বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন মাজীদ” শিক্ষা

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন মাজীদ” শিক্ষা (১ম-৫ম/শেষ খন্ড)

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন মাজীদ” শিক্ষা (১ম খন্ড)

আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে রমজান মাসের শুভেচ্ছা। যারা কুরআন শরীফ পড়তে জানেন না বা অল্প জানেন এই টিউনটি তাদের জন্যে। কুরআন শরীফ এখন আপনার জন্যে আরও সহজ ভাবে শিখতে চালু হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
এটাকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলার কারন: ক্বারী মাওলানা রমজান আলী সহ বড় বড় আলেমদের সহযোগিতায় তিনি এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। এই উদ্যগটি তাহার নিজের। আর শিখানোর জন্যে আলাদা প্রশিক্ষক শিক্ষক আছে। যাহার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তাহার কাছ থেকে।
বিশেষ কারন: সর্বজন শ্রদ্বেয় আলীম এ দ্বীন বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম খতীব,প্রাপ্তণ হযরত মাওলানা ওবায়দুল হক সাহেব তিনি এ পদ্ধতি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং বলেন, ” এ পদ্ধতি সর্ম্পকে আমার কোন ধারনা ছিল না, এখন দেখে বুঝতে পারলাম, ক্বারী মাওলানা রমজান আলীকে আল্লাহ্ পাক কুরআন শিক্ষা দেবার হিকমত দান করেছেন। ”

আমি নিজেই হাতে কলমে সপ্তাহে ৫দিন সহ প্রায় ৩মাস ১ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের এলাকার মসজিদে। অর্থাৎ আমি নিজেই ভালমত প্রশিক্ষণটা নিয়ে আপনাদের সাথে Share করতেছি।
আজকে প্রথম পর্বে বিপদজনক মাখরাজ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল ।

আরবে বর্ণমালা গুলো কিভাবে উচ্চারিত হয় ত নিম্নে দেয়া হল :
ا ب ت ث ج ح خ د ذ ر ز س ش ص ض ط ظ ع غ ف ق ك ل م ن ه و أ ي

১। হলকের শুরু হইতে শক্ত ভাবে আদায় হবে হামজা أ
২। ث(ছা)         জিহ্বার আগার কিনারা সামনের নিচের দাঁতের কিনারা হতে নরম ভাবে আদায় হবে।
৩। [অন্যান্য অক্ষর গুলো নরমাল ভাবে আদায় হবে।]
৪। ح(লম্বা হা)           হলকের মাঝখান হতে গলায় শোঁ শোঁ শব্দ হবে।
৫। ج(জীম্)              জিহ্বার মাঝখান(উপরের তালু ) থেকে শক্ত ভাবে আদায় হবে।
৬। ذ(যাল্)                  জিহ্বার আগা(সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা) থেকে নরম ভাবে আদায় হবে।
৭। ز(জা/যা্)           জিহ্বার আগা সামনের নিচের দুই দাঁতের আগা থেকে শিষসহ পাতলাভাবে আদায় হবে।
৮। س(সীন্)             জিহ্বার আগা সামনের নিচের দাঁতের আগা থেকে শিষ সহ পাতলা ভাবে আদায় হবে।
৯। ص(ছ্বদ্)             জিহ্বার আগা সামনের নিচের দাঁতের আগা থেকে শিষ সহ মোটা ভাবে আদায় হবে।
১০। ض(দ্বদ্)           সামনের দাঁতের সাথে জিহ্বার আগা না লাগিয়ে , জিহ্বার গোড়ার বাম কিনারার উপরের মাড়ি দাঁতের গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১১। ط(ত্ব)                জিহ্বার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১২। ظ(জ্ব)               জিহ্বার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১৩। ع(আঈন)            হলকের মধ্য থেকে গলায় চিপে আদায় হবে।
১৪। ق(ক্বফ্)            জিহ্বার গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১৫। و(ওয়াও)       দুই ঠোঁটের মাঝখানের ফাঁক থেকে আদায় হবে।
১৬। ي(ইয়া)         জিহ্বার মাঝখান থেকে নরম ভাবে আদায় হবে।
১৭।  أ(হামজাহ্)    হলকের শুরু হতে শক্ত ভাবে আদায় হবে।

সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
> এবং আরও অনেকে।

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন মাজীদ” শিক্ষা (২য় খন্ড)

টআসসালামু আলাইকুম, সবাইকে রমজান মাসের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ২য় খন্ড(হরকত,তানবীন,সুকূন,তাশদীদ্ এর ব্যবহার)।
[আমি নিজেই হাতে কলমে সপ্তাহে ৫দিন সহ প্রায় ৩মাস ১ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের এলাকার মসজিদে। অর্থাৎ আমি নিজেই ভালমত প্রশিক্ষণটা নিয়ে আপনাদের সাথে Share করতেছি।]

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম:
**হারকত্:যের,যবর,পেশ কে হারকত্ বলা হয়। হারকতের উচ্চারণ তাড়াতাড়ি করতে হয়।
**তানভীন: দুই যবর, দুই পেশ, দুই যের কে তানভীন বলা হয়। তানভীনের ভিতরে ,নূন সাকিন লুকায়িত থাকে।
**সুকূন: এটাকে জ্বজমও বলা হয়। যেমন-لُ
**তাশদীদ: এটিতে অতিরিক্ত একটি হারকত থাকে। যেমন-أنَّ
বি:দ্র: ‘আলিফ’ এর সাথে হারকত,তানভীন,সুকূন থাকলে আলিফ তখন ‘হামজাহ’ হয়।

## ইস্তিয়লা ৭ হরফ …

ইস্তিয়লাঃ ص ض ط ظ ق غ خ সব সময় মোটা হবে এসব হরফ। যেমন ط যবর ‘তা’ না হয়ে , হবে ‘ত্ব’ ।
ق যবর ‘ক্বা’ না হয়ে হবে ‘ক্ব’ ।
ص যবর ‘সা’ না হয়ে হবে ‘ছ্ব’ ।
خ যবর ‘খা’ না হয়ে হবে ‘খ’ ।
ظ যবর ‘জ্বা’ না হয়ে হবে ‘জ্ব’।
غ যবর ‘গা’ না হয়ে হবে ‘গ’।

বি:দ্র: ‘র’ এর উপর যবর/পেশ থাকলে ‘র’ হরফ মোটা। যেমন- ‘র’ যবর ‘রা’ না হয়ে হবে ‘র’।

## ছ্বফীরহঃ ছ্বফীরহ ৩টি হরফ নাম তার ص س ز । এই তিনটি অক্ষর উচ্চারিত হবার সময় শিষ আসবে। যেমন :
ز সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।
ص সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।
س সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।

## ক্বলক্বলাহ্ঃ ক্বলক্বলাহর ৫টি হরফ নাম তার ب ط ق د ج । এসব অক্ষরে সুকূন বা যজম ٨ থাকলে ক্বলক্বলায়ে পড়তে হয়। যেমন :
أ হামজাহ্ যবর ‘আ’ , ‘আ’ লাগবে ب সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে “আব্”।
أ হামজাহ্ যবর ‘আ’ , ‘আ’ লাগবে ج সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে “আজ্”।
أ হামজাহ্ যবর ‘আ’ , ‘আ’ লাগবে ط সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে “আত্”।
(প্রতিধ্বনি সূষ্টি করে ক্বলক্বলায়ে পড়তে হয়){এভাবে অন্যান্য গুলো পড়তে হবে}

## ওয়াজিব গুন্নাহ্ : ওয়াজিব গুন্নাহ্ ২টি হরফ, নাম তার م ن এবং এদের উপর তাশদীদ থাকলে গুন্নাহ্ করা ওয়াজিব । গুন্নাহ্ এক আলিফ টানতে হয় । যেমন :
أ হামজাহ্ যবর ‘আ’ ‘আ’ লাগবে م তাশদীদ এর সাথে। তাহলে হবে আ’ম্মা ।
أ হামজাহ্ যবর ‘আ’ ‘আ’ লাগবে ن তাশদীদ এর সাথে। তাহলে হবে আ’ন্না । যেমন: أنَّ

সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
>ড.মুফতী মাওলানা মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন
> এবং আরও অনেকে।

