স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাওম-৩

                                                                খ। শারিরীক কল্যানঃ
সাওম ব্যক্তিকে অতি ভোজন থেকে দূরে রাখে ও স্বাস্থ্যগত কল্যান এনে দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকেই জানা যায় অতিভোজনের ফলে ব্যক্তি নানাবিধ রোগের স্বী্কার হচ্ছেন। অল্প বা অতি এই দুইএর মাঝেই অবস্থান করলে যেকোন কাজই সুন্দর ভালো থাকে। মহান আল্লাহ মানুষকে এই অতি ও অল্পের মাঝের সাথে সামঞ্জস্য করেই বানিয়েছেন।
কিন্তু আমাদের সমাজের অধিকাংশ লোকেরই দেখা যায় রমাদানে সংযমের পরিবর্তে অতিভোজনই করে থাকেন ফলে সংযম লাভতো হয়ই না বরং কারো কারো ওজনও বেড়ে যায় ও বিভিন্ন সমস্যার সমুখীন হোন। আর খাওয়া দাওয়ার ধরন হয় খুবই অস্বাস্থ্যকর কারন বিভিন্ন ভাজা পোড়া আইটেম খাওয়া হয় বেশী।
পরিমিত খাওয়ার ব্যাপারে রাসূল স. কত সুন্দর করে বলে গিয়েছেন–
•রাসূল(সঃ) বলেছেন: মানুষ পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোন পাত্র ভর্তি করে না। মেরুদণ্ড সোজা রাখার জন্য কয়েক গ্রাস খাবারই আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট। তার চেয়েও যদি বেশী দরকার হয় তবে পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে। তিরমিযী – আবওয়াবুয যুহদ – ২৩২১
•জনৈক ব্যক্তি রাসূল(সঃ) এর সামনে ঢেকুর (belching) তুলল। তিনি বলেন: আমাদের থেকে তোমার ঢেকুর বন্ধ কর। কেননা দুনিয়াতে যারা বেশী পরিতৃপ্ত হবে কিয়ামতের দিন তারাই সবচেয়ে বেশী ক্ষুধার্ত থাকবে। তিরমিযী – আবওয়াবু সিফাতিল কিয়ামাহ ওয়ার রিকাক – ২৪২০
তাহলে পরিমিত খাওয়াটাও একটি ইবাদাত।
অতিরিক্ত ভোজনের ফলে যে সকল রোগ হয় তা কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-
চর্বি ও কোলেষ্টেরল বেড়ে যায় যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় ও হার্টের অসুখ ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
লিভারে চর্বি জমে যেয়ে বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হতে পারে।
পিত্তথলি বা নালীতে পাথর হতে পারে
হরমোনের অসামঞ্জস্যতা যা স্বাভাবিক শারীরিক কার্যাবলীকে বাধাগ্রস্থ করে,যেমন নারীর রক্তস্রাবে সমস্যা দেখা দেয়
মুটিয়ে যাওয়া বা ওজন বেড়ে যাওয়া যা পারিবারিক জীবনেও স্বা্মী স্ত্রীর সম্পর্কেও অবনতি আনতে পারে।
রক্তনালী ও কিডনীর কার্যকে বাধাগ্রস্থ করে
ডায়াবেটিকস এ আক্রান্ত হতে পারে
আরো অনেক ধরনের অসুখ আছে যা অতিরিক্ত ভোজনের ফলে হয়। আর যদি হয় তেলে ভাজা খাদ্য তাহলে গ্যাস্ট্রিক আলসারেও আক্রান্ত হতে পারে। আজকাল একিউট প্যানক্রিয়েটাইটিস রোগের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে যার অন্যতম কারন বিভিন্ন ভেজালযুক্ত তৈলাক্ত খাবার।
মহান আল্লাহ এই শরীরের ভিতরে চলতে থাকা বিভিন্ন সিষ্টেমকে সুন্দর সচল রাখার জন্য কিছু বাধ্যতামূলক কাজ দিয়েছেন আর কিছু কাজ দিয়েছেন যা করলে এই সিষ্টেম আরো বেশী সুন্দর ভালো ও সচল থাকবে।
বছরে একমাস সাওম তাই। সংযমের মাস সাওম যা ব্যক্তির খাওয়া দাওয়া ও জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রনে এনে আরো সুন্দর ও সচল করে সারা বছরের জন্য।
সাওমের ফলে যা ঘটে ——– শরীরের মধ্যস্থিত, প্রোটিন, ফ্যাট ও শর্করা জাতীয় পদার্থসমূহ স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোতে পুষ্টি বিধান হয়। এই পদ্ধতিকে “অটো লাইসিস” বলা হয়। এর ফলে শরীরে উৎপন্ন উৎসেচকগুলো বিভিন্ন কোষে ছড়িয়ে পড়ে। এটি হচ্ছে শরীর বিক্রিয়ার এক স্বাভাবিক পদ্ধতি। রোজা এই পদ্ধতিকে সহজ, সাবলীল ও গতিময় করে।
