স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাওম-১

ঈমানদারদের জন্য এটা জানা ও মানা প্রয়োজন যে, মহান আল্লাহ যে বিধানগুলো ঈমান আনার পর পর বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন, তা অবশ্যই কল্যানকর এবং ভালো লাগুক বা না লাগুক তা অবশ্যই পালনীয় যদি ঈমান এর শর্ত পূরন করতে চায়। রবের বিধানের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য রাখাটাই ঈমানের দাবী।
যারা অমুসলিম তাদের জন্য মূলত বিধানের যুক্তিগত দিকটি তুলে ধরার প্রয়োজন হয়।
আবার ঈমানদারদের জন্য এটা হয় আরো ঈমান বৃদ্ধির যেমন ইবরাহীম আ এর জীবন থেকে জানা যায়—
‘আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম বলল, হে আমার পালনকর্তা! আমাকে দেখাও কিভাবে তুমি (ক্বিয়ামতের দিন) মৃতকে জীবিত করবে। আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস কর না? (ইবরাহীম) বলল, অবশ্যই করি। কিন্তু দেখতে চাই কেবল এজন্য, যাতে হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ করতে পারি। সূরা বাকারাঃ২৬০
আমরা জানি যে Prevention is better than cure. রোগ প্রতিরোধ রোগ নিরাময়ের চেয়ে শ্রেয়।
আবার এটাও ঠিক যে A stitch in time saves nine অর্থাৎ সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়ের সমান।
সুস্বাস্থ্যের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল স. গুরুত্ব দিয়েছেন বেশী। আর তাই এটাকে বিরাট নি’আমত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত ও সামাজিক কিছু অনুশাসন অনুসরনের পাশাপাশি রাসূল স. বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন সুস্থ্য থাকার জন্য।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আস’আলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের সুস্বাস্থ্য ও কল্যান কামনা করছি। মুসনাদে আহমাদ: ৪৭৮৫ আবু দাউদ: ৫০৭৪
সালাত, অন্যকে ভালো মন্দ জ্ঞান জানানো, দান সাদাকা কল্যানমূলক কাজ ইত্যাদি বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে যা সকলের জন্য কল্যান ও সুস্থ্যতা বয়ে আনে।
বছরে একমাস সাওম ঠিক তদ্রুপ একটি বাধ্যতামূলক ইবাদাত যা বান্দাহর কল্যানের জন্যই করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারে, আরবী মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখের নফল সাওম রাখাও সুস্বাস্থের জন্য প্রয়োজন যা আজ বিজ্ঞান প্রমান করেছে।
“হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া তথা একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। [সূরা বাক্বারাহ, ২: ১৮৩-১৮৪]
এই আয়াতের ২টি অংশ—
সক্ষম-সাওম বাধ্যতামূলক
অক্ষম- সাময়িক অক্ষম হলে পরবর্তীতে সাওম আদায় করে নিতে হবে
অক্ষম-স্থায়ী হলে ফিদ’ইয়া আদায় করবে।
কারন মহান আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।
“আল্লাহ কারো উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না।”[সূরা বাক্বারাহ, ২ :২৮৬]
এছাড়া প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারে, আরবী মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখের নফল সাওম রাখাও সুস্বাস্থের জন্য প্রয়োজন যা আজ বিজ্ঞান প্রমান করেছে।
সাওম কিভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এনে দেয় সংক্ষেপে জানার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।