হাদীসের আলোকে চিকিৎসা-৬

খেজুর

রাসূল স. বলেছেন—

রাসূল স. বলেছেন, এমন একটি বৃক্ষ আছে, যা মুসলমানদের ন্যায় বরকতপূর্ণ ও কল্যানময়। সেটি হলো খেজুর বৃক্ষ। সহিহ আল বুখারী: ৫০৪১

রাসূল স. বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ভোরে কয়েকটি আজওয়া খেজুর খাবে ঐ দিন পর্যন্ত কোন বিষ এবং কোন যাদুটোনাই তার ক্ষতি করতে পারবে না। অপর বর্ণনায় সাতটি খেজুরের কথা এসেছে। সহীহ বুখারী: ৫৩৪৭।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। নবী (সঃ) এর কতিপয় সাহাবা বলেন, ছত্রাক হল জমীনের বসন্ত রোগ। রাসূল স. বলেন ছত্রাক হল মান্নের অন্তর্ভুক্ত এবং এর পানি চক্ষু্রোগের প্রতিষেধক। আজওয়া হল বেহেশতের খেজুরের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা বিষের প্রতিষেধক। তিরমিযী,আবওয়াতবুত-তিব্ব: ২০২০।

শুধু আজওয়া খেজুর নয় অন্যান্য খেজুরের কথাও এসেছে। মূলত খেজুরের মধ্যে যে উপাদান মহান আল্লাহ দিয়েছেন তা মানুষের শারিরীক সুস্থ্যতার জন্য অনেক সহায়ক। গবেষনায় দেখা গেছে খেজুরে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে।

খেজুর ব্যথা বেদনা দূর করতে, শরীরের ওজন বাড়াতে, ক্যান্সার ও হৃদপিণ্ডের অসুখের চিকিৎসায় বেশ উপকারী। সন্তান সম্ভাবনা মেয়েদের জন্য খেজুর অত্যন্ত উপকারী।

গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় খেজুর থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেজুর এমন একটি খাবার যাতে রয়েছে অভাবনীয় কার্যকরি ক্ষমতা।

২০১১ সালের “Journal of Obstetnics and Gynocology” নামক পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে গবেষণার এই মত প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ মাসের গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন ৬টি করে খেজুর খাওয়ালে খেজুর না খাওয়া মায়েদের তুলনায় তাদের প্রসূতিকালীন ব্যাথা অনেক কম সময় থাকে। তাদের এই গবেষণা ৭০% গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই ফলাফল প্রযোজ্য হয়।

খেজুরে প্রায় ৬০-৭০% চিনি আছে, যা শিশুদের কান্না থামাতে কার্যকর।

হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবী স.এর খেদমতে নবজাতক শিশুদের আনা হলে তিনি তাদের বরকতের জন্য দু’আ করতেন এবং খেজুর চিবিয়ে তাদের মুখে পুরে দিতেন। সহিহ মুসলিম: ৫৪৩৬

এই হাদীসের উপর গবেষনা করে যুক্তরাজ্যের বেশ কটি হাসপাতাল জানান, চিনি বা গুড় শিশুদের ব্যথা দূর করে, তাদের কান্নার সময় কমিয়ে দেয়।

The analgesic effects(pain killing effects) of sucrose in full term infants, a randomized controlled trial—গবেষনায় প্রমানিত হয় যে, ১২% চিনির দ্রবন শিশুদের খাওয়ানোর পর যদি তাদের আংগুল থেকে যে কোন পরীক্ষার জন্য রক্ত নেয়া হয় বা মুসলমানি করানো হয় তাহলে অন্য সময়ে তাদের যে কান্না হতো তা শীঘ্রই থেমে যায়। এটা British Medical Journal 1995 এ প্রকাশিত হয়।

আরো দেখুনঃ

https://www.youtube.com/watch?v=bsZX5-SC6Sw