সহিহ তেলাওয়াত প্রশিক্ষন

দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে

প্রশ্নঃ মাখরাজ কাকে বলে এবং তা কয়টি?

উত্তরঃ হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। আরবী হরফ ২৯টি, আর হরফ উচ্চারণের স্থাণ তথা মাখরাজ ১৭টি।

উচ্চারণ এর স্থান মূলত ৩টি

১. ঠোট

২.মুখের ভিতর

৩.কণ্ঠ নালী (হলক)

 

১ নাম্বার মাখরাজ: হলকের শুরু হতে -হামযা ,হা ء – ٥

২ নাম্বার মাখরাজ: হলকের মধ্যখান হতে- আইন , হা ع- ح

৩নং মাখরাজ: হলকের শেষ হতে-গঈন-খ’ غ-خ

৪ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার গোড়া তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে-কফ-ق

৫ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার গোড়া হতে একটু আগে বাড়িয়ে তার বরাবর ওপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে-কাফ -ك

৬ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার মধ্যখান তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে-ইয়া, শিন, জিমঃ ي-ش-ج

৭ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার গোড়ার কিনারা, উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগিয়ে-দোয়াদঃ ض

৮ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগার কিনারা, সামনের উপরের দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগিয়ে -লামঃ ل

৯ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগা, তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে -নূনঃ ن

১০ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগার পিঠ, তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে -রাঃ ر

১১ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগা, সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগিয়ে- তা, দাল, তোয়াঃ ت-د-ط

১২ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগা, সামনের নিচের, দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগিয়ে – যা, ছিন, সোয়াদঃ ز-س-ص

১৩ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগা, সামনের উপরের দু্ই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগিয়ে – ছা, যাল, যোয়াঃ ث-ذ-ظ

১৪ নাম্বার মাখরাজ: নিচের ঠোঁটের পেট, সামনের উপরের, দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগিয়ে-ফাঃ ف

১৫ নাম্বার মাখরাজ: দুই ঠোঁট হইতে, ওয়াও, বা, মিম উচ্চাারি হয় । (ওয়াও উচ্চারণের সময় দুই ঠোঁট গোল হবে): م-ب-و

১৬ নাম্বার মাখরাজ: মুখের খালি জায়গা হইতে, মদের হরফ উচ্চারিত হয়। মাদ্দের হরফ তিনটি। ওয়াও, আলিফ ও ইয়া। যবরের বাম পাশে খালি আলিফ, পেশের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও এবং জেরের বাম পাশে জযমওয়ালা ইয়া। মাদ্দের হরফ এক আলিফ টেনে পড়তে হয়। যেমন- با-بُؤْ-بِئ

(অবশ্য তিন আলিফ ও চার আলিফ মদ ও আছে। তবে সেগুলোর নিয়ম ভিন্ন যা আমরা মদের আলোচনায় পরে দেখব। ইনশা’আল্লা্হ)

১৭ নাম্বার মাখরাজ: নাকের বাঁশী হইতে গুন্নাহ উচ্চারিত হয়। -আন্না, ইন্না, আম্মা ইত্যাদি। اِنَّ-اَنَّ-اَمَّ

মদ কাকে বলে ও মদের বিস্তারিত আলোচনা

প্রশ্ন:- মদ অর্থ কি ?

উত্তর:- মদ অর্থ আওয়াজ কে টানিয়া পড়া।

প্রশ্ন:- মদ এর হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:-মদ এর হরফ ৩টি। যথা:-  واي

প্রশ্ন:-মদ কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর:- মদ মোট ১০ প্রকার:- (১) মদ্দে তাবায়ী (২) মদ্দে মুত্তাসিল (৩) মদ্দে মুনফাসিল (৪) মদ্দে আরেজী (৫) মদ্দে লীন (৬) মদ্দে বদল

(৭) মদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কাল (৮) মদ্দে লাযিম কালমী মুখাফফাফ (৯) মদ্দে লাযিম হরফী মুসাক্কাল (১০) মদ্দে লাযিম হরফী মুখাফফাফ।

প্রশ্ন:- মদ্দে তাবায়ী কাকে বলে?

