রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,
“জিবরীল আলাইহিস সালাম আমাকে প্রতিবেশীর হকের ব্যাপারে এত বেশি তাকিদ করেছেন যে, আমার কাছে মনে হয়েছে প্রতিবেশীকে মিরাসের অংশীদার বানিয়ে দেওয়া হবে”। সহীহ বুখারী: ৬০১৫; সহীহ মুসলিম: ২৬২৫
আজ আমাদের সমাজের চিত্র দেখা যায়, পাশের ঘরে কেউ অসুস্থ অবস্থায় আছেন চিকিৎসা করতে পারছেন না, খাবার নেই বাজার করতে পারছেন না, কেউ এসে প্রতিবেশীকে অত্যাচার করে যাচ্ছে অথচ কোন খবরই জানেন না বা জানলেও সহযোগীতার হাত বাড়ান না। অথচ এই সমাজেই মানবতাবোধ জাগ্রত করার জন্য বিভিন্ন সংঘঠন, মিটিং, মিডিয়ায় টক শো ইত্যাদির ছড়াছড়ি। যখন এতোকিছু ছিলনা কিন্তু ছিল মহান আল্লাহ ও রাসূল স.এর অনুসরন তখন প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্যপালন আরো সুন্দর ছিল। মহান আল্লাহ প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্য পালনকে ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট করে রাসূল স.কে শিক্ষা দিতে বলেছেন।
আবু শুরাই রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়”। সহীহ মুসলিম: ১৮৫; সহীহ বুখারী: ৬০১৮
“জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “প্রতিবেশী সাধারণত তিন শ্রেণীর হয়ে থাকে।
১. যার এক দিক থেকে হক। সে হকের দিক দিয়ে সর্ব কনিষ্ঠ।
২. যার দুই দিক থেকে হক হয়ে থাকে।
৩. যার তিন দিক থেকে হক হয়ে থাকে, এ হল, সর্বোত্তম প্রতিবেশী।
যার এক দিক থেকে হক সে হল, অনাত্মীয় বিধর্মী প্রতিবেশী। এ ব্যক্তির হক শুধু প্রতিবেশী হওয়ার ভিত্তিতে আত্মীয়তার ভিত্তিতে নয়। আর যার হক দুই দিক দিয়ে, সে হল, মুসলিম প্রতিবেশী, যার সাথে আত্মীয়তার কোনও সম্পর্ক নেই। এ ব্যক্তির হক প্রতিবেশী এবং মুসলিম হওয়ার দিক থেকে। আর যার হক তিন দিক থেকে, সে হল, মুসলিম আত্মীয় প্রতিবেশী। এ ব্যক্তির হক প্রতিবেশী হিসেবে, মুসলিম হিসেবে এবং ও আত্মীয় হওয়ার দিক থেকে” তাফসীরে ইবনে কাসীর, সুরা নিসার ৩৬ নং আয়াতের তাফসীর দেখুন।