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন মাজীদ” শিক্ষা “৩য় খন্ড” (মাদের ব্যবহার)

আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে রমজান মাসের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ৩য় খন্ড (মাদের ব্যবহার)। কুরআন শরীফ শিক্ষার জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাদের ব্যবহার না জানলে সহীভাবে কুরআন পড়া অসম্ভব।

আপনি কি জানেন !! কুরআন শরীফ সেই গ্রন্থ যাতে কোন সন্দেহ নেই ? এই কুরআনের কারনে…
** হযরত মুহাম্মাদ(স) কে শ্রেষ্ঠ নবীর উপাধি দেওয়া হয়েছে।
** হযরত জীবরাঈল(আ) কে শ্রেষ্ঠ ফেরেশতার উপাধি দেওয়া হয়েছে।
** রমজান মাসকে শ্রেষ্ঠ মাস বলা হয়েছে, যেহেতু এই মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে।
** শবে ক্বদরের রাত্র কে শ্রেষ্ঠ রাত বলা হয়েছে,শুধু এই কুরআনের কারনে।
** যারা কুরআন শিখে এবং শিক্ষা দেয়, তাদের কে শ্রেষ্ঠ মানুষ বলা হয়েছে।
** এছাড়াও আরও অনেক ফযিলত আছে।

যাই হোক মূল কথায় আসি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম:(এখানে রাহিম/রাহমানির এগুলা পড়া যাবে না, যেহেতু “র” হরফ মোটা)

### মাদে আছ্বলী(১ম খন্ড) : মাদের হরফ ৩টি, এর সাহায্যকারী তিনটি। যথা :

**যেরের বামে ইয়া সাকিন,নইলে যেরটা খাড়া হয়, এই দুই ধরণের যের থাকলে, এক আলিফ টানতে হয়।
** পেশের বামে ইয়া সাকিন,নইলে পেশটা উল্টা হয়, এই দুই ধরণের পেশ থাকলে, এক আলিফ টানতে হয়।
** যবরের বামে খালি আলিফ, নইলে যবর খাড়া হয়, এই দুই ধরণের যবর থাকলে ,এক আলিফ টানতে হয়।
সবগুলো মাদের হরফ এক আলিফ মাদে আছ্বলী।

### মাদে আছ্বলী(২য় খন্ড) : মাদের হরফ ৩টি, এর সাহায্যকারী তিনটি। যথা :

نوحيها নু(এক আলিফ টান)হি্(এক আলিফ টান)হা(এক আলিফ টান) কারন নুনের উপর পেশ আর ওয়াও এর উপর সাকিন, আবার হা্ এর নিচে যের আর ইয়া এর উপর সাকিন, আবার হা এর উপর যবর আর যবর এর বামে খালি আলিফ, তাই টান হবে। সবগুলো মাদের হরফ এক আলিফ মাদে আছ্বলী।

### মাদে মুংফাছ্বিল : মাদে আছ্বলীর বামে যদি লম্বা হামজাহ্ পাওয়া যায় , তাতে তিন আলিফ মাদে মুংফাছ্বিল। অর্থাৎ তিন আলিফ টানতে হবে। যেমন :
يَا أ
لَا أ [এখানে ي এর উপর যবর ,তার বামে খালি আলিফ (মাদে আছ্বলী) এবং তারও বামে লম্বা হামজাহ্, তাই ইয়া তিন আলিফ টানতে হবে।]

### মাদে মুত্তাছিল : মাদে আছ্বলীর বামে যদি গোল হামজাহ্ পাওয়া যায় , তাতে চারআলিফ মাদে মুত্তাছিল । অর্থাৎ চার আলিফ টানতে হবে। যেমন :
جَاءَ [এখানে ج উপর যবর ,তার বামে খালি আলিফ(মাদে আছ্বলী) এবং তারও বামে গোল হামজাহ্ ,তাই জা চার আলিফ টানতে হবে।]

### মাদে আরদ্বী: মাদে আছ্বলীর বামে যদি আরদ্বী সাকিন্ হয়, তবে তিন আলিফ মাদে আরদ্বী। দম ফেলিলে ৩ আলিফ ,নইলে ১ আলিফ টানতে হবে। যেমন : حِيم
বি দ্র: ح এর নিচে যের এবং ي এর উপর সাকিন্ আছে , তাই م কে আরদ্বী সাকিন্ ধরে পড়তে হবে।