ওয়াও সাকিন ডানে পেশ, ইয়া সাকিন ডানে যের, আলিফ খালি ডানে যবর আসলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়।

ইহাকে মদ্দে তাবায়ী বা মদ্দে আছলী বলে।যথা:- نوحيها

প্রশ্ন:- মদ্দে মুত্তাসিল কাকে বলে?

উত্তর:- একই শব্দে মদের হরফের পর “হামযা” আসিলে চার আলিফ টেনে পড়তে হয়। ইহাকে মদ্দে মুত্তাসিল বলে। যথা:- سوء- جاء

প্রশ্ন:- মদ্দে মুনফাসিল কাকে বলে?

উত্তর:- মদের হরফের পরে অন্য শব্দের প্রথমে ” হামযা” আসিলে ৩ বা ৪ আলিফ  টেনে পড়তে হয়। ইহাকে মদ্দে মুনফাসিল বলে।যথা:- بما انزل-انا امنا

প্রশ্ন:- মদ্দে আরেজী কাকে বলে?

উত্তর:- মদের হরফের পরে ওয়াক্বফ করিলে এবং পরবর্তী হরফটি অস্থায়ী সাকিন হইলে ৩ আলিফ টেনে পড়তে হয়। ইহাকে মদ্দে আরেজী বলে।

যথা:- تعلمون – حساب

প্রশ্ন:- মদ্দে লীন কাকে বলে?

ওয়াও সাকিন অথবা ইয়া সাকিন এর পূর্বে যবর হইলে এবং পরবর্তী হরফে ওয়াক্বফ করিলে ১ আলিফ টেনে পড়তে হয়। ইহাকে মদ্দে লীন বলে।

যথা:- خوف -سير

প্রশ্ন:- মদ্দে বদল কাকে বলে?

মদের হরফের পূর্বে “হামযা” আসিলে ১ আলিফ টেনে পড়তে হয়।ইহাকে মদ্দে বদল বলে।যথা:- امنوا – ايمانا – اوتي

প্রশ্ন:- মদ্দে লাযিম কাকে বলে?

উত্তর:- মদের হরফের পর আসলী সাকিন আসলে যে মদ হয়,  ইহাকে মদ্দে লাযিম বলে।যথা:- الءان – دابه

প্রশ্ন:- মদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কাল কাকে বলে?

উত্তর:- একই শব্দে মদের হরফের পরে তাশদীদ যুক্ত হরফ আসিলে ৪ আলিফ টেনে পড়তে হয়। ইহাকে মদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কাল বলে।

 

নুন সাকিন ও তানভীনের নিয়ম

প্রশ্ন:- নুন সাকিন কাকে বলে?

উত্তর:- নূন সাকিন: [ ‫نْ ] জযমযুক্ত নূনকে নূন সাকিন বলা হয়, অর্থাৎ যে নূনের ওপর জযম [ ٨ ٫] থাকে তাকে নূন সাকিন বলে।

যথা-اَنْ – اِنْ -اُنْ

প্রশ্ন:- তানভীন কাকে বলে?

উত্তর দুই যবর, দুই যের,  দুই পেশকে তানভীন বলে।যথা:- بً – بٍ – بٌ

প্রশ্ন:- নুন সাকিন ও তানভীন কয় নিয়মে পড়তে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন ও তানভীন চার নিয়মে পড়তে হয়। যেমন:- (১) ইযহার (২) ইক্বলাব (৩) ইদগাম (৪) ইখফা।

প্রশ্ন:- ইযহার অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইযহার অর্থ স্পষ্ট করিয়া পড়া। ইযহারের হরফ ৬টি। যথা-: ء – ه – ع – ح – غ – خ

প্রশ্ন:- ইযহার কখন করতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পর ইযহারের ৬টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে, উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে গুন্নাহ ছাড়া স্পষ্ট করিয়া পড়া।যথা:- اَنْعمت – عليمٌ خببر ‫اَجْرٌ غَيْرٌ = وَ انْحَرْ = ‫مِنْ عَمَلٍ = مِنْهُمْ = ‫كُفُوًا اَحَدٌ ‫

প্রশ্ন:- ইক্বলাব অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইক্বলাব অর্থ পরিবর্তন করিয়া পড়া। ইক্বলাবের হরফ একটি যথা:- ب

প্রশ্ন:- ইক্বলাব কখন করতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ب হরফ টি আসিলে উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে ছোট মীম দ্বারা পরিবর্তন করে গুন্নাহ ও ইখফার সাথে পড়তে হয়।

