আল্লাহর আহবানে বায়তুল্লাহর অতিথির সাড়া-“হে আল্লাহ আমি হাযির-২৬ মাসজিদে নববী যিয়ারত

মাসজিদে নববী যিয়ারত

রাসূল স. বলেছেন, ইব্রাহীম আ. মক্কাকে হারাম ঘোষনা করেছিলেন, আর আমি এই মদিনাকে তথা এই প্রস্তরময় দুভূমির মাঝখানের অংশকে হারাম বলে ঘোষনা করছি, এর বৃক্ষসমূহ কাটা যাবে না এবং এর প্রানী শিকার করা যাবে না।  সহিহ মুসলিম:৩৩৮৩

মদিনার পথে প্রান্তরে রয়েছে (প্রহরী) ফিরিশতাগন, (তাই) এখানে মহামারি ও দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না।  সহিহ বুখারী:১৮৮০

ঈমান মদিনার দিকে ফিরে আসবে যেভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে আসে। সহিহ বুখারী: ১৮৭৬

যে ব্যক্তি আমার মসজিদে শুধু এই জন্যে আসে যে, সে কোন কল্যানের দীক্ষা নিবে কিংবা অন্যদের শিক্ষা দিবে, সে আল্লাহর পথে জিহাদকারীর সমতূল্য।  হাকিম:৩০৯ বুখারি ও মুসলিম শরীফের শর্তানুযায়ী

যে ব্যক্তি মদিনায় কোন পাপ করে, অথবা পাপাচারী আশ্রয় দান করে, তার উপর আল্লাহ, ফিরিশতাগন ও সকল মানুষের লা’নত পড়বে। কিয়ামতের দিন তার কাছ থেকে আল্লাহ কোন ইবাদাত ও দান গ্রহন করবেন না।  সহিহ বুখারি:১৮৭০

তাই নবী স.এর শহরে যাওয়ার সময় আমাদের সচেতন থাকতে হবে, যেন কোন গুনাহের কাজে জড়িয়ে না যাই।

হজ্জের পূর্বে বা পরে মদীনা মুনাওয়ারার মসজিদে নববী যিয়ারত করা সুন্নাত। পবিত্র মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়তে মদীনা মুনাওয়ারা রওনা দেবেন। সেখানে পৌঁছে সালাত আদায়ের পর আপনি নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করবেন। কিন্তু আপনার সফরটি কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে হবে না। কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে লম্বা ও কষ্টসাধ্য সফর করা শরীয়তে জায়েয নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الرَّسُولِ -صلى الله عليه وسلم- وَمَسْجِدِ الْأَقْصَى

অর্থাৎ, (ইবাদতের নিয়তে) মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদুল আকসা ব্যতীত কঠিন ও কষ্টসাধ্য সফরে যেও না। (বুখারী ১১৮৯)

এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে লম্বা ও কঠিন সফরে যাওয়া বৈধ নয়। কিন্তু সফররত অবস্থায় পথিমধ্যে আপনার কোন আত্মীয় বা কোন অলী-আওলিয়ার কবর সামনে পড়লে আপনি তা যিয়ারত করতে পারেন।

রাসূল স.বলেছেন, আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামায মাসজিদুল হারাম ছাড়া অন্য যে কোন মাসজিদে এক হাজার নামায অপেক্ষা উত্তম।                                       সহীহ বুখারী সহীহ মুসলিম

রাসূল স.বলেছেন, আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামায মাসজিদুল হারাম ছাড়া অন্য যে কোন মাসজিদে এক হাজার নামায অপেক্ষা উত্তম। আর মাসজিদে হারামে এক ওয়াক্ত নামায আমার এ মাসজিদে একশত নামায অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।                                                    আহমাদ ইবনে মাজাহ