### মাদে লীনঃ হারফে লীন দুইটি । যথা: ‘ইয়া’ সাকিন ডাইনে যবর , ‘ওয়াও’ সাকিন ডাইনে যবর।
যের ,যবর, পেশ আর ২যবর, ২পেশ, পাইলে দম ফেলিবার সময়, সেথায় , আরদ্বী সাকিন হইবে। (আরদ্বী সাকিন মনে মনে ধরা সাকিন)
যথাঃ বাঈত ب > بيت এর যবর, ي এর উপর সাকিন, ت এর নিচে যের >
বি:দ্র: হারফে লীনের বামে , যদি আরদ্বী সাকিন হয় তাকে দুই আলিফ মাদে লীন কয়।

### মাদে বাদলঃ মাদে আছ্বলী যদি কখনো, হামজার সাথে পাওয়া যায় ,তার নাম মাদে বাদল, ১ আলিফ টানতে হয়।
যেমন: إِيلَافِهِمْ

### মাদে ছ্বিফাতে শাদীদাহ্ঃ হামজাহ্ ছিফাতে শাদীদাহ্, আওয়াজ শক্তভাবে বন্ধ করে শাদীদাহ্।
যেমন: يَأْكُلُ (ইয়া্কুলু)

সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
>ড.মুফতী মাওলানা মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন
> এবং আরও অনেকে।

————————-আমিন——————————-

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন মাজীদ” শিক্ষা “৪র্থ খন্ড” (গুরুত্বপূর্ণ)

আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে রমজান মাসের শবে ক্বদরের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ৪র্থ খন্ড। কুরআন শরীফ শিক্ষার জন্যে যা যা দরকার তা তা এখানে তুলে ধরা হল।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম:(এখানে রাহিম/রাহমানির এগুলা পড়া যাবে না, যেহেতু “র” হরফ মোটা)

### লাম-এ আল্লহঃ লাম-এ আল্লহর ডাইনে যদি , পেশ কিম্বা যবর হয়, আল্লহ শব্দের ‘লাম’ তখন মোটা করে পড়তে হয়। যের হলে লাম কে পাতলা করে পড়তে হয়। আল্লহ শব্দের লাম ছাড়া , বাকী সব লাম পাতলা হয়।(মোটার বেলায় যবরে বাংলায় ‘আ-কার’ হয় না)
ছন্দ: লামে আল্লহর ডানে যবর ,লাম এ আল্লহ মোটা। লামে আল্লহর ডানে পেশ ,লাম এ আল্লহ মোটা। লামে আল্লহর ডানে যের ,লাম এ আল্লহ পাতলা। [সঠিক উচ্চারণ: “আল্লহ্”]

### মাদে ছ্বিলায় ক্বছীরহঃ খাড়া যের বা উল্টা পেশ, গোল ‘হা’-এ পাইলে, তার নাম ‘হা’- এ দ্বমীর, শব্দের শেষে থাকবে।
ছন্দ: হা-এ দ্বমীরের বামে যদি, হামজাহ্ না পাওয়া যায় , মাদে ছ্বিলায় ক্বছীরহ, এক আলিফ টানতে হয়।
যেমন: إِنَّهُ (‘হা’ তে উল্টা পেশ থাকার কারনে এক আলিফ টানতে হবে )

### মাদে ছ্বিলায় ত্ববীলাহ্ঃ ‘হা’ দ্বমীরের বামে ,হামজাহ্ যদি না থাকে ,তিন আলিফ মাদে ছ্বিলায় ত্ববীলাহ্। (দম ফেলিলে ১ আলিফ ,নইলে ৩ আলিফ টানতে হয়)

### মাদে ইঁওয়াদ্বঃ দুই যবরে দম ফেলিলে এক যবর বাদ দিয়ে এক আলিফ টানতে হয়, একেই মাদে ইঁওয়াদ্ব কয়।
ওয়াক্বফে তামঃ গোল চিহ্ন ওয়াক্বফে তাম,দম না ফেলে আর পড়া যাবে না।