যথা:- من بعد – سميع بصير ‫مِنْ بَعْدِ=مِنۢ بَعْدِ= قَوْمًۢا بَعْدِ – خَبِيرٌۢ بِمَا – حَدِيثٍۭ بَعْدَهُ للَّهُٱنۢبِعَا-‫اَنْبِيَاءُ – اَلِيْمٌ بِمَا – ٱنۢبِعَا

প্রশ্ন:- ইদগাম অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইদগাম অর্থ মিলিয়ে পড়া। ইদগামের হরফ ৬টি। যথা:- ي – ر – م – ل – و – ن

প্রশ্ন:- ইদগাম কখন করিতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ইদগামের ৬টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে মিলাইয়া পড়িতে হয়।

যথা: منْ يفعل – منْ ربك

প্রশ্ন:- ইদগাম কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর:- ইদগাম দুই প্রকার- (১) ইদগামে বা-গুন্নাহ (২) ইদগামে বে-গুন্নাহ।

প্রশ্ন:- ইদগামে বা-গুন্নাহ অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

ইদগামে বা- গুন্নাহ অর্থ গুন্নার সহিত মিলাইয়া পড়া। ইদাগামে বা- গুন্নার হরফ ৪টি। যথা:- ي – و – م – ن

প্রশ্ন:- ইদগামে বা-গুন্নাহ কখন করিতে হয়?

নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ইদগামে বা-গুন্নার ৪টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে গুন্নার সহিত মিলাইয়া পড়িতে হয়।যথা:- منْ يفعل – قومٌ مسرفون ‫مَنْ يَّشَۤاءُ – [ ي ] ‫نَفْسٍ وَّمَا- [ و ]‫  ‫رَسُوْلٌ مِّنْ -[ م ] مِنْ نِّسَۤاءِ – [ن]‫

প্রশ্ন:- ইদগামে বে-গুন্নাহ অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইদগামে বে-গুন্নাহ অর্থ গুন্নাহ ছাড়া মিলাইয়া পড়া। ইদগামে বে-গুন্নার হরফ ২টি। যথা:- ر – ل

প্রশ্ন:- ইদগামে বে-গুন্নাহ কখন করিতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ইদগামে বে-গুন্নার ২টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে গুন্নাহ ছাড়া মিলাইয়া পড়িতে হয়।যথা:- رزقاًلكم – منْ ربك غَفُورٌ رَّحِيمٌ – مِّنْ رَّبٍّ رَّحِيمٍ

প্রশ্ন:- ইখফা অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইখফা অর্থ নাকের বাশিতে আওয়াজকে লুকাইয়া পড়া। ইখফার হরফ ১৫ টি।যথা:-ت – ث – ج – د – ذ – ز – س – ش – ص – ض – ط – ظ – ف – ق – ك

প্রশ্ন:- ইখফা কখন করিতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ইখফার ১৫টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে, উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে গুন্নার সহিত নাকের বাশিতে লুকাইয়া পড়িতে হয়।যথা:- لنْ تفعلو – خيرً كثير

‎ ‫مِنْ قَبْلِكَ ‫O ‫مِنْ شَرِّO ‫ اَنْتُمْ O ‫لِتُنْذِرَ O ‫اُنْزِلَ ‫O ‫ كُنْتُمْ ‫ O ‫

রা অক্ষর পুর (মোটা ) বারিক ( পাতলা ) পড়ার নিয়ম।

রা অক্ষর পড়িবার নিয়ম ২টি। (১) পুর (২) বারিক।

 

প্রশ্ন:- রা কোন সময় পুর করিয়া পড়তে হয়?