মসজিদে নববী যিয়ারতের সাথে হজ্জ বা উমরার কোন সম্পর্ক নেই। এটা আলাদা ইবাদত। বছরের যে কোন সময় এটা করা যায়। এটা হজ্জের রুক্‌ন, ফরয বা ওয়াজিব কিছুই নয়। এটা স্বতন্ত্র মুস্তাহাব ইবাদত। একটি কথা আমাদের মাঝে বহুল প্রচলিত আছে, সেটা হল- “যে ব্যক্তি হজ্জ করল অথচ আমার যিয়ারতে এল না সে আমার প্রতি জুলুম করল।” এ বাক্যটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন হাদীস নয়। এটি মওদূ অর্থাৎ মানুষের তৈরী বানোয়াট কথা।

মসজিদে নববীতে প্রবেশের সময় প্রথম ডান পা রাখবেন এবং এরপর নিম্নোক্ত দো’আ পড়বেন :

أَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ وَوَجْهِهِِ الْكَرِِيْمِِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِِ مِنَ الشَّيْطَانِِ الرَّجِيْمِِ ، اللّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

অর্থাৎ বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা হতে মহান আল্লাহ, তাঁর সম্মানিত সত্তা ও প্রাচীন বাদশাহির নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দাও।

এ দো’আ যে কোন মসজিদে প্রবেশের সময়ও পাঠ করা যায়।

মসজিদে প্রবেশ করেই তাহিয়্যাতুল মসজিদের দু’রাকাত নামাজ পড়বেন।

অতঃপর আপনার ইচ্ছা মোতাবেক দোয়া মুনাজাত করতে থাকবেন। উত্তম হলো এগুলো রিয়াদুল জান্নাতে বসে করা। আর এ স্থানটি হলো মসজিদটির মিম্বর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের মধ্যবর্তী অংশের জায়গাটুকু। এ স্থানটি সাদা কার্পেট বিছিয়ে নির্দিষ্ট করা আছে। ভীড়ের কারণে সেখানে জায়গা না পেলে মসজিদের যে কোন স্থানে বসে সালাত আদায় ও দোয়া-দরূদ পড়তে পারেন। সালাত আদায়ের পর কবর যিয়ারত করতে চাইলে আদব, বিনয়-নম্রতা ও নিচু স্বরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে এভাবে তাঁকে সালাম দিন :

السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ – اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ – اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

অথবা এতদসঙ্গে আপনি এভাবেও বলতে পারেন :

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ

রাসূলুল্লাহ স. নিজেই বলেছেন :

“যে কেউই আমাকে সালাম দেয় তখনই আল্লাহ তা’আলা আমার রূহকে ফেরত দেন, অতঃপর আমি তার সালামের জবাব দেই।” (আবূ দাউদ ২০৪১)

এরপর একটু ডানে অগ্রসর হলেই আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকে সালাম দিবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আর একটু ডানদিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন উমর রাদিআল্লাহু আনহু-এর কবর। তাকেও সালাম দেবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ উক্ত তিনজনকে আপনি এভাবেও সালাম দিতে পারেনঃ

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ اللهِ – اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا بَكْرٍ – اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا عُُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ

অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশী না বলাই উত্তম। এরপর এ স্থান ত্যাগ করবেন।

রিয়াদুল জান্নাত:

রাসূল স. বলেছেন, আমার হুজরা এবং আমার মিম্বারের মাঝে জান্নাতের বাগিচাসমূহের মধ্যে একটি বাগিচা রয়েছে।

এখানে দুই রাকয়াত নামায পড়ে আল্লাহর নিকট দুয়া করবেন। মহিলাদের জন্য সময় ভাগ করে গ্রুপ করে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারনত সাদা কার্পেট ও সবুজ কার্পেট দিয়ে সেই জায়গাটুকু আলাদা করা আছে।

আবু হুরাইরাহ রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল স. বলেছেন,

যে ব্যক্তি আমার উদ্দেশ্যে সালাম পাঠায় আল্লাহতাআলা আমার রুহকে আমার দেহে ফিরিয়ে দেন, ফলে আমি তাঁর সালামের জওয়াব প্রদান করে থাকি

