দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে
প্রশ্নঃ
শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয ইবনু বায-রাহিমাহুল্লাহ-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল :
আমি ২৪ বছর বয়সের আগে সালাত আদায় করি নি। এখন আমি প্রতি ফরয সালাত এর সাথে আরেকবার ফরয সালাত আদায় করি। আমার জন্য কি তা করা জায়েয (বৈধ)? আমি কি এভাবেই চালিয়ে যাব নাকি আমার উপর অন্য কোন করণীয় আছে?
তিনি বলেন :
“যে ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ত্যাগ করে, সঠিক মতানুসারে তার উপর কোনো কাযা নেই। বরং তাকে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তাওবাহ করতে হবে; কারণ সালাত ইসলামের স্তম্ভ, তা ত্যাগ করা ভয়াবহ অপরাধসমূহের একটি। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে তা (সালাত) ত্যাগ করা ‘বড় কুফর’ যা ‘আলিমগণের দুটি মতের মধ্যে সবচেয়ে সঠিকটি, কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন :
«العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر »
“আমাদের ও তাদের (কাফেরদের) মাঝে চুক্তি হলো সালাত; তাই যে তা ত্যাগ করে, সে কাফের হয়ে গেলো।” [ইমাম আহমাদ ও সুনানের সংকলকগণ সহীহ ইসনাদ সূত্রে বুরাইদাহ-রাদিয়াল্লাহু আনহু-হতে বর্ণনা করেছেন]
আর রাসূল-সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী :
«بين الرجل وبين الشرك والكفر ترك الصلاة »
“একজন ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা।” [ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহ গ্রন্থে জাবির ইবনু ‘আব্দিল্লাহ-রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-থেকে বর্ণনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে এ ব্যাপারে আরও অনেক হাদীস রয়েছে, যাতে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়]
এক্ষেত্রে ভাই আপনার উপর কর্তব্য হলো আল্লাহর নিকট সত্যিকার অর্থে তাওবাহ করা। আর তা হলো-(১) পূর্বে যা গত হয়েছে তার ব্যাপারে অনুতপ্ত হওয়া; (২) সালাত ত্যাগ একেবারে ছেড়ে দেয়া; এবং (৩) এ মর্মে দৃঢ় সংকল্প করা যে, এ কাজে আপনি আর কখনও ফিরে যাবেন না।
আর আপনাকে প্রতি সালাতের সাথে বা অন্য সালাতের সাথে কাযা করতে হবে না, বরং আপনাকে শুধু তাওবাহ করতে হবে। আর সকল প্রশংসা আল্লাহর। যে তাওবাহ করে আল্লাহ তার তাওবাহ কবুল করেন। আল্লাহ -সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা- বলেছেন:
﴿وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣١ ﴾ [النور: ٣١]
“হে মু’মিনগণ তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তাওবাহ করো,যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।” [আন-নূর : ৩১]
আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«التائب من الذنب كمن لا ذنب له»
“পাপ থেকে তাওবাহকারী এমন ব্যক্তির ন্যায় যার কোন পাপই নেই।” ইবন মাজাহ: হাদীস নং ৪২৫০।
তাই আপনাকে সত্যিকার অর্থে তাওবাহ করতে হবে, নিজের নাফসের সাথে হিসাব-নিকাশ করতে হবে, সঠিক সময়ে জামা‘আতের সাথে সালাত আদায়ের ব্যাপারে সদা-সচেষ্ট থাকতে হবে, আপনার দ্বারা যা যা হয়েছে সে ব্যাপারে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে এবং বেশি বেশি ভাল কাজ করতে হবে। আর আপনাকে কল্যাণের সুসংবাদ জানাই, আল্লাহ-সুবহানাহূ ওয়া তা‘আলা -বলেছেন :
