হাদীসের আলোকে গুনাহ মাফের আমলঃ১২

 

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,  যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় ক্বাদরের রাত্রিতে সালাতে দাঁড়ায় তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ [সহীহুল বুখারী-হা. ১৮০২]

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বল, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ (আমি আল্লাহর স্বপ্রশংসা পবিত্রতা ঘোষণা করছি’, তাহলে তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয় যদিও তা সাগরের ফেনা রাশির সমান হয়ে থাকে। সহীহুল বুখারী হা. ৭/১৬৮, হা. ৬৪০৫, সহীহ মুসলিম- হা. ৪/২০৭১, হা. ২৬৯১।

আবু ইবনু মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) হতে বণিৃত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘হাজ্ব ও ওমরাহ দারিদ্র্যতা ও গুনাহ দূর করে দেয়, লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা যেমনভাবে হাপরের আগুনে দূর হয়।’ [সুনান ইবনু মাজাহ হা. ২৮৮৭, সুনান আত্ তিরমিযী-হা. ৮১০, মিশকা-তুল মাসাবীহ-হা. ২৫২৪-২৫, হাসান সহীহ]

ইবনু ‘আব্বাস (রা.) থেকে রমযানে ‘ওমরাহ পালনসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবী (সা.) এক আনসারী মহিলাকে বলেন, আমাদের সাথে তোমার হজ্ব করতে বাধা কীসের? ইবনু আব্বাস মহিলার নাম বলেছিলেন, কিন্তু আমি ভুলে গেছি। মহিলা বললেন, ‘আমাদের একটা পানি বহনকারী উট ছিল। কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (মহিলার স্বামী ও পুত্র) আরোহণ করে চলে গিয়েছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গিয়েছেন পানি বহনকারী একটি উট, যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি।’ নবী (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা রমযান এলে তখন ‘ওমরাহ, করে নিও। কেননা রমযানের ‘ওমরাহ একটি হজ্বের সমতুল্য অথবা এরূপ কোনো কথা বলেছিলেন।’ [সহীহুল বুখারী-হা. ১৭৮২]