আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
এসেছিলো রমাদান আমাদের মাঝে যেনো ঝিমিয়ে পড়া সব মুমিনের অন্তরকে আবার সঞ্জিবিত করে দিতে,জাগিয়ে দিতে, ঈমানকে আরো উদ্দিপ্ত উজ্জিবিত করে দিতে।
যেভাবে রমাদানকে বরন করতে আমরা সচেষ্ট ছিলাম,এখন আবার বিদায়ের মুহূর্তে আরো বেশী যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন যেনো, রমাদান আবার আমা্র মাঝে অতিথি হয়ে এসে প্রানবন্ত করে দিয়ে যায় প্রতিটি বেলার আমলগুলোকে।
বিদায়ের সময় যেনো স্মরন করিয়ে দিচ্ছে–
আমাদের জন্য মূল্যবান ও অতি প্রয়োজনীয় যা আমাদের নিত্যদিনের সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই কুর’আন রেখে গেলাম।
রমাদান আমাদের সংযম শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। দেহ মনের উপর লাগাম ধরে রেখো পরবর্তিতে আসার আগ পর্যন্ত।
রমাদান রাত জেগে মহান রবের সান্নিধ্যে যাওয়া শিখিয়ে অভ্যস্থ করে গিয়েছে।
গরীব দরিদ্রকে খাওয়াতে শিখিয়েছে। সহনশীলতা শিখিয়েছে।
পরিবারের পারস্পরিক বন্ধনকে আরো মজবুত করতে শিখিয়েছে। এক হয়ে জান্নাতের পানে ছুটার চর্চা শিখিয়েছে।
আত্মীয়দের ও প্রতিবেশীর মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নে খাবার বিতরন বাড়িয়েছে।
গুনাহকে ছেড়ে কিভাবে রবের স্মরনে নিজেকে ব্যস্থ রাখা যায় তার প্রশিক্ষন দিয়েছে।
গুনাহ মুছে ফেলে নতুন করে ঈমানে উজ্জীবিত হতে আশান্বিত করেছে।
সকল দুঃখ কষ্ট চাওয়া পাওয়াকে মহান প্রতিপালকের দরবারে পেশ করে প্রশান্তি দিয়েছে।
মনের পবিত্রতা, দেহের পবিত্রতা ও অর্থের পবিত্রতার সুযোগ এনে দিয়েছে।
জিহবা,চোখ, কান, মুখ, দেহ চামড়া(পর্দা),বুদ্ধি,সময় ও শক্তির সংযম ও যথোপযুক্ত ব্যবহারের প্রশিক্ষন দিয়েছে।
সহমর্মিতা শিখিয়েছে,সবরের শিক্ষা দিয়েছে।
জীবনের প্রতিটি কোনেই শিক্ষার পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে।
আমরা কি নিতে পেরেছি! বা পারছি! এখনো সময় আছে পারার জন্য সচেষ্ট হই।
মহান আল্লাহর নি’আমতের শুকরিয়া আদায় করা ও ক্ষমা পাওয়ার মাধ্যমেই যেনো নতুন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই জীবনকে রবের কাছে পূর্ণ সমর্পন করেই যেনো দুনিয়া ছেড়ে পরকালে পাড়ি দিতে পারি, রেখে যেতে পারি যেনো পরিবারে ও সমাজে সদাকায়ে জারিয়া।
নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আল্লাহরই নিকট ফিরে যেতে হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।