সূরা যিলযাল
১নং উত্তরঃ
যখন(When)
প্রকম্পিত হবে(is shaken)
তার (ভীষণ) কম্পনে(with its earthquake)
এবং বের করবে(And brings forth)
পৃথিবী(the earth)
বোঝাগুলোকে তার(its burdens)
সেদিন(That Day)
সে বর্ণনা করবে(it will report)
তার বৃত্তান্ত(its news)
আদেশ করবেন(inspired)
বের হবে(will proceed)
দলে দলে ভাগ হয়ে((scattered groups)
দেখানোর জন্য(to be shown)
পরিমাণ( weight)
অণু(an atom)
সৎকর্ম(good)
অসৎকর্ম(evil)
সে তা দেখবে(will see it)
২নং উত্তরঃ দুটি শিংগা ফুঁকের কথাই এসেছে।
প্রথম নিনাদকে نفخة صعق ‘কম্পনের নিনাদ’ এবং দ্বিতীয় নিনাদকে نفخة بعث বা ‘পুনরুত্থানের নিনাদ’ বলা হয়। প্রথম নিনাদে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে নতুন পৃথিবী হবে। অতঃপর দ্বিতীয় নিনাদের পরেই আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হবে। তাতে মৃতরা সব জীবিত হয়ে উঠে যাবে। দুই নিনাদের মাঝে সময়ের ব্যবধান হবে চল্লিশ। সেটি দিন, মাস না বছর, সে বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে অস্বীকার করেন’।বুখারী হা/৪৯৩৫, মুসলিম হা/২৯৫৫
৩নং উত্তরঃ
ক) যমীন তার ভার বের করে দেবে( মরা মানুষদেরকে সে বাইরে নিক্ষেপ করে ক্ষান্ত হবে না বরং তাদের প্রথম জীবনের সমস্ত কথা ও কাজ এবং যাবতীয় আচার-আচরণের রেকর্ড ও সাক্ষ্য-প্রমাণের যে স্তুপ তার গর্ভে চাপা পড়ে আছে সেগুলোকেও বের করে বাইরে ফেলে দেবে)
খ) যমীন তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে(যমীন তার মধ্যে কৃত ভাল-মন্দ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের হিসাব দাখিল করবে। যমীনের ওপর যা কিছু ঘটে গেছে তার সবকিছু সে কিয়ামতের দিন বলে দেবে। [কুরতুবী])
৪নং উত্তরঃ
২য় শিংগা ফুঁকের পর পুনরায় জীবন লাভ করে চেতনা ফিরে পাবার সাথে সাথেই প্রত্যেক ব্যক্তির প্রথম প্রতিক্রিয়া এটিই হবে যে, এসব কি হচ্ছে? এটা যে হাশরের দিন একথা সে পরে বুঝতে পারবে।
আখেরাত অস্বীকারকারীরা বলবে, “কে আমাদের শয়নাগার থেকে আমাদের উঠালো?” এর জবাব আসবে, “এটি সেই জিনিস যার ওয়াদা করুণাময় করেছিলেন এবং আল্লাহর পাঠানো রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন।” [সূরা ইয়াসিন: ৫২]
৫ নং উত্তরঃ
রাসুল (সা.) বলেন, ‘ভালো কোনো কাজকেই তুচ্ছ মনে করবে না। কাউকে এক টুকরো রশি দিয়ে সহযোগিতা করে হোক, কাউকে একটি জুতার ফিতা দিয়ে হোক, তোমার পানির পাত্র থেকে পানিপ্রত্যাশী কারও পাত্রে সামান্য পানি ঢেলে দিয়ে হোক, মানুষের চলার পথ থেকে কষ্টদায়ক কোনো কিছু সরিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে হোক, হাসিমুখে তোমার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে হোক, তোমার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সালাম দিয়ে হোক, পৃথিবীতে কোথাও কারও একাকিত্ব দূর করে দিয়ে হোক কোনো কিছুকেই তুমি তুচ্ছ মনে করবে না। তোমার কোনো অন্যায়ের কথা জেনে কেউ যদি তোমাকে গালি দেয় আর তুমি জানো তার মধ্যেও এ দোষটি রয়েছে, তখন তুমি তাকে গালি দেবে না; এতে তার প্রতিদান তুমি পেয়ে যাবে, আর তার গুনাহ তার কাঁধেই থাকবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৯৫৫)
সগীরা বা ছোট গুনাহের কতিপয় উদাহরণ:
সগীরা বা ছোটগুনাহের সীমা-সংখ্যা নাই। তবুও নিম্নে বহুল প্রচলিত কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হল:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
🔰নামাযরত অবস্থায় এদিক ওদিকে দৃষ্টিপাত করা।
🔰নামায অবস্থায় কাপড়, দাড়ি, বা শরীরের কোন অঙ্গ নিয়ে খেলা করা।
🔰জুমার ২য় আযানের সময় বেচাকেনা করা।
🔰কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোনো মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবের উপর তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে অন্যজন প্রস্তাব করা।
🔰বেচাকেনার ক্ষেত্রে কেউ দরদাম করছে এমতাবস্থায় তার শেষ হওয়ার আগে আরেকজন এসে দরদাম শুরু করা।
🔰কোন পর নারীর দিকে দৃষ্টিপাত করা।
🔰 স্ত্রীকে এক বৈঠকে একাধিক তালাক দেয়া।
🔰 ঋতু চলাকালীন সময়ে তালাক দেয়া।
🔰 অতিরিক্ত ঝগড়া-ঝাটি করা।
🔰 গীবত শুনে চুপ থাকা।
🔰 পাপাচারী লোকদের সাথে ( সংশোধন ও দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া) উঠবস করা।
🔰 খোলা স্থানে কিবলার দিকে মুখ করে বা কেবলাকে পেছনে করে পেশাব-পায়খানা করা।
🔰 বিনা প্রয়োজনে উপকার হীন কথাবার্তা বলা ইত্যাদি।