হাদীসের আলোকে সালাতঃ১৮

জাবির ইবনু সামুরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে বের হয়ে আসলেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের হাত উঠাতে দেখি কেন? মনে হয় যেন তা দুষ্ট ঘোড়ার লেজ। ধীরস্থিরভাবে সলাত আদায় করো, নড়াচড়া করো না। রাবী বলেন, তিনি আরেক দিন বের হয়ে আমাদের গোলাকারে দেখে বললেনঃ আমি তোমাদের পরস্পরকে বিচ্ছিন্ন দেখছি কেন? রাবী বলেন, তিনি পুনরায় বের হয়ে এসে বললেনঃ মালায়িকারা (ফেরেশ্‌তারা) যেভাবে তাদের প্রতিপালকের সামনে লাইন বেঁধে দাঁড়ায় তোমরা কি সেভাবে লাইন বাধঁবে না? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! কিভাবে ফেরেশ্‌তারা তাদের রবের সামনে কাতারবন্দী হন? তিনি বললেনঃ তারা প্রথম লাইন (আগে) পূর্ণ করে এবং পরস্পরের সাথে মিলে দাঁড়ায়। (মুসলিম ই.ফা. ৮৫০, ই.সে. ৮৬৩)

আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের সময় আমাদের কাঁধ স্পর্শ করে বলতেনঃ তোমরা সোজাসুজি দাঁড়াও এবং আগে পিছে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে দাঁড়িও না। অন্যথায় তোমাদের অন্তর মতভেদে লিপ্ত হয়ে পড়বে। বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। অতঃপর এ গুণে যারা তাদের নিকটবর্তী তারা পর্যায়ক্রমে এদের কাছাকাছি দাঁড়াবে। আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) বলেন, কিন্তু আজকাল তোমাদের মধ্যে চরম বিভেদ-বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। (মুসলিম ই.ফা. ৮৫৪,)

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা (সলাতে) নিজেদের লাইনগুলো অবশ্যই সোজা করে (দাঁড়াবে) সাজাবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের মুখ-মণ্ডলকে বিকৃত করে দিবেন। (মুসলিম ই.ফা. ৮৬০)

 

 

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কতিপয় সহাবাকে প্রায়ই পিছনের লাইনে দাঁড়াতে দেখেন। তিনি তাদের বললেনঃ তোমরা সামনে এগিয়ে এসে আমার পিছনে অনুসরণ কর। তাহলে তোমাদের পূর্ববর্তীরা তোমাদের পিছনে অনুসরণ করবে। একদল লোক সবসময় দেরি করে এসে পিছনে দাঁড়ায়। আল্লাহ তাদেরকে (নিজের রহমাত থেকে) পিছনে রাখবেন। (সহিহ মুসলিম ই. ফা. ৮৬৪, ই. সে. ৮৭৭)

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যদি জানতে অথবা তারা যদি জানত যে, সামনের লাইনে দাঁড়ানো কত কল্যাণকর; তাহলে তারা এটা লাভ করার জন্য লটারী করত। ইবনু হারব্‌-এর বর্ণনায় প্রথম লাইনের উল্লেখ রয়েছে। তাতে আরো আছেঃ তারা এ লাইনে স্থান লাভ করার জন্য লটারী করত। (সহিহ মুসলিম ই. ফা. ৮৬৬, ই. সে. ৮৭৯)

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুরুষদের জন্য প্রথম লাইন উত্তম এবং শেষের লাইন মন্দ। মহিলাদের জন্য শেষের লাইন উত্তম এবং প্রথম লাইন মন্দ। (সহিহ মুসলিম ই. ফা. ৮৬৭,ই. সে. ৮৮০)

নারীদের ব্যপারটা হলো ঐ মসজিদের জন্য যে মসজিদ এককক্ষ বিশিষ্ট এবং ঐ একই কক্ষে পুরুষ ও মহিলাদের সলাতের ব্যবস্থা আছে।