৬ষ্ঠ কুইজ (রমাদান মাস ও সাওম)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আসসালামু’আলাইকুম

১। রমাদান মাসে প্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়েছিল ও কোথায়?

২। অনিচ্ছাকৃত রোজা ভেংগে গেলে বা শরীয়তে কোন কারনে ভাংগা পড়লে পরবর্তীতে কি করনীয়?

৩। ইচ্ছে করে যদি রমাদানের ফরয রোজা ভেংগে ফেলে তাহলে পরিত্রানের উপায় কি?

৪। ভুল করে রোজা রেখে দিনের বেলা খেয়ে ফেললে কি রোজা হবে?

৫। রোযা নষ্টকারী মূল বিষয়গুলি কি কি?

 

১। সূরা আলাক(১-৫ আয়াত) ও হেরা গুহায়

২। পরবর্তীতে সমান সংখ্যক সাওম পূরন করে নিবে।

৩।কাফফারা হল একজন দাস মুক্ত করা। যদি তা না পায় তাহলে একাধারে দুইমাস সিয়াম পালন করা। আর যদি তাও না পারে তবে ৬০ জন মিসকীনকে খাওয়ানো।

কাফ্‌ফারা আদায় করার দলীল হল সেই হাদিসটি, যা আবু হুরাইরাহ (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হউন) থেকে বর্ণিত হয়েছে- এক ব্যক্তি রমজানের দিনের বেলায় তাঁর স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করেছিলেন। এই ব্যক্তি একাধারে দুইমাস রোযা পালন করা অথবা ষাটজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াতে অক্ষম ছিলেন। তাই এই ব্যক্তি কাফ্‌ফারা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা হতে রেহাই পান। কারণ আল্লাহ তাআলা কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেন না [সূরা বাক্বারাহ, ২:১৮৬] অপারগের ওপর কোন ওয়াজিব আরোপ করা যায় না।

৪।ভুল করে খেয়ে ফেললে যখনি মনে পরবে তখন আর খাবে না, তাহলে রোজা হবে ইন শা আল্লাহ

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেয়েছে বা পান করেছে। ওই ব্যক্তি যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে পান করিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)

৫। রোযা নষ্টকারী বিষয় ৭টি; সেগুলো হচ্ছে-

১। সহবাস

২। হস্তমৈথুন

৩। পানাহার

৪। যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত

৫। শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোন কারণে রক্ত বের করা

৬। ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা

৭। মহিলাদের হায়েয ও নিফাসের রক্ত বের হওয়া