মৃত ব্যক্তিকে উপলক্ষ্য করে সমাজে প্রচলিত আনুষ্ঠানিকতার বর্জনীয় দিক-১২

 

আমাদের সমাজে এখনো অনেক স্থানে মৃত মানুষকে ঘিরে জাহেলিয়াতের আচার অনুষ্ঠান করে থাকে, যা জানা প্রয়োজন এবং এই ধরনের অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকা অত্যাবশ্যক। মহান আল্লাহ সামাজিক সম্পর্ককে সুন্দর ও পবিত্র ধারা রাখার জন্য জীবনের শেষ অধ্যায় পর্যন্ত সুষ্ঠ নীতিমালা দিয়ে রেখেছেন যা আমরা কুরআন ও রাসূল স. এর সুন্নাহ থেকে জানতে পারি।

যে কাজগুলো করা থেকে দূরে থাকতে হবে

১। রাসূল সা বলেন:

“বিলাপ করা (কারও মৃত্যুতে চিৎকার করে কান্নাকাটি করা, মৃত ব্যক্তির বিভিন্ন গুণের কথা উল্লেখ করে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি করা, শরীরে আঘাত করা, জামা-কাপড় ছেঁড়া ইত্যাদি) জাহেলী যুগের কাজ। ” আল্লামা আলাবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন: দেখুন: সহীহ ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১২৮৬,

মৃতের জন্য বিলাপ করা কাবীরা গুনাহ। কেননা নবী সা. বিলাপকারীনী ও বিলাপ শ্রবণকারীনীকে লা‘নত করেছেন। তিনি বলেন,

“উচ্চস্বরে বিলাপ করে ক্রন্দনকারীনী যদি মৃত্যুর পূর্বে তওবা না করে, তবে ক্বিয়ামত দিবসে এমনভাবে উত্থিত করা হবে যে, তার গায়ে আলকাতরার একটি পায়জামা পরানো হবে এবং পরানো হবে খুঁজলী যুক্ত চাদর।” (আমরা আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি)

এরকম সবধরণের বিদআত থেকে সাবধান হয়। কেননা বিদআত পরিত্যাগে  যেমন কল্যাণ আছে, তেমনি উপকার আছে মৃত ব্যক্তির। কেননা নবী  স. বলেছেন।

“নিশ্চয় মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া হবে তার পরিবারের লোকদের ক্রন্দন ও বিলাপের কারণে।”

এখানে ‘শাস্তি দেয়া হবে’ একথার অর্থ হচ্ছে, মৃত ব্যক্তি এই ক্রন্দন ও বিলাপের কারণে ব্যথিত হয় কষ্ট পায়। যদিও বিলাপকারীর শাস্তি তাকে দেয়া হবে না। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,

“একজন অন্যজনের পাপের বোঝা বহণ করবে না।” (সূরা আনআমঃ ১৬৪)

আর শাস্তি মানেই দন্ডিত হওয়া নয়। কেননা হাদীসে বলা হয়েছেঃ সফর শাস্তির একটি অংশ। অথচ এখানে কোন দন্ড নেই; বরং এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে, দুঃখ, চিন্তা, মনোকষ্ট প্রভৃতি।

উৎস : ফতোয়া আরকানুল ইসলাম, নামায অধ্যায়॥ মূল: আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উছাইমীন (রাহ:)

বিলাপকারীর কাছে বসে মনোযোগসহ বিলাপ শোনা, তাকে প্রেরণা দেয়া ও প্ররোচিত করা। এটাও নিষেধ, কারণ তার কাছে বসা তাকে প্রেরণা দেয়ারই নামান্তর। তাই তার বিলাপ শোনাও বৈধ নয়। বিলাপকারী যদি চুপ না করে, তবে তাকে ত্যাগ করা, তার সাথে না বসাই শ্রেয়। এটা এক অর্থে তাকে বাধা দেয়া। অনুরূপ তার বিলাপ শুনতে বসা এক প্রকার প্রেরণা দেয়া ও তাকে প্ররোচিত করা। অতএব, আপনার জন্য বিলাপকারীর বিলাপ শোনা জায়েজ নয়, বরং তাকে নিষেধ করুন ও তাকে বাধা দিন। যদি সে মেনে নেয় ভাল কথা, অন্যথায় তাকে ত্যাগ করুন, তার কথা শ্রবণ করার জন্য বসবেন না।

২। কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃতদের নিকট পৌঁছায়? মৃত ব্যক্তির সন্তান বা যার পক্ষ থেকেই হোক?