রোজার মাধ্যমে লিভার রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয় ফলে ত্বকের নিচে সঞ্চিত চর্বি, পেশীর প্রোটিন, গ্রন্থিসমূহ এবং লিভারে কোষসমূহের রস সমুহ বেশী নিঃসরণ যার ফলে নিয়মিত অভ্যাসকারীদের শারীরিক অসুখ বিসুখ ও অবকাঠামো অন্যান্যদের চাইতে অনেক ভাল থাকে, যদি ঠিক মত পালন করেন ।
দেহের যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খাবার হজমের কাজ করে, রোজার সময় তারা কিছুটা বিরতি পায়। হজমের রস নিঃসরণ তখন ধীর হয়। খাবারগুলোও ভাঙে ধীরে। দেহে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এটা খুব সহায়ক। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিও তখন নিঃসরণ হয় ধীরে। তবে রোজা রাখলেও পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বন্ধ হয় না। এজন্যই পেপটিক আলসারের রোগীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।
ফ্যাট কমায়ঃ দেহে রোজার প্রথম প্রভাবই হলো গ্লুকোজের আধিক্য কমানো। আর গ্লুকোজ যখন কমে যায় তখন কেটসিস নামে দেহের এক ধরনের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয় যা ফ্যাট কমায় এবং শরীরে শক্তি যোগায়। এমনকি কিডনি বা পেশিতে যে ফ্যাট জমে তাও ক্ষয় হয়ে শরীরে শক্তি উৎপাদিত হয়।
Benefit of less intake—
(A scholar of the 20th Century, Hazrat Maulana Ashraf Ali Thanwi Sahib (rah) published in a magazine called ‘Al-Mu’min‘)
1. The heart remains pure. This leads to recognition of the Ni’mat (bounties) of Allah (sw).
2. Love for Allah (sw) develops in the purified heart.
3. Mercy and Tenderness become the attributes of the heart.
4. Pleasure is experienced in Du’aa (supplication) and Zikr (rememberence of Allah)
5. Pride and Rebellion of the Nafs are restraint and eliminated.
6. The difficulty of even a little hunger leads to abstention from sins. The inclination for sins decreases.
7. One stays healthy.
8. One feels less sleepy, and laziness in regard to Tahajjud (a virtuous prayer read between the night and morning) and other acts of Ibaadah (worship) is uprooted.
Disease caused by obesity
• Coronary heart disease, Stroke, Diabetes complication.
• Cirrhosis, Gall stone,
• Hormone-dependent cancers (breast, uterus),.
• Polycystic ovary syndrome (infertility, hirsutism).
• Psychological —depression.
• Skin disease—
The physiological effect of fasting:
lower of blood sugar
lowering of cholesterol
and lowering of the systolic blood pressure.
In fact, Ramadan fasting would be an ideal recommendation for treatment of
mild to moderate, stable, non-insulin diabetes, obesity and essential hypertension.
In 1994 the 1st International Congress on “Health and Ramadan”, held in Casablanca, entered 50 research papers from all over the world, from Muslim and non-Muslim researchers who have done extensive studies on the medical ethics of fasting. While improvement in many medical conditions was noted; however, in no way did fasting worsen any patients’ health or baseline medical condition.