজন মানুষ যদি তার নিজের দিকে তাকিয়ে একটু চিন্তা করে যে পুরু শরীরে মহান আল্লাহ কি দিয়ে রেখেছেন-সুবহান আল্লাহ। মানুষের বুদ্ধি, শক্তি, মেধা, সৌন্দর্য সবকিছুই ভারসাম্য সহকারে দিয়েছেন কে? আজ আজকের আমিতে আসতে পেরেছি কার সহায়তায়? এতো কিছু বুঝার ও কথা বলার সামর্থ কে দিয়েছেন? মহান আল্লাহ বলেছেন-

হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ-) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যেন তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যেন সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।  সূরা হজ্জঃ ৫

      তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার চতুষ্পদ জন্তু অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ? সূরা যুমারঃ ৬

  আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, তারপর করেছেন তোমাদেরকে যুগল। কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং সন্তান প্রসব করে না; কিন্তু তাঁর জ্ঞাতসারে। কোন বয়স্ক ব্যক্তি বয়স পায় না। এবং তার বয়স হ্রাস পায় না; কিন্তু তা লিখিত আছে কিতাবে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। সূরা ফাতিরঃ১১

তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর নির্দিষ্টকাল নির্ধারণ করেছেন। আর অপর নির্দিষ্টকাল আল্লাহর কাছে আছে। তথাপি তোমরা সন্দেহ কর। সূরা আনআমঃ ২

আমরা যদি নিজেদের অবস্থান নিয়ে একটু চিন্তা করি যে একসময় আমি কি ছিলাম, কিভাবে এই পৃথিবীতে আসলাম,তারপর ধীরে ধীরে সুস্থ্য পূর্ণ মানুষে কিভাবে পরিনত হলাম? সুবহান আল্লাহ। শুকরিয়ায় মাথা নত হয়ে আসে মহান রবের দরবারে।

আমরা একজন ব্যক্তির কোন কিছু আবিষ্কার করলে অবাক হয়ে অভিভূত হয়ে সেই ব্যক্তির প্রশংসাসহ সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করে ফেলি। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি সেই একই মন দিয়ে আমরা আমাদের সৃষ্টি কর্তার সকল সৃষ্টি নৈপূন্য দেখে অভিভূত হয়ে, শুকরিয়া আদায়ে আত্মসমর্পন করেছি কতদিন বা কতবার?

মহান আল্লাহ বলেছেন-

মানুষের উপর এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব অতঃপর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। আমি তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি। এখন সে হয় কৃতজ্ঞ হয়, না হয় অকৃতজ্ঞ হয়।  সূরা আদ দাহরঃ ১-৩

বলুন, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং দিয়েছেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। সূরা আল মূলকঃ ২৩

  যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন। সূরা ইনফিতারঃ ৭

আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। সূরা আত-তীনঃ ৪

মহান আল্লাহ নিজ পরিকল্পনায় প্রতিটি মানুষকে অবয়ব দিয়েছেন, তাই যখনি কেউ নিজের চাহিদা বা ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে মহান রবের দেয়া সৌন্দর্য্যেকে অবহেলা করে বিকৃ্ত সাধন করে তখন আল্লাহ অসন্তুষ্ট হয়ে অভিসম্পাদ করেন সেই ব্যক্তিদের। যেমন-ভ্রু প্লাগ/ লোম তুলে ফেলা

হে মানুষ, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় ফিরে যাচ্ছ? সূরা ফাতিরঃ ৩

আমি পৃথিবীস্থ সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যাতে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে। সূরা কাহফঃ৭

দুনিয়ার সকলকিছুই দেয়া হয়েছে পরীক্ষার উপাদান হিসেবে, আমাদের যাচাই করার জন্য।

তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন? শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন। অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন,

অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে। এরপর যখন ইচ্ছা করবেন তখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। সূরা আবাসাঃ ১৮-২২

মহান আল্লাহ আমাদের যেমন সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ করে পাঠিয়েছেন তেমনি আবার মৃত্যুর পর কিয়ামতের দিন উঠাবেন এবং প্রতিদান দিবেন দুনিয়ার জীবনের কাজের হিসেব করে।

এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়। এরপর তোমরা মৃত্যুবরণ করবে।অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা পুনরুত্থিত হবে। সূরা মুমিনুনঃ ১৪-১৬

      তিনি হলেন যাঁর রয়েছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে শোধিত করেছেন পরিমিতভাবে।

                                                সূরা আল ফুরকানঃ২

      তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে তোমাদের সবাইকে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তিনিই সৃষ্টি করেন প্রথমবার আবার পুনর্বার তৈরী করবেন তাদেরকে বদলা দেয়ার জন্য যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে ইনসাফের সাথে। আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের পান করতে হবে ফুটন্ত পানি এবং ভোগ করতে হবে যন্ত্রনাদায়ক আযাব এ জন্যে যে, তারা কুফরী করছিল।    সূরা ইউনুসঃ ৪

আল্লাহ প্রথমবার সৃষ্টি করেন, অতঃপর তিনি পুনরায় সৃষ্টি করবেন। এরপর তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। সূরা আর রুমঃ ১১