﴿ وَإِنِّي لَغَفَّارٞ لِّمَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا ثُمَّ ٱهۡتَدَىٰ ٨٢ ﴾ [طه: ٨٢]
“আর যে তাওবাহ করে, ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং হিদায়াতের পথ অবলম্বন করে, নিশ্চয়ই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল।” [ত্বাহা : ৮২]
সূরা আল-ফুরক্বান-এ শিরক, হত্যা, যিনা (ব্যভিচার) উল্লেখ করে আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন :
﴿وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ يَلۡقَ أَثَامٗا ٦٨ يُضَٰعَفۡ لَهُ ٱلۡعَذَابُ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ وَيَخۡلُدۡ فِيهِۦ مُهَانًا ٦٩ إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ عَمَلٗا صَٰلِحٗا فَأُوْلَٰٓئِكَ يُبَدِّلُ ٱللَّهُ سَئَِّاتِهِمۡ حَسَنَٰتٖۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ٧٠ ﴾ [الفرقان: ٦٧-٦٩]
“আর যে তা করল সে পাপ করল, ক্বিয়ামাতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করে দেয়া হবে এবং সে সেখানে অপমানিত অবস্থায় চিরকাল অবস্থান করবে, তবে সে ছাড়া যে তাওবাহ করেছে, ঈমান এনেছে এবং ভাল কাজ করেছে; আল্লাহ তাদের খারাপ কাজ সমূহকে ভাল কাজে পরিবর্তন করে দিবেন। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা ক্ষমাশীল, পরম দয়াময় ।” [আল-ফুরক্বান : ৬৯-৭০]
আমরা আল্লাহ’র কাছে চাই আমাদের ও আপনার জন্য তাওফীক্ব, বিশুদ্ধ তাওবাহ ও কল্যাণের পথে অবিচলতা।” [মাজমূ‘ফাত্ওয়া আশ-শাইখ ইবন বায (১০/৩২৯,৩৩০)]
অনাদায়কৃত নামাযের কাযা পালন করার হুকুম
প্রশ্ন: আমি নও মুসলিম। আমার বেশ কিছু প্রশ্ন আছে; আমি এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে আগ্রহী। আমার মনে হয়, কোন কোন প্রশ্নে আপনি চরম নির্বুদ্ধিতা পাবেন। আমি নামায পড়ার সময় কি বলব?
আমার পিতামাতা বৌদ্ধ। আমার পরিবারে একমাত্র আমার পিতা আমার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি জানেন। আমার পরিবারের সদস্যরা কখনও কখনও আমাকে তাদের সাথে খাবার খেতে ডাকে। তবে, আমি শুকরের গোশত খাই না। কিংবা কোন খাবারে হারাম কিছু আছে মর্মে জানলে আমি সে খাবার খাই না। কিন্তু, আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মুরগি ও অন্যান্য গোশত যেমন- মাছ সম্পর্কে; যেগুলো কোন মুসলমান জবাই করেনি সেগুলো খাওয়া কি হারাম? (এ ধরণের গোশত খাওয়ার কারণে) আমি কি গুনাতে লিপ্ত হয়েছি? আমি যে গুনাহগুলো করেছি সেগুলো থেকে আল্লাহর কাছে কিভাবে তওবা করতে পারি? দৈনন্দিন আমি যে গুনাহগুলো করে ফেলি সেগুলো থেকে আমি কিভাবে আল্লাহর ক্ষমা পেতে পারি? যদি আমি ফজরের নামায কিংবা যোহরের নামায কিংবা পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের কোন একটি আদায় করতে না পারি— এ কারণে আমি কি গুনাহগার হব, এ গুনাহ থেকে আমি কিভাবে ক্ষমা পেতে পারি? নামায আদায়কালে আমি কিভাবে তেলাওয়াত ও যিকির শিখতে পারি? কিভাবে আমি আরবীতে কুরআন তেলাওয়াত শিখতে পারি? ন্যূনতম নামায আদায়কালে মৌলিক যে কথাগুলো বলতে হয় সেগুলো? সামুদ্রিক সকল খাবার কি হালাল; নাকি হারাম?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
এক:
