১৭।  আল-কুদ্দুস  القدوس ১৮। আস-সালামالسلام 

 

৫৯:২৩ ہُوَ اللّٰہُ الَّذِیۡ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ اَلۡمَلِکُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُہَیۡمِنُ الۡعَزِیۡزُ الۡجَبَّارُ الۡمُتَکَبِّرُ ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰہِ عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ

আল্লাহ-ই সেই মহান সত্তা যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই৷ তিনি বাদশাহ, অতীব পবিত্র, পূর্ণাঙ্গ শান্তি,নিরাপত্তাদানকারী, হিফাযতকারী,সবার ওপর বিজয়ী’ শক্তি বলে নিজের নির্দেশ কার্যকরী করতে সক্ষম ৷ এবং সবার চেয়ে বড় হয়েই বিরাজমান থাকতে সক্ষম৷ আল্লাহ সেই সব শিরক থেকে পবিত্র যা লোকেরা করে থাকে ৷ হাশরঃ২৩

১৭।  আল-কুদ্দুস  القدوس  অর্থঃ নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র

 

আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (ত্রুটিমুক্ত) অর্থাৎ সর্ব প্রকারের কমতি, দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টিকুলের সাদৃশ্য থেকে তিনি মহান, পুত:পবিত্র। তিনি যাবতীয় দোষমুক্ত, তাঁর পূর্ণতার সমকক্ষ হওয়ার সাদৃশ্য হওয়া থেকে তিনি পবিত্র।

﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
يُسَبِّحُ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ﴾

আসমানে যা আছে এবং যমীনে যা আছে তার সবই আল্লাহর তাসবীহ করছে৷ তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র এবং মহাপরাক্রমশালীল ও জ্ঞানময়৷ 

সূরা জুম’আঃ১

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞ

“তাঁর মতো কিছুই নেই।” সূরা আশ-শূরা: ১১

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন,

وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدُۢ٤

“আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।” [সূরা আল-ইখলাস: ৪]

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿هَلۡ تَعۡلَمُ لَهُۥ سَمِيّٗا٦٥﴾ [مريم: ٦٥]

“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম: ৬৫]

﴿فَلَا تَجۡعَلُواْ لِلَّهِ أَندَادٗا٢٢﴾ [البقرة: ٢٢]

“সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।” [সূরা আল-বাকারা: ২২]

অত:এব, কুদ্দূস সালামের মতোই, উভয় নামই সর্বদিক থেকে আল্লাহকে দোষ-ত্রুটিমুক্ত করে এবং সর্ব দিক থেকে সর্বময় পরিপূর্ণতা শামিল করে। কেননা যখন ত্রুটিমুক্ত হয় তখন তাতে পরিপূর্ণ পূর্ণতা সাব্যস্ত হয়।

তিনি মহাপবিত্র, মহান, সমস্ত দোষ-ত্রুটি মুক্ত, সৃষ্টির কারো সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে মুক্ত, দোষ-ত্রুটি ও পূর্ণতার পরিপন্থী যাবতীয় অপূর্ণতা থেকে তিনি মুক্ত। এ মূলনীতি তাঁকে পবিত্র রাখে এবং সর্বদিক বিবেচনায় যত প্রকারের অপূর্ণতা ও ত্রুটি রয়েছে তা থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মতো বা সাদৃশ বা অনুরূপ বা সমকক্ষ বা সমতুল্য বা অংশীদার বা প্রতিপক্ষ ইত্যাদি থেকে তিনি মুক্ত, পুত:পবিত্র। যা কিছু তাঁর মহান ও প্রশস্ত গুণাবলীর কোন একটি গুণকে অপূর্ণ করে বা ত্রুটিযুক্ত করে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত, পুত:পবিত্র।

তাঁকে পূর্ণ পুত:পবিত্র ও দোষ-ত্রুটি মুক্ত রাখার আরেকটি উপায় হলো তাঁর জন্য বড়ত্ব, অহংকার ও মহত্বের গুণ সাব্যস্ত করা। কেননা আল্লাহকে দোষ-ত্রুটি মুক্ত রাখার উদ্দেশ্য হলো যাবতীয় খারাপ ধারণা থেকে যেমনটি ধারণা করা হতো জাহেলী যুগে- তাঁকে মুক্ত রাখা। যেমন, বান্দা আল্লাহর গুণ সাব্যস্ত করে বলে, সুবহানাল্লাহ (আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি) অথবা, আল্লাহর পুত:পবিত্রতা বর্ণনা করছি অথবা আল্লাহ মহান ইত্যাদি বলে তখন এসব গুণাবলী তাঁকে যাবতীয় দোষ-ত্রুটি মুক্ত করে সব ধরণের পূর্ণতা সাব্যস্ত করে।আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৮১-৮২; তাওদীহুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২৭।