অস্থায়ী জীবনকে আমরা যেন স্থায়ীভেবে নিজেদের কর্মকে বিনষ্ট না করে ফেলি, সেজন্য মহান আল্লাহ ভালোবেসে কতভাবে উপমা দিয়ে সাবধান করেছেন। নিজের জীবন ও দুনিয়ার অবস্থান ও যারা দুনিয়া থেকে চলে গিয়েছে সব কিছু নিয়ে একটু চিন্তা করলেই সত্য ছবিটা প্রকাশ হয়ে আসে, চোখ থেকে রংগীন চশমা খুলে পড়ে । তাই ভাবতে বলেছেন মহান রবের সুনিপুন এই সৃষ্টিকে নিয়ে যেন, আমরা সংশোধিত জীবন পরিচালনা করে স্থায়ী জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারি।

তিনিই তোমাদের কে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অনন্তর একটি হচ্ছে তোমাদের স্থায়ী ঠিকানা ও একটি হচ্ছে গচ্ছিত স্থল। নিশ্চয় আমি প্রমাণাদি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করে দিয়েছি তাদের জন্যে, যারা চিন্তা করে।

সূরা আন’আমঃ ৯৮

      তারা তাদের ত্বককে বলবে, তোমরা আমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিলে কেন? তারা বলবে, যে আল্লাহ সব কিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন, তিনি আমাদেরকেও বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনিই তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। হামীম সাজদাহঃ ২১

ভুলে গেলে চলবেনা যে এই জমীন, এই শরীরের অংগসমূহ সকলই সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে সেই বিচারের ময়দানে। আর আমলনামাতো আছেই আর তার চেয়ে সত্য মহান আল্লাহই সাক্ষী হয়ে আছেন আমার অন্তর ও বাস্তব কাজের। তাই এখনি সচেতন হয়ে নিজেকে এমন ভাবে কাজে ব্যস্থ করি যেন মহান রবের আনুগত্যের নমুনা থাকে এবং হাশরের মাঠে সঠিক ভালো সাক্ষী শুনতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের সচেতন হওয়ার তাওফিক দান করুন।

মহান আল্লাহ তা’আলা এখানে আমাদের জন্য এই পরিবেশ ও জীবন ধারনের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরনাদি দিয়ে রেখেছেন তা উল্লেখ করে বলেছেন,এগুলো মহান আল্লাহই দিয়েছেন, এতে মানুষের নিজস্ব কোন ভূমিকা নেই। একটু ভেবে দেখুন, গাছের বীজ ছড়িয়ে দিলেই কি চারা হয়ে যাবে? কে এই চারাকে মাটির নীচ থেকে বের করে দিচ্ছেন? এইরকম বহু নি’আমত আমাদের সামনেই আছে শুধু একটু চিন্তা করলেই বের হয়ে আসে, মনটা মহান রবের শুকরিয়ায় নত হয়ে যাবার কথা।

মহান রবের দেয়া এই নি’আমত দিয়েই ব্যক্তি শক্তি, বুদ্ধি ও সুস্থ্যতায় নিজেকে বিভিন্নমুখী কাজে লাগাতে পারছে। নি’য়ামত ছাড়া মানুষ কোনভাবেই বাচতেই পারতোনা আর বিভিন্ন রকম যোগ্যতার বিকাশতো দূরে থাক।

আবার মানুষ চাইলেই জন্ম নেয়াতে পারেনা এবং তেমনি চাইলেই মৃত্যুকেও বরন করতে পারে না। আবার তেমনি কার কোথায় কি ধরনের কবর লাভ করবে সেটাও কেউ ইচ্ছা করলেই নিজের মত করে করতে পারবে না। মৃত্যুর দিন ও স্থান সব কিছুই মহান আল্লাহর নির্ধারন মুতাবিক হবে। আবার মৃত্যুর পর কবর থেকে যখন উঠানো হবে তখন কেউ অস্বী্কার করার ক্ষমতা থাকবে না।

সেইদিন হাশরের মাঠে উঠানো হবে তখন সকলেই দেখতে ও বুঝতে পারবে যে এটাই সেই ওয়াদা করা দিন যেখানে ন্যায় বিচার কায়েম হবে। তখন প্রত্যেকেই নিজের পরিণতির কথা চিন্তা করে অস্থির হয়ে যাবে।

      মহান আল্লাহ তুলে ধরেছেন সেদিনের ভয়াবহতা–

  বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না। যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে,তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে,তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত।এবং পৃথিবীর সবকিছুকে, অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে। সূরা মা’আরিজঃ ১০-১৪

সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে, তার মাতা, তার পিতা, তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। সূরা আবাসাঃ ৩৪-৩৭

সুপ্রিয় পাঠক, হাশরের মাঠের অবস্থা মনে করে আমাদের দুনিয়ার জীবনের পথকে সঠিক করে নিতে হবে। আবেগ ভালোবাসা ও দুনিয়ার ভোগ বিলাস যেন মহান রবের বিধানের আনুগত্যের পথ থেকে বিন্দু পরিমান সরাতে না পারে সেইজন্য নিজেদের যেমন দৃঢ় ঈমান নিয়ে সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে পাশাপাশি মহান রবের সাহায্য চাইতেই থাকতে হবে।