সূনানে আবু দাউদ

আল্লাহ তা’আলার একদল ফেরেশতা রয়েছে যারা পৃথিবী জুড়ে বিচরণ করছে। যখনই আমার কোন উম্মত আমার প্রতি সালাম জানায় ঐ ফেরেশতারা তা আমার কাছে তখন পৌঁছিয়ে দেয়। (নাসায়ী ১২৮২)

সালাম জানাবেন এইভাবে, আদব,বিনয় ও নম্রতার সাথে দাঁড়িয়ে আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ ওয়া রাহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতুহু।

নারীদের জন্য কবর যিয়ারত করা ঠিক নয়। তবে মহিলারা মাসজিদে নববী যিয়ারত করতে পারবে এবং এতে ইবাদাতও করতে পারবে। তারা নিজ স্থানে বসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর সালাম পাঠাবে। আর তারা যেখানেই থাকুক সে সালাম তাঁর কাছে পৌঁছবে। মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গেইট দিয়ে নবীজীর রওজার কাছা কাছি রিয়াদুল জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ করা হয়। হজ্জের সময় সাধারনত তিনটি সময়ে এই ব্যবস্থা করা হয়, গেইট নাম্বারটা জেনে নিবেন, বিভিন্ন দেশের গ্রুপ করে করে ভলান্টিয়ারদের তত্ত্বাবধানে মহিলাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

অনেকে আবেগের বশবর্তী হয়ে বিদয়াতী কাজে জড়িয়ে পড়েন যেমন রুমাল দিয়ে দেয়াল মুছে নেয়া, জোরে জোরে দরুদ, আহাজারি করে কান্না ইত্যাদি। তবে সেখানে যে ভলান্টিয়ার নিযুক্ত থাকেন এইসব কাজে বাধা দিয়ে থাকেন।

মসজিদে নববীর আরেকটি ভালো লাগার দিক তা হলো ছাদ দুপাশে সরে যেয়ে খোলা আকাশ দেখা যায়। রাতে ও দিনে অনেক সময়ই এটা হয়।

আল্লাহর রাসূল স. এই মসজিদে এই জায়গাতেই সাহাবাদের নিয়ে নামাজ পড়েছেন, তখন ছিল না এতো উন্নত ছাদ, এসির বাতাস, তবে সেখানে ছিল ঈমানের বলে বলিয়ান একদল সাহাবাদের জীবন্ত নামাজ। একটু কল্পনা করুন আল্লাহর প্রিয় বন্ধু রাসূল স. এই মদীনাতে হিজরত করে এসে খেজুরের ঢালের এই মসজিদে বসেই রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা কুর’আনের আলোকে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন।

শুধু মাত্র কবর যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা নিষেধ, তবে মসজিদে নববী যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা সুন্নাত। রাসূল স.বলেছেন,

তিন মসজিদ ব্যতিত অন্য কোন স্থানের জন্য সফর করা যাবে নাআল মাসজিদুল হারাম,আমার মাসজিদমাসজিদে নববী মাসজিদুল আল আকসা বাইতুল মাকদিস

সহীহ আল বুখারী মুসলিম

তাই এই তিন মাসজিদ যিয়ারতের জন্য বাড়ী হতে সফর করা বৈধ।

মসজিদে নববী যিয়ারতের সময় যে কাজ করা যাবে না-

১। নবী সা. -এর রওজা যিয়ারতের সময়ে তাঁর কাছে শাফায়াত চাওয়া যাবে না।

২। দোয়া করার সময় নবী সা. -এর কবরের দিকে মুখ করে দাঁড়ানো যাবে না, শুদ্ধ হলো- কাবার দিকে মুখ রাখা।

৩। কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদীনা সফর করা ভুল। শুদ্ধ হলো মসজিদে নববী যিয়ারতের জন্য সফর করা।

৪। নবী সা. এর কাছে কোন সাহায্য চাওয়া যাবে না। আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।