আল্লাহ তা’আলার পবিত্র সত্তা কোন প্রকার দোষ-ত্রুটি অথবা অপূর্ণতা কিংবা কোন মন্দ বৈশিষ্টের অনেক উর্ধ্বে ৷ বরং তা এক অতি পবিত্র সত্তা যার মন্দ হওয়ার ধারণাও করা যায় না ৷ এখানে একথাটি ভালভাবে উপলদ্ধি করতে হবে যে, চরম পবিত্রতা প্রকৃতপক্ষে সার্বভৌমত্বের প্রাথমিক অপরিহার্য বিষয়সমূহের অন্তরভূক্ত. যে সত্তা দুষ্ট, দুশ্চরিত্র এবং বদনিয়াত পোষণকারী , যার মধ্যে মানব চরিত্রের মন্দ বৈশিষ্টসমূহ বিদ্যমান এবং যার ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব লাভের অধিনস্তরা কল্যাণ লাভের প্রত্যাশী হওয়ার পরিবর্তে অকল্যানের ভয়ে ভীত হয়ে ওঠে এমন সত্তা সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হতে পারে এটা মানুষের স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধি ও স্বাভাব -প্রকৃতি মেনে নিতে অস্বীকার করে ৷ এ কারণে মানুষ যাকেই সার্বভৌম ক্ষমতার আধার বলে স্বীকৃতি দেয় তার মধ্যে পবিত্রতা না থাকলেও তা আছে বলে ধরে নেয় ৷ কারণ পবিত্রতা ছাড়া নিরংকুশ ক্ষমতা অকল্পনীয় ৷ কিন্তু এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, আল্লাহ ছাড়া কোন চূড়ান্ত ক্ষমতাধর ব্যক্তি পবিত্র নয় এবং তা হতেও পারে না ৷ ব্যক্তিগত বাদশাহী , গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক শাসনপদ্ধতি , অন্য কোন পদ্ধতির মানবীয় সরকার যাই হোক না কেন কোন অবস্থায়ই তার সম্পর্কে চরম পবিত্রতার ধারণা করা যেতে পারে না ৷

১৮। আস-সালামالسلام 

অর্থঃ নিরাপত্তা-দানকারী, শান্তি-দানকারী, ত্রাণকর্তা, দোষমুক্ত

 

আস-সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা),আস-সালাম (দোষমুক্ত)

কাউকে ‘সুস্থ’ও ‘নিরাপদ’না বলে ‘নিরাপত্তা’বললে আপনা থেকেই তার মধ্যে আধিক্য অর্থ সৃষ্টি হয়ে যায় ৷ যেমন কাউকে সুন্দর না বলে যদি সৌন্দর্য বলা হয় তাহলে তার অর্থ হবে সে আপাদমস্তক সৌন্দর্যমণ্ডিত ৷ সুতরাং আল্লাহ তা’আলাকে আস সালাম বলার অর্থ তার গোটা সত্তাই পুরোপুরি শান্তি ৷ কোন বিপদ, কোন দুর্বলতা কিংবা অপূর্ণতা স্পর্শ করা অথবা তাঁর পূর্ণতায় কোন সময় ভাটা পড়া থেকে তিনি অনেক উর্ধে ৷

নিশ্চয় আল্লাহ নিরাপত্তা বিধায়ক।

আল্লাহ একমাত্র শান্তিদাতা, শান্তি তাঁর পক্ষ থেকেই আসে। আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করার মধ্যেই বান্দার শান্তি নিহিত। তাঁর তাওফীক ছাড়া কারো মুক্তি মিলতে পারে না।

নিশ্চয় তিনি সকল দোষত্রুটি থেকে মুক্ত।

তিনি সর্ব প্রকার ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা থেকে মুক্ত। তিনিই সৃষ্টজীবকে যাবতীয় বিপদ ও ক্ষতি থেকে রক্ষাকারী।