আমাদের ওয়েব সাইটের প্রতি আস্থা রাখার জন্য আমরা আপনাকে শুকরিয়া জানাচ্ছি। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আমরা যেন সবার ভাল ধারণায় থাকতে পারি এবং তিনি যেন আপনাকে সঠিক পথ ও তাওফিকের নেয়ামত দান করেন। এছাড়া আমরা এজন্যেও আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, আপনি যা জানেন না তা শেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। এটাই প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। কোন মানুষই আলেম হয়ে জন্মগ্রহণ করেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “শেখার মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জন হয়”। ইবনে হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ আখ্যায়িত করেছেন। আপনি যা জানেন না সেটা জিজ্ঞেস করাকে নির্বুদ্ধিতা মনে করার কিছু নেই। বরং এটাই হওয়া উচিত এবং এটি প্রশংসাযোগ্য।
দুই:
নামায সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর আপনি
13340 নং প্রশ্নোত্তরে নামায আদায় করার বিস্তারিত পদ্ধতি ও যিকির-আযকারসহ পাবেন।
তিন:
নামায আরবীতে পড়া কিংবা অন্য ভাষায় পড়া সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা
3471 নং প্রশ্নোত্তরে পাবেন। আমরা আপনাকে আরবীতে সূরা ফাতিহা ও নামাযের আরকান-আহকামগুলো শিখে নেয়ার জন্য উপদেশ দিচ্ছি; এগুলো শেখা সহজ। কোন একজন মুসলমানের কাছ থেকে সরাসরি শিখে নিতে পারেন; যিনি এগুলো ভালভাবে পড়তে পারেন। কিংবা যে সব ওয়েব সাইটে কুরআনের অডিও আছে সেসব ওয়েব সাইট থেকে তেলাওয়াত শুনেও শিখে নেয়া যেতে পারে।
চার:
নামায ছুটে যাওয়া সংক্রান্ত মাসয়ালা:
নামায ছুটে যাওয়ার দুইটি অবস্থা হতে পারে:
১। তীব্র সদিচ্ছা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃতভাবে, শরিয়তে গ্রহণযোগ্য ওজরের কারণে নামায ছুটে যাওয়া; যেমন- ভুলে যাওয়া কিংবা ঘুমিয়ে পড়া। এ অবস্থাতে আপনার ওজর গ্রহণযোগ্য এবং স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে নামাযের কাযা পালন করা আপনার ওপর অপরিহার্য। এ হুকুমের দলিল হচ্ছে সহিহ মুসলিমের হাদিস (৬৮১): রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ ফজর নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকার ঘটনা। তখন সাহাবায়ে কেরাম একে অপরকে ফিসফিস করে বলছিলেন: নামাযের ক্ষেত্রে আমাদের এ অবহেলা করার কাফফারা (প্রতিকার) কী? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ঘুমের কারণে নামায ছুটে গেলে সেটা অবহেলা নয়; অবহেলা হচ্ছে- যে ব্যক্তি অন্য নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নামায পড়ে না। ঘুমের কারণে যার নামায ছুটে গেছে সে যেন জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথে নামায আদায় করে নেয়।
এর অর্থ এ নয় যে, কোন মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকবে; এরপর ঘুমের ওজর পেশ করবে কিংবা ঘুম থেকে জাগার উপায়গুলো গ্রহণ না করে এরপর ওজর পেশ করবে। বরং তার কর্তব্য হচ্ছে- যাবতীয় উপায়-উপকরণ ব্যবহার করে ঘুম থেকে জাগার চেষ্টা করা যেভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ঘটনায় করেছিলেন। তিনি এক ব্যক্তিকে জেগে থেকে তাদেরকে নামাযের জন্য জাগিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তন্দ্রা সে ব্যক্তিকে কাবু করে ফেলে; ফলে তিনি তাদেরকে জাগাতে পারেননি। এমন অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যক্তির ওজর গ্রহণযোগ্য হবে।