### আলিফ জা’ইদাহ্ঃ আরবী বর্ণে কোনটার উপর গোল চিহ্ন থাকলে, এবং তার বাম পাশে ছোট কিম্বা গোল হামজাহ থাকলে তাহা টেনে পড়া যাবে না।
বি: দ্র: أَنَا [চারটি শব্দ টানতে হবে …যথা: ১। আনাবা (‘না’ এক আলিফ টানতে হবে) ২। আনাবু ৩। আনামিলা ৪। আনাসিই’য়া । বি: দ্র: এই চারটি শব্দে ‘না’ এক আলিফ টানতে হবে। কারন এগুলা আলিফ জাইদাহ্ এর আলিফ না, আনা শব্দের আলিফ না।]

### মাদে লীনে লাজিমঃ আঈন হারফ বানান করলে, হারফে লীনের বামে ,আছ্বলী সাকিন পাওয়া যায় , মাদে লীনে লাজিম ইহা, চার আলিফ টানতে হয়। যেমন:< عين <ع (আঈনের উপর যবর ,ইয়ার উপর সাকিন, নুনের উপর সাকিন)

### মাদে লাজিম হারফী মুখফ্-ফাফঃ যে হরফ বানান করলে ,মাদে আছ্বলীর বামে সাকিন হয়,মাদে লাজিম হারফী মুখফ্-ফাফ, চার আলিফ টানতে হয়। যেমন : ل = (লাম হরফ বানান করলে ‘লাম-আলিফ-মীম’ হবে) لام (চার আলিফ টানতে হবে)।

### মাদে লাজিম হারফী মুছাক্কলঃ যে হরফ বানান করলে ,মাদে আছ্বলীর বামে তাশদীদ হয়,মাদে লাজিম হারফী মুছাক্কল, চার আলিফ টানতে হয়।
লাম্ হারফের বামে ,’মীম’ থাকার কারনে ,’লাম’ হারফ বানান করলে, মাদে আছ্বলীর বামে তাশদীদ হয়, মাদে লাজিম হারফী মুছাক্বল, চার আলিফ টানতে হয়। যেমনঃ الم (আলিফ এ মাদ নাই, আলিফ টানা যাবে না, মীমের উপর তাশদীদ থাকার কারনে ,চার আলিফ টানতে হয়,এবং হারফী মুখফ্-ফাফ এর কারনে ‘লাম’ হারফ চার আলিফ টানতে হয়)

### মাদে লাজিম কালমী মুখফ্-ফাফঃ যে শব্দ পড়তে গিয়ে মাদে আছ্বলীর বামে সাকিন হয়, মাদে লাজিম কালমী মুখফ্-ফাফ, চার আলিফ টানতে হয়। যেমন : হামজাহ্ এর খাড়া যবর থাকলে, এবং তার উপর মোটা চিহ্ন থাকলে , সেটি বানান করলে হয় কালমী মুখফ্-ফাফ, চার আলিফ টানতে হয়।

### মাদে লাজিম কালমী মুছা্ক্কলঃ যে শব্দ পড়তে গিয়ে মাদে আছ্বলীর বামে তাশদীদ হয়, মাদে লাজিম কালমী মুছা্ক্কল, চার আলিফ টানতে হয়। যেমন: মাদে হারফের বামের হারফে যদি তাশদীদ হয়, মাদে লাজিম কালমী মুছা্ক্কল চার আলিফ টানতে হয়।

### মাদে ইবদালঃ যবরের বামে খালি ‘ইয়া’ থাকলে ,দম ফেলিলে এক আলিফ মাদে ইবদাল। অর্থাৎ দম ফেলিলে এক আলিফ , না হয় টানা যাবে না।
মাদে ফাছ্বলীঃ যেরে বামে খালি ইয়া/পেশের বামে খালি ওয়াও , দম ফেলিলে এক আলিফ মাদে ফাছ্বলী । অর্থাৎ দম ফেলিলে এক আলিফ , না হয় টানা যাবে না।

সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
>ড.মুফতী মাওলানা মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন
> এবং আরও অনেকে।

————————-আমিন——————————-

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন মাজীদ” শিক্ষা “৫ম/শেষ খন্ড”

আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে রমজান মাসের শবে ক্বদরের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ৫ম/শেষ খন্ড। নফল এবাদতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল কুরআন শরীফ পড়া। মানব জাতির জন্যে কুরআন হল হেদায়েত স্বরুপ।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম:(এখানে রাহিম/রাহমানির এগুলা পড়া যাবে না, যেহেতু “র” হরফ মোটা)

### নূন সাকিন্ পড়ার নিয়মাবলীঃ(১ম পাঠ)
ইক্বলাব: ইক্বলাব অর্থ বদল করা বা ‘নূন’ কে ‘মীম’ ধরা।
‘নূন’ সাকিনের বামে যদি ,’বা’ অক্ষর পাওয়া যায়, ‘নূন’ কে ‘মীম’ ধরে, গুন্নাহ করে পড়তে হয় (তানবীনের ভিতরেও নূন সাকিন লুকায়িত থাকে)।
ইজহার: ইজহার অর্থ স্পষ্ট করা। ‘নূন’ সাকিনের বামে যদি এসব অক্ষর পাওয়া যায়, ‘নূন’ সাকিন সেই সব জায়গায়, ‘ইজাহার’ করে পড়তে হয়।

### নূন সাকিন্ পড়ার নিয়মাবলীঃ
ইদগম: ইদগম অর্থ তাশদীদ ধরে মিলিয়ে পড়া। ‘নূন’ সাকিনের বামে যদি , ر ل م ن و ي এসব অক্ষর পাওয়া যায় , তাশদীদ থাক আর না থাক , তাশদীদ ধরে পড়তে হয়।
م ن و ي গুন্নাহ্ করে পড়তে হয় , এবং ر ل গুন্নাহ্ ছাড়া পড়তে হয় (তানবীনের ভিতরেও নূন সাকিন লুকায়িত থাকে)।

### নূন সাকিন্ পড়ার নিয়মাবলীঃ
ই্খফা: ইখফা অর্থ গোপন করা। ইখফার হুরুফ ১৫টি।
‘নূন’ সাকিনের বামে যদি ب ت ث ج د ذ ز س ش ص ض ط ظ ع غ ف ق ك
এসব হুরুফ পাওয়া যায় , ‘নূন’ সাকিন সেইসব জায়গায় গুন্নাহ্ সহ ‘ইখফা’ করে পড়তে হয় । যেমন : আংতা (তানবীনের ভিতরেও নূন সাকিন লুকায়িত থাকে)

### হা সাকিনঃ গোল ‘তা’ এ দম ফেলিলে ‘হা’ হয়ে আরদ্বী সাকিন হয়ে যায়।
মাদে আছ্বলীতে ওয়াক্বহ্: দম ফেলিলে এক আলিফ টানতে হয়।
হা দ্বমীর ওয়াক্বফ্: ‘হা’ দ্বমীর এ দম ফেলিলে, আরদ্বী সাকিন হয়ে যায়।

### আলিফ জাইদাহ্ঃ কুরআন শরীফে শুধু ‘আনা’ এই শব্দটি টেনে পড়া যাবে না।

### মীম্ সাকিনঃ মীম সাকিনের বামে যদি, ‘মীম্’ অক্ষর পাওয়া যায়,বামের মীমে তাশদীদ ধরে, ইদগম করে পড়তে হয়। এবং মীম সাকিনের বামে যদি, ‘বা’ অক্ষর পাওয়া যায়,মীম সাকিন সেসব জায়গায় ইখফা করে পড়তে হয়।

### নূনে কুৎনীঃ তানভীনের নূন সাকিনের বামে, সাকিন বা তাশদীদ যদি হয়, তানবীনের নূনে যের ধরে ,পরের সাকিন পড়তে হয়।

সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)

যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
>ড.মুফতী মাওলানা মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন
> এবং আরও অনেকে।

————————-আমিন——————————

সংগ্রহকৃত লিঙ্ক———-

(https://opentechinfo.wordpress.com/2011/09/28/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95/?fbclid=IwAR3jW63eFKQHNb510kcZc1Og4R8plkaGnWiFEzg1aXkgQ21njp-alNHW-Lk)