নিশ্চয় তিনি নিরাপত্তা বিধায়ক।

তাঁর যাবতীয় গুণাবলী সৃষ্টজীবের সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে পবিত্র। সর্বপ্রকার অসম্পূর্ণতা অক্ষমতা থেকে নিরাপদ। তাঁর জ্ঞান পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ। তাঁর ন্যায়বিচার সর্বব্যাপী ও পূর্ণাঙ্গ। তাঁর মালিকানা পরিপূর্ণ ও নিরাপদ। তাঁর নির্দেশ ত্রুটিমুক্ত। তাঁর বিচার ত্রুটিহীন। তাঁর কর্ম নির্দোষ। শান্তিদাতা তিনিই। তাঁর থেকেই শান্তি আসে। তিনি সুউচ্চ; মহত্ব ও মহানুভবতার অধিকারী।

আল্লাহ পাক উভয় জগতেই আপন বান্দাদের জন্য শান্তি নির্ধারণ করেছেন।{ইব্রাহীমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।}[সূরা: আস-সাফফাত: ১০৯।]

{মূসা এবং হারুনের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক}[সূরা: আস-সাফফাত: ১২০।]

{প্রেরিত রাসূলদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক}[সূরা: আস-সাফফাত: ১৮১]

অপর এক আয়াতে আল্লাহ বলেন:

(বলা হবে:) এগুলোতে (জান্নাতে) নিরাপত্তা ও শান্তি সহকারে প্রবেশ কর।[সূরা: আলহিজ্‌র: ৪৬]

নিরাপত্তাদাতা।

অর্থাৎ তিনি এমন পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দান করবেন-যারপর কোন ভয় থাকবে না এবং এমন ব্যাপক ক্ষমা করবেন, যার পরে কোন শঙ্কা থাকবে না।

তিনিই শান্তিময়। তাঁর কাছ থেকেই শান্তি আসে।

নিশ্চয়ই আল্লাহ শান্তিময়।

Collected ——

Allah calls Himself Al-Quddoos— The Most Pure, The All-Perfect— on two occasions in the Quran. He is the One who is the absolutely pure in essence and attributes. Al-Quddoos is free from and far above any worldly imperfection, and He is beyond all human understanding of purity and perfection!

The Most Pure, the All-Perfect

Quddoos comes from the root qaaf-daal-seen, which points to three main meanings. The first main meaning is to be pure and clean. The second is to be far removed from impurity or imperfection, and the third main meaning is to be sacred or blessed.

This root appears ten times in the Quran in five derived forms. Examples of these forms are al-qudusi (“the Holy [spirit]”) and al-muqadasi (“the sacred”).

Linguistically, quddoos is on the intense structure of the attribute of quds, which refers to cleanliness or tahaarah and comes from the verb qadasa. Al-Quddoos is ‘clean’ or free from any partner, spouse, or child, from death, from injustice, lying, forgetfulness, error, poverty, and stinginess. Laa ilaaha illa huwa– there is no God but He.

Al-Quddoos Himself says: He is Allah , other than whom there is no deity, the Sovereign, the Pure . . . [Quran, 59:23] Whatever is in the heavens and whatever is on the earth is exalting Allah, the Sovereign, the Pure, the Exalted in Might, the Wise. [Quran, 62:1]

Subhanallah and alhamdulillah

They said, ‘Will You place upon it one who causes corruption therein and sheds blood, while we declare Your praise and sanctify You?’ [Quran, 2:30]. The angels glorify and praise Allah al-Quddoos continuously and so does the whole universe. Al-Quddoos created us human beings to worship, glorify, and praise Him as He gave us something different: our hearts.
Using the human heart to reflect on His creations, His perfection and greatness, it realizes that glorification and praise of the Creator is inevitable. So we praise and thank Al-Quddoos (alhamdulillah) and glorify Him (subhanAllah) as He is high above anything that does not befit Him. Isn’t it a blessing to have such a perfect lord, and aren’t we blessed to be able to praise Him?

How can you live by this name?

1.Have a pure belief in Al-Quddoos.
Believe in the oneness of Al-Quddoos and make sure your creed (or aqeedah) is pure by studying the types of tawheed and their practical meanings in your daily life from trustworthy sources, like Kitaab ut -Tawheed (The Book of Tawheed) by ibn Abd Al-Wahhab.

2. Praise Al-Quddoos.
Say alhamdulilah and subhanAllah from the bottom of your heart. The Prophet salallahu ‘alayