নবী রাসূলদের জীবনী-২ (হযরত আদম আ. কে সৃষ্টি)

আসসালামু’আলাইকুম।

মহান আল্লাহ তা’আলা কুর’আনে যে ঘটনা ও কাহিনী উল্লেখ করেছেন তা আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বলেই উল্লেখ করেছেন। যতটুকু আমাদের জানা প্রয়োজন ততটুকুই আমাদের জানিয়েছেন। হাদীস ও ইসলামের ইতিহাস থেকেও আমরা আরো কিছু জানতে পারি। সহিহ ভাবে নবী রাসূলদের জীবনী আমাদের জানা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আজ সমাজে দুনিয়াবী জ্ঞান ও আমলে দিক্ষীত বিভিন্ন  ব্যক্তি যাদের একদিক সুন্দর হলে অপরকোন একদিক প্রশ্নবিদ্ধ সেই সকল ব্যক্তিদের জীবনী জানার জন্য কত সময়, শ্রম মেধা ও অর্থ খরচ করে যাচ্ছেন -এর পিছনে কি কারন? সুখ শান্তি বা দুনিয়ার জীবনে চলার পথের গাইড লাইন পাওয়ার জন্য অনেক মানুষই এই সকল ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত জীবন যাত্রা থেকে নিয়ে চুলের ষ্টাইল পর্যন্ত রপ্ত করে ফেলছে কিন্তু এর কারন কি? অথবা এর ফলে কি কোন মানুষ সঠিক সুন্দর গাইড লাইন পেয়েছে? নিজেদের জীবনকে সঠিক পথে নিয়ে সাফল্য লাভ করতে পেরেছে?

আসলে আমরা মুসলিমরাই এর জন্য দায়ী কারন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের আমাদের মুসলিম জাতির আদর্শ বা পথ প্রদর্শক যাদের কথা মহান আল্লাহ কুর’আনে উল্লেখ করেছেন, যাদের যুগে যুগে এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন মানুষের গাইডার হিসেবে সেই মহান ব্যক্তি চরিত্রকে আমরাই বা কতটুকু জানি আর  কতটুকু সন্তানদের জানাতে পেরেছি? তাহলে মনের আকর্ষন ভালোবাসা কিভাবে এই মহান ব্যক্তিদের প্রতি আসবে? আর ভালোবাসা না আসলেতো অনুসরন করাও কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়।

মহান আল্লাহ আমাদের যেমন জীবন বিধান দিয়েছেন এবং তার বাস্তব চরিত্রের নমুনাও আমাদের সামনে বিভিন্ন নবী রাসূল দের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আর এই নমুনা মহান রবের পক্ষ থেকে গাইড লাইন পাওয়া মহান ব্যক্তি যার পুরো জীবনই ভারসাম্যপূর্ন। চলুনা আমরা ধারাবাহিকভাবে পরিবারের সকলকে নিয়ে এই সিরিস জানার চেষ্টা করি। প্রথমে একটু ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে শুরু করুন শুনার জন্য, আমার বিশ্বাস বাকী ঘটনা জানার জন্য আপনিই অস্থির হয়ে যাবেন কারন এতো সুন্দর সহিহ ও সাবলীল ভাষায় ঘটনাগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে এবং এরই সাথে আমাদের বর্তমান সময়ের করনীয়কে সম্পর্কিত করে পর্যালোচনা এসেছে যা অন্তরকে ছুঁয়ে যায়,মহান রবের দিকে আরো আকর্ষন অনুভূত হয় এবং রাসূলদের শিক্ষাকে অনুসরন করার, তাদের ভালোবাসার দাবীকে আমলে আনার ইচ্ছা জাগ্রত হয়। মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিড়ি পরিবারকে সত্য জানার ও মানার জন্য অন্তর দান করুন।