৫। রোগমুক্তি বা কোন মকসূদ পূরণের জন্য রাসূলুল্লাহ সা. বা মৃত কবরবাসীদের কাছে কোন কিছু যাওয়া যায় না।

৬। তাছাড়া কবর ও রওজার দেয়াল বা গ্রীল বা অন্য কিছু ভক্তি ভরে স্পর্শ করবেন না।

৭। আমাদের সমাজে আরেকটি কথা হাদীসের নামে প্রচলন আছে যা সঠিক নয় সেটা হলো ৪০ ওয়াক্ত সালাত পড়ার কথা।

জান্নাতুল বাকী

পুরুষদের জন্য সুন্নাত হল “জান্নাতুল বাকী” কবরস্থান যিয়ারত করা। এটা মদীনার কবরস্থান। সেখানে শায়িত আছেন উসমান রাদিআল্লাহু আনহুসহ অসংখ্য সাহাবায়ে কিরাম।

হামযা রাদিআল্লাহু আনহুসহ উহুদ যুদ্ধের শহীদগণ উহুদ প্রান্তে শায়িত আছেন। যিয়ারতের সময় তাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন। কবর যিযারত করার সময় বলবে,

السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ ، نَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ».

অর্থ: কবরবাসী মুমিন-মুসলিম আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক । নিশ্চয় আমরা আপনাদের সাথে মিলিত হবো। আমরা আল্লাহর কাছে আপনাদের এবং আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

(সুনান ইবন মাজাহ :১৫৪৭)

কবর যিয়ারতে আমাদেরকে উৎসাহিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

“তোমরা কবর যিয়ারত কর, কেননা এ যিয়ারত তোমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।”(মুসলিম ৯৭৬)

কবর যিয়ারতের মূল উদ্দেশ্য হল, আখেরাতের কথা স্মরণ করা এবং দোয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির উপকার করা। অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে যে, কোন অবস্থাতেই মৃত ব্যক্তির কাছে কিছুই চাওয়া যাবে না। চাইলে শির্ক হয়ে যাবে আর শির্ক ঈমান থেকে বহিস্কার করে দেয়। ফলে সে আর মুসলিম থাকে না। অতএব যাই আপনি চাইবেন তা শুধু আল্লাহর কাছেই চাইবেন।

মাসজিদে কুবা—মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতে পর মুসলমানদের প্রথম মসজিদ এটি। কুবা নামক স্থানে রাসূল স. সাহাবাদের নিয়ে কিছুদিন অবস্থান করে এই মসজিদ নিজ হাতে নির্মান করেন।

পরবর্তীতে মসজিদে নববী নির্মান হলেও সপ্তাহে একদিন রাসূল স.এই মসজিদে এসে সালাত আদায় করতেন।

রাসূল স. বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ গৃহে ওযূ করে কুবা মসজিদে উপস্থিত হল, তারপর সেখানে নামায পড়ল, তার জন্য এক উমরার নেকীর সমান পূণ্য অর্জন হল। ইবনে মাজা,নাসায়ী

মদীনায় উপস্থিত হয়ে একটু ভেবে দেখুন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবহুল স্থানগুলো দেখে একটু অতীতে রাসূলের যুগে ফিরে যেয়ে দেখেন কি ভালোবাসা ও আত্মত্যাগ ছিল আল্লাহর বিধানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। তাই জান্নাতুল বাকী, উহুদ পাহাড়, রুমা পাহাড় (এখানেই মুসলিম তীরন্দাজরা দাড়িয়ে ছিলেন কিন্তু গনীমতের মালের জন্য বিজয় নিশ্চিত জেনে সরে গিয়েছিলেন) শহীদদের ত্যাগ ইত্যাদি ইতিহাস জানা প্রয়োজন। নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন যেন, রাসূলের স. দেয়া আদর্শকে জমীনে উজ্জীবিত করতে কাজ করে যাবেন।

মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে রাসূলের স. উম্মত হিসেবে কবুল করে নিন। আমীন।