উত্তর:- রা, ৭ অবস্থায় পুর করিয়া পড়তে হয়।

(১) রা, এর উপর যবর হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- – رَفع

(২) রা, এর উপর পেশ হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- رُقود

(৩) রা, সাকিন তার আগের হরফে যবর হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- مَرْيم

(৪) রা, সাকিন তার আগের হরফে পেশ হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- اُرْكسو

(৫) রা, সাকিন তার আগের হরফে অস্থায়ী যের হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- من ارْتضي – اِنِ ارْتبتم

(৬) রা, সাকিন তার আগের হরফে যের হইলে এবং পরে ইস্তে,আলার ৭টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ একই শব্দে আসিলে পুর করিয়া পড়িতে হয়।

যথা:- قِرْطاس – مِرْصاد

ইস্তে,আলার হরফ ৭টি এই:- خص ضغط قظ

(৭) রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন তার আগের অক্ষরে যবর বা পেশ হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয় এবং রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন ও তার আগের অক্ষরও সাকিন,এর আগের অক্ষরে যবর বা পেশ হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- ★انهَرُ★نُفُرُ★ قَدْرِ★صُدُوْرِ

প্রশ্ন:- রা, কোন সময় বারিক করিয়া পড়িতে হয়?

উত্তর:- ৫ অবস্থায় রা, বারিক করিয়া পড়িতে হয়।

(১) রা, এর নীচে যের হইলে বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- رِجال

(২) রা, সাকিন তার আগের হরফে যের হইলে বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:-مِرْية

(৩) রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন এবং তার আগের অক্ষরে যের হইলে বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- مدكر

(৪) রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন, এর আগের অক্ষর সাকিন এবং তার আগের অক্ষরে যের হইলে রা, বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- ذِي الذِّكْرِ

(৫) রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন তার আগের অক্ষর ইয়া সাকিন হইলে বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- خبيْرً – سيْرُ

 

আলিফ জা’ইদাহ্ এবং আনাবা, আনাবু, আনামিলা আনাসিয়া’র নিয়মঃ

আলিফ জা’ইদাহ্ঃ আরবী বর্ণে কোনটার উপর গোল চিহ্ন থাকলে, এবং তার বাম পাশে ছোট কিম্বা গোল হামজাহ থাকলে তাহা টেনে পড়া যাবে না।أَنَا

[চারটি শব্দ টানতে হবে …যথা: ১। আনাবা (‘না’ এক আলিফ টানতে হবে) ২। আনাবু ৩। আনামিলা ৪। আনাসিই’য়া ।

বি: দ্র: এই চারটি শব্দে ‘না’ এক আলিফ টানতে হবে। কারন এগুলা আলিফ জাইদাহ্ এর আলিফ না, আনা শব্দের আলিফ না।]

ক্বলক্বলা

ক্বলক্বলার হরফ ৫টি [ ق ط ب ج د ],

মনে রাখার জন্য একত্রে [ক্কুত্ববুজ্বাদ্দী]বলা যায়।

এসব অক্ষরে সাকিন বা যজম [٨ ,] থাকলে ক্বলক্বলায়ে পড়তে হয়।

ক্বলক্বলা শব্দের অর্থ – হলো আওয়াজ হওয়া।

আর ক্বলক্বলা আদায় করার নিয়ম হলো, কোন গোলাকার বস্তুকে মাটিতে নিক্ষেপ করার ফলে নিক্ষিপ্ত বস্তুটি যেমনিভাবে গম্ভীর শব্দ করে উপরের দিকে লাফিয়ে উঠে— ঠিক তেমনিভাবে ক্বলক্বলার হরফকেও উচ্চারণ করার সময় তার নির্দিষ্ট মাখরাজ হতে বিশেষ ধরণের গম্ভীর আওয়াজ করে(প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে ক্বলক্বলায়ে) উচ্চারণ করতে হয়।

উল্লেখ্য ক্বলক্বলার হরফগুলো যদি ওয়াক্ফ অবস্থায় হয়, তাহলে কিছুটা যবরের মত করে আদায় করা, পূর্ণ যবর প্রকাশ করা যাবে ন। আর যদি শব্দের মধ্যভাগে ক্বলক্বলার হরফ সাকিন হয়, তাহলে সামান্য পরিমাণ ক্বলক্বলা করে পড়তে হয়। যেমন= ٱلْأَبْتَرُ = আবতার=[সূরা কাওছার],
يُبْصِرُونَ = تَقْرَبُو=يَطْعَمْهُ =أَجْرُهُمْ = تُبْتُمْ = بِلْعَدْلِ ‫O

সংগ্রহকৃত লিঙ্ক———-

(https://opentechinfo.wordpress.com/2011/09/28/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95/?fbclid=IwAR3jW63eFKQHNb510kcZc1Og4R8plkaGnWiFEzg1aXkgQ21njp-alNHW-Lk)