রাসূলুল্লাহ সা কুরআন তিলাওয়াত করে নিকট আত্মীয় বা অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সাওয়াব করেন নি। তিলাওয়াতের সাওয়াব যদি মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছত বা এর দ্বারা সে কোনভাবে উপকৃত হত, তাহলে অবশ্যই তিনি তা করতেন, উম্মতকে বাতলে দিতেন, যেন তাদের মৃতরা উপকৃত হয়। তিনি ছিলেন মুমিনদের উপর দয়ালু ও অনুগ্রহশীল। তার পরবর্তীতে খুলাফায়ে রাশেদিন ও সকল সাহাবায়ে কেরাম তার যথাযথ অনুসরণ করেছেন, আল্লাহ তাদের সকলের উপর সন্তুষ্ট হোন, আমাদের জানা মতে তারা কেউ কুরআন তিলাওয়াত করে ঈসালে সাওয়াব করেন নি। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সা. ও তার সাহাবাদের আদর্শ অনুসরণ করাই আমাদের জন্য কল্যাণ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন : ‏

“খবরদার! তোমরা নতুন আবিষ্কৃত বস্তু থেকে সতর্ক থেকো, কারণ প্রত্যেক নতুন আবিষ্কৃত বস্তু বিদ‘আত, আর প্রত্যেক বিদ‘আত গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতা।” আবু দাউদ: ৩৯৯৩

‏ “যে আমাদের এ দ্বীনে এমন কিছু আবিষ্কার করল, যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা পরিত্যক্ত।” বুখারি: ২৫১২, মুসলিম: ৩২৪৮

মৃতদের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা বা করানো জায়েয নয়, এর সাওয়াব তাদের নিকট পৌঁছে না, বরং এটা বিদ‘আত। এ ছাড়া যেসব ইবাদাতের সাওয়াব মৃতদের নিকট পৌঁছে মর্মে বিশুদ্ধ দলিল রয়েছে তা অবশ্য গ্রহণীয়। যেমন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকা ও হজ করা মর্মে বিশুদ্ধ দলিল রয়েছে। আর যে সব বিষয়ে কোন দলিল নেই তা বৈধ নয়। তাই প্রমাণিত হল, কুরআন তিলাওয়াত করে মৃতদের ঈসালে সাওয়াব করা বৈধ নয়, তাদের নিকট এর সাওয়াব পৌঁছায় না, বরং এটা বিদ‘আত। এটাই আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

সূত্র : [আল-লাজনাতুদ দায়েমাহ্ লিল বুহুসিল ইলমিয়াহ ওয়াল ইফতা] “ইলমি গবেষণা ও ফতোয়ার স্থায়ী পরিষদ” সদস্য আব্দুল্লাহ ইবন গুদাইয়ান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক আফিফী, চেয়ারম্যান-আব্দুল আযিয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায

৩। কবর পাকা করা, কবরের উপর বিল্ডিং তৈরী করা ও কবরে চুনকাম করা:

পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে কবর পাকা করা, চুনকাম করা, কবর উঁচু করার প্রবনতা দেখা যায়। দেখা যায় করবস্থানে, রাস্তার আশে-পাশে, চৌরাস্তায় ও বটগাছ তলায় কবর পাকা করে, চুনকাম করে, তাতে উন্নত নেমপ্লেট ব্যবহার করে মৃত ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যু তারিখ ও বিভিন্ন বাণী লিখে রাখা হয়। এ কাজগুলো সম্পূর্ণ বিদয়াত। বিশিষ্ট সাহাবী জাবের রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন,

“রাসূল সা. কবরে চুনকাম করা, তার উপর বসা এবং তার উপর বিল্ডিং নির্মান করতে নিষেধ করেছেন।” ” সহিহ মুসলিম, অধ্যায়: কিতাবুল জানায়েয

এ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ হল যে,কবরে প্লাস্টার করা, চুনকাম করা,পাকা করা,কবরের উপর বিল্ডিং ও গম্বুজ নির্মাণ করা হারাম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ওয়া সাল্লাম এর যুগে বদর, উহুদ, খন্দক, তাবুক যুদ্ধ ছাড়াও যে সকল সাহাবী শহীদ হয়েছেন অথবা মৃত্যু বরণ করেছেন তাঁদের কারও কবর উঁচু করা হয় নি। তাঁদের কারও কবর পাকা ও চুনকামও করা হয়নি এবং তাতে নামও লিখা হয়নি। তাঁদের কারও কবর মোজাইক অথবা পাথর দ্বারা বাঁধানো হয়নি বরং এ সকল কাজ যেমন রাসূল সা. নিষেধ করেছেন, তাঁর পরে স্বর্ণ যুগের খোলাফায়ে রাশেদীন কঠোর হস্তে দমন করেছেন। এর একটি উজ্জল উদাহরণ হল, প্রখ্যাত তাবেয়ী আবুল হাইয়াজ আল আসাদী বলেন,আমাকে আলী রা. বললেন,

“তোমাকে কি আমি এমন একটি কাজ দিয়ে পাঠাবো না যে কাজ দিয়ে আমাকে পাঠিয়েছিলেন রাসূলুল্লাহ সা.? তা হল কোন প্রতিকৃতি পেলে তা মুছে দিবে আর কোন উচুঁ কবর পরিলক্ষিত হলে তা সাধারণ কবরের সমান করে দিবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, কোন ছবি পেলে তা নিশ্চিহ্ন করে দিবে।” মুসলিম: ১৬১৫

৪। আমাদের অনেকেই নিচে উল্লেখিত হাদীসটি জেনে আমল করার উদ্যোগ নিয়ে থাকি, চলুন জেনে নেই আসলেই কি এই আমলটা ঠিক?

‘দু’জন ব্যক্তিকে ক্ববরে শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল। ফলে শাস্তি মাফের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ক্ববরে খেজুরের ডাল পুঁতে দিলেন’  বুখারী, ‘অযূ’ অধ্যায়, হা/২১৬।

ক্ববরের উপরে গাছের কাঁচা ডাল বা ঐ জাতীয় কিছু পোঁতা সুন্নাত নয়; বরং ইহা একদিকে যেমন বিদ‘আত, অন্যদিকে তেমনি মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণের শামিল। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব ক্ববরে এরূপ রাখতেন না। শুধুমাত্র ঐ ক্ববর দু’টিতে তিনি রেখেছিলেন। কারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। অতএব, ক্ববরের উপরে খেজুর ডাল পোঁতা মৃতের প্রতি অন্যায় এবং তার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ বৈ কিছুই নয়। আর কেউ তার মুসলিম ভাই সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতে পারে না। কেননা কেউ কারো ক্ববরের উপর খেজুরের ডাল পোঁতার অর্থই হচ্ছে, সে বিশ্বাস করে যে, ঐ ক্ববরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিদ্বয়কে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন বলেই তো তাদের ক্ববরের উপরে খেজুরের ডাল পুঁতেছিলেন।

সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়, ক্ববরের উপরে খেজুরের ডাল বা এ জাতীয় কিছু পোঁতা বিদ‘আত এবং মৃতব্যক্তি সম্পর্কে কু–ধারণা পোষণ। কেননা যে ডাল পুঁতে, সে মনে করে ক্ববরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। আর সেজন্যই তো সে তার শাস্তি লাঘব করতে চায়। এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ ঐ ব্যক্তিদ্বয়ের ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর সুপারিশ ক্ববূল করেছিলেন; কিন্তু তিনি মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আমাদের সুপারিশ ক্ববূল করবেন কিনা তা তো আমরা জানি না। (শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ).