২। ইচ্ছাকৃতভাবে নামায না পড়া; এটি মহা অপরাধ ও ন্যাক্কারজনক গুনাহ। কোন কোন আলেম এমন ব্যক্তিকে কাফের ফতোয়া দেন। (যেমনটি এসেছে- শাইখ বিন বাযের ‘মাজমুউ ফাতাওয়া ও মাকালাত সামাহাতিস শাইখ বিন বায ১০/৩৭৪)। আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে এ ব্যক্তির ওপর একনিষ্ঠ তওবা করা ফরয। আর এ নামাযগুলো কাযা করা প্রসঙ্গে আলেমগণ মতানৈক্য করেছেন যে, এ ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে এ নামাযগুলোর কাযা পালন করেন তাহলে কি কবুল হবে? নাকি হবে না? অধিকাংশ আলেমের মতে, তার ওপর এ নামাযগুলোর কাযা পালন করা ফরয এবং গুনাহর সাথে এ নামাযগুলোর কাযা পালন সহিহ হবে (অর্থাৎ সে ব্যক্তি যদি তওবা না করে- আল্লাহই ভাল জানেন)। শাইখ উছাইমীন ‘আল-শারহুল মুমতি (২/৮৯) গ্রন্থে আলেমদের এ বক্তব্যটি উল্লেখ করেছেন।
তবে, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া যে মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন সেটা হচ্ছে- এ ধরণের কাযা নামায সহিহ হবে না; বরং সে ব্যক্তির এ নামাযগুলো কাযা পালন করার বিধান নেই। শাইখুল ইসলাম তাঁর ‘ইখতিয়ারাত’ নামক গ্রন্থে (৩৪) বলেন: “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামায পড়ে না সে ব্যক্তির নামায কাযা পালন করার বিধান নেই এবং আদায় করলে সহিহ হবে না। বরং সে ব্যক্তি বেশি বেশি নফল নামায আদায় করবে। এটি একদল সলফে সালেহীন এর উক্তি।” সমকালীন আলেমদের মধ্যে শাইখ উছাইমীন পূর্বোক্ত গ্রন্থে এ অভিমতকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং এ হাদিস দিয়ে দলিল দিয়েছেন: “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে যে ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত” [সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম]
তাই আপনার কর্তব্য হচ্ছে- নামাযের ক্ষেত্রে আপনি তীব্র সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং যথাসময়ে নামায আদায়ে সচেষ্ট হোন; যেমনটা আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “নিশ্চয় নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা মুমিনদের ওপর ফরয” [সূরা নিসা, আয়াত: ১০৩]
আর তওবা করা সম্পর্কে আপনি এ ওয়েব সাইটের
14289 নং প্রশ্নোত্তরে বিস্তারিত পাবেন।
অমুসলিমদের জবাই করা প্রসঙ্গে আপনি এ ওয়েব সাইটের
10339 নং প্রশ্নোত্তরে বিস্তারিত পাবেন।
আর সামুদ্রিক প্রাণী সম্পর্কে আপনার জিজ্ঞাসার জবাব হচ্ছে- সব ধরণের সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া হালাল— এটাই মূল বিধান। এর সপক্ষে দলিল হচ্ছে আল্লাহর বাণী: “তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও তা খাওয়া হালাল করা হয়েছে, তোমাদের ও পর্যটকদের ভোগের জন্য।”[সূরা মায়েদা,আয়াত: ৯৬]
আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আপনাকে আরবী ভাষা শেখা, দ্বীনে জ্ঞানে প্রজ্ঞা অর্জন করা ও নেক আমলের সম্বল গ্রহণ করার তাওফিক দেন। নিশ্চয় তিনি সে বিষয়ে ক্ষমতাবান।
সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব