দুনিয়ার জীবন-২(প্রশ্ন)

 

দুনিয়া-২

মহান আল্লাহ এই ধরনীকে সুন্দর করে সৃষ্টি করে জীবনের অবস্থাকে উপমা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু খুব কম লোকই মহান আল্লাহর আনুগত্য ও কৃ্তজ্ঞতায় জীবন কাটায়। মানুষ দুনিয়ার জীবনের ভোগ বিলাসে যখন স্বাচ্ছন্দে থাকে, যৌবনের রুপ শক্তিতে উন্মাদ হয়ে যায়, তখন জবাবদিহীতার কথা ভুলে  মনে করে এইতো জীবনের সবকিছু, যোগ্যতা শক্তি দিয়ে সব হাতের নাগালে, আর কি, আনন্দে আত্মহারা হয়ে নেচে গেয়ে অহমিকায় সময় পার করে দিতে চায় কিন্তু যখন চোখের সামনে বৃদ্ধ দাদা বা বাবা মা কে দেখে তখন কি মনে হয় না সেইদিনে যেতে হবে বা সাদা কাপড়ে ঢাকা ব্যক্তিকে বা ছোট শিশুকে খাটিয়াতে করে কবরে শুইয়ে দিতে যাচ্ছে তখন কি মনে হয় না যেকোন সময় সে অবস্থা আসছে—তাহলে কি করা প্রয়োজন?

ছবি ব্লগ(দুনিয়ার জীবন)-২

“তোমরা জেনে রাখ, পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আর কিছু নয়, যেমন এক বৃষ্টির অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছু নয়”।

বলতে হবে কোন সূরার কত নং আয়াত?