অনেক ক্ষেত্রে সন্তান গর্ভে থাকাবস্থায় পিতা মারা যান তাই অন্য যিনি গর্ভবতী মায়ের অভিভাবক হোন, তার পক্ষ থেকে গর্ভবতী মায়ের জন্য কিছু করনীয় থাকে। এই সময় সন্তানের যিনি বাবা হতে যাচ্ছেন, তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সন্তান মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই এই মায়ের যত্নের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। যেমন-
-মানসিক ও শারিরীক শান্তির জন্য- বিশ্বাস ও ভরসার জায়গাটা আরো সুন্দর রাখা,
-মাঝে মাঝে কিছু সন্দর আদর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করা
-পরিবারের অন্য সদস্যদের কোন আচরনগত সমস্যাকে নিজে সমাধান করে আশ্বস্থ করা। পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে বলা।
-ছোট খাট উপহার দেয়া, সেটা একটি ফুল হতে পারে।
-খাবার দাবার ও বিশ্রাম ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা খেয়াল রাখা।
-নিজে সাথে করে সময়মতো ডাক্তারের চেক আপে নিয়ে যাওয়া।
-পছন্দনীয় খাবার স্ত্রীর মুখে তুলে দেয়া মাঝে মাঝে- এতে সাদাকার সওয়াব পাবেন স্বামী।
-মাঝে মাঝে আপনজনদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া।
-স্বা্মীর মনে রাখা প্রয়োজন, পরিবারে যে খরচ করে থাকেন, তা পুরুটাই সাদাকার সওয়াব পাবেন।
-এই সময় স্ত্রীর আচরনগত ভুলকে সুন্দরভাবে সহ্য করা। আদর দিয়ে নরম করে ভুল ধরিয়ে দেয়া। এই আচরন রাসূল স: সব সময়েই করতে বলেছেন।
-অন্য সময়ের তুলনায় এই সময় আরো বেশী ভালোবাসার প্রকাশ থাকা যেন, স্ত্রী বুঝতে পারেন তার মূল্যায়ন বেড়েছে। সন্তানের মা হতে যাচ্ছে, গাছের যত্ন ভালো নিলে অবশ্যই ফল ভালো ফলবে।
-পরস্পরের সম্পর্ক আরো গভীর রাখা, আরো বেশী আকর্ষন নিয়ে আসার ভূমিকা রাখা।
-স্ত্রীকে নিয়ে কুর’আন হাদীসের আলোচনার আসর করা। বিভিন্ন নবী সাহাবাদের জীবনীসহ, শিক্ষনীয় বই যোগাড় করে পড়তে উদ্বুদ্ধ করা। ছোট ছোট দোয়া মুখস্তের চেষ্টা করা দুজনে মিলে।
-ফরযের সাথে নফল ইবাদাত বাড়িয়ে দেয়া ও বেশী করে দোয়া করা।
-পিতা হতে যাওয়া মানে অফিসের আরেকটি দায়িত্ব লাভ হতে যাচ্ছেন, সেই যোগ্যতা অর্জনের জন্য নিজের চারিত্রিক মান ও আমলকে এহসানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
পরিবারে প্রত্যেকেই রাখাল, সবাইকে অধিনস্তদের ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে।