শিষ্ঠাচার সংক্রান্ত হাদীস—৩ (খাদেম -১)

 

আমাদের প্রায় প্রতিটি পরিবারে একজন খাদেম বা কাজের জন্য লোক থাকে সে হতে পারে অল্প সময়ের চুক্তিতে কাজ করে বা অনেকে পরিবারে ত্থেকে কাজ করে। প্রায়ই পত্রিকা বা আশে পাশে জানা যায় কাজের লোকের উপর অত্যাচারের কথা।

চলুন  আমরা এই বিষয়ে একটু জানার চেষ্টা করি।

মহান আল্লাহ আমাদের কাউকে রিযিক বেশী এবং কাউকে রিযিক কম দিয়ে পরীক্ষা করছেন আমরা কি ভাবে জীবনযাপন করি।

দুনিয়ার জীবনে তাদের জীবন-যাপন সামগ্রী তো আমরাই তাদের মধ্যে বন্টন করেছি, আর তাদের মধ্যে কিছু লোককে অপর কিছু লোকের উপর আমরাই প্রাধান্য দিয়েছি, যেন এরা পরস্পর হতে কাজ লইতে পারে। সূরা যুখরুফঃ৩২

তিনিই তোমাদিগকে যমীনের খলিফা বানিয়েছেন এবং তোমাদের মধ্যে কোন কোন লোককে অপর কোন কোন লোকের মুকাবিলায় অধিক উচচ মর্যাদা দান করেছেন। এই উদ্দেশ্যে, যেন তোমাদিগকে যা কিছু দিয়েছেন তাতে তিনি তোমাদের যাচাই (পরীক্ষা) করতে পারেন। নিঃসন্দেহে তোমাদের আল্লাহ শাস্তিদানের ব্যপারেও খুবই সিদ্ধহস্ত এবং বিপুলভাবে ক্ষমাকারী এবং রহমতদানকারীও। সূরা আন’আম-১৬৫

মহান আল্লাহই সমাজ ব্যবস্থাপনার জন্যই এই অবস্থা করে দিয়েছেন। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে এই সম্পদ,দেহ-সৌন্দর্য, যোগ্যতা সবই মহান আল্লাহর দান। আমার আপনার বাসায় যে মানুষটি কাজ করতে এসেছে সেও আল্লাহর পরীক্ষায় আছে এবং আমাদের জন্যও পরীক্ষা। এই মানুষটির জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পদ কম বলেই আমার আপনার বাসায় কাজের জন্য এসেছে। তাই তাদের দ্বারা ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনি আমি ভুল করলে চলবে কেমন করে!!!!!

এবার হাদীসের আলোকে জানি—

রাসূল(সঃ) বলেছেন—এরা তোমার ভাই, আল্লাহ পাক এদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন। সুতরাং যার এরুপ ভাই (গোলাম, বাঁদী, খাদেম) তার অধীনে আছে, সে যেন তাকে নিজের খাবার থেকে খেতে দেয় এবং নিজের পরিচ্ছদ থেকে পরতে দেয়। সে যেন তার উপর কাজের এমন বোঝা না চাপায় যা তাকে অপারগ করে দেয়। যদি সে তার উপর সাধ্যাতীত কাজের বোঝা চাপায় সে যেন তার সহযোগিতা করে।  বুখারী,মুসলিম, তিরমিযী-আবওয়াবুল বিরর ওয়াস-সিলাহঃ১৮৯৫