ছাড়া যেকাজগুলো করা বিদয়াত তা হলো

১- কুলখানি  ২- ফাতেহা পাঠ    ৩-চেহলাম   ৪- মাটিয়াল    ৫-মীলাদ    ৭- খতমে তাহলীল

৮- কুরআন খতম বা কুরআনখানি ৯- কাঙ্গালীভোজ   ১০-ওরস    ১১- ইছালে ছাওয়াব মাহফিল

১২- উরসে-কুল    ১৩- কবরে ও কফিনে ফুল দেয়া বা পুষ্পস্তবক অর্পণ

১৪- এক মিনিট নীরবতা পালন

১৫- মৃত ব্যক্তির জায়নামাজ ও পোশাক দান করা (ওয়ারীসদের সকলের অনুমতি সাপেক্ষে দেয়া যেতে পারে)। ব্যক্তি যখন ইন্তেকাল করল তখন থেকে তার ছোট বড় সকল সম্পদের মালিক তার উত্তরাধিকারীগণ। সম্পদ তাদের মধ্যে বণ্টন করার পূর্ব-পর্যন্ত এগুলো কাউকে দান করা যাবে না—তবে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া। এগুলো হল :

এক. মৃত ব্যক্তি যদি জীবদ্দশায় অসীয়ত করে যান যে, আমার অমুক বস্তুটি অমুককে দান করে দেবে, তবে অসীয়তের যাবতীয় নিয়ম মান্য করে দান করা যেতে পারে।

দুই. ইন্তেকালের পর তার সকল ওয়ারিশগণ যদি সন্তুষ্টচিত্তে কোন বস্তু কাউকে দান করার সিদ্ধান্তে একমত হন, তবে তাতে দোষ নেই।

১৬- লাশ ও কবরের কাছে কুরআন তিলাওয়াত

১৭- জানাযা নামাজ শেষে সম্মিলিতভাবে দুআ-মুনাজাত-সউদী আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটি (একাকী হাত তুলে দু’আ করতে পারবে)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকী গোরস্থান যিয়ারতে গিয়ে কবরবাসীদের জন্য দুহাত তুলে দু’আ করলেন।” (সহীহ মুসলিম, জানাযা অধ্যায় হা/৯৭৪)

১৮- মৃত্যু-দিবস পালন

মৃতকে কেন্দ্র করে প্রচলিত আরও কিছু কুসংস্কার ও গর্হিত কাজ:

১) জানাযার খাট বহন করার সময় তার পেছনে পেছনে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়া ও যিকির করা।

২) কবরে গোলাপ জল ছিটানো।

৩) আয়াতুল কুরসী বা কুরআনের আয়াত লেখা চাদর দ্বারা মৃত দেহ আবৃত করা।

৪) মরদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় দু বার খাট রাখা।

৫) চার কুল পড়ে কবরের চার কোনায় খেজুরের ডাল পোঁতা।

৬) কবর যিয়ারত করতে গিয়ে সাতবার সুরা ফাতিহা, তিনবার সুরা ইখলাছ,সাতবার দরূদ ইত্যাদি পাঠ করা।

৭) নির্দিষ্ট করে ২৭ রামাযান, দু ঈদের দিন কিংবা জুম’আর দিন কবর যিয়ারত করতে যাওয়া।

৮) তথাকথিত শবেবরাত, শবে মেরাজ ইত্যাদি রাতে কবর যিয়ারত করা।

৯) লাশ দেখার জন্য মহিলাদের ভিড় করা।

১০) মৃত ব্যক্তির নামে ভারতের আজমীরে কিংবা বিভিন্ন খানকা,দরবার ও মাযারের উদ্দেশ্যে টাকা-পয়সা,গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পাঠানো।

১১) অনুরূপ লাশ জানাযা-দাফনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পর সামাজিক, রাজনৈতিক বা দলীয় প্রথা পালনের উদ্দেশ্যে লাশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করা যেমন,লাশকে স্থানে স্থানে নিয়ে প্রদর্শন করা, শ্রদ্ধা নিবেদন করা, লাশের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা, ভিডিও করা, লাশকে সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে জীবনালোচনা করা, বিভিন্নমুখী ভাষণ-বক্তৃতা দেওয়া ইত্যাদি সবই গর্হিত কাজ।

এগুলোর মধ্যে জীবিত-মৃত কারোরই কোনো কল্যাণ নেই। এসব অনর্থক কর্মকাণ্ড পরিহার করা সকলের জন্য জরুরি।