হাদীসের আলোকে আল্লাহর উপর ভরসাঃ২

ইবনু মাসঊদ (রা:) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “কোন ব্যক্তি যদি অভাবী হয়,  অত:পর তার অভাবের কথা মানুষের কাছে পেশ করে, তবে তার অভাব দুর করা হবে না। আর যে ব্যক্তি তা আল্লাহর কাছে পেশ করে, অনতিবিলম্বে আল্লাহ্ তাকে অভাব মুক্ত করে দিবেন।” (আবু দাউদ )

সমাজে অনেক ব্যক্তি আছেন যারা নিজেদের শক্তি মেধা ও বুদ্ধিকে খাটাতে চান না ,অলসতায় অল্প পরিশ্রমেই বেশী লাভ পেতে চান। আবার অনেকেই আছেন কারো কাছ থেকে সহজেই যদি চেয়ে পাওয়া যায় তাহলে সেই পদ্ধতি করেন হাত পেতে, আবার অনেকে অন্য একজন ব্যক্তির উপর পুরো ভরসা করে এমনভাবে যে সেই ব্যক্তি একমাত্র দেয়ার মালিক আর তখন তার কাছেই সকল অভাব অভিযোগ পেশ করে পিছনে লেগেই থাকে, মহান রবের দিকে মনোনিবেশ করেই না। অথচ মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে আগে তাঁর কাছেই সমস্যা তুলে ধরতে হবে ও সাহায্য চাওয়ার পর দুনিয়াবী মাধ্যমের খোঁজ বা ব্যবস্থাপনায় এগুবে ও ভরসা করতে হবে যে মহান আল্লাহই কোনভাবেই এটা ব্যবস্থাপনা করে দিবেন।

“তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর মু’মিনগণ যেন আল্লাহর উপরই ভরসা করে।” [সূরা মায়েদা-১১]

ভরসা করার সাথে সাথে আল্লাহকে ভয় করার কথা বলা হয়েছে। আর তা নির্দেশিত যাবতীয় বিষয়ের উপকরণকে শামিল করছে। সুতরাং নির্দেশিত উপকরণ অবলম্বন না করে বা কাজ না করে শুধু ভরসা করে বসে থাকা বিরাট ধরণের অপারগতা- যদিও এতে তাওয়াক্কুল পাওয়া যায়। সুতরাং কোন বান্দার জন্য উচিত নয় যে,ভরসাকে অপারগতায় রূপান্তরিত করবে অথবা অপারগতাকে ভরসায় রূপান্তরিত করবে। বরং যে সমস্ত উপকরণ সে অবলম্বন করবে তার মধ্যে ভরসাও শামিল থাকবে।

 

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (র:) বলেন: কোন মাখলুকের কাছে যে ব্যক্তি আশা করবে এবং তার উপর ভরসা করবে, তার উক্ত ধারণা নি:সন্দেহে বাতিল হবে এবং সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর সে হবে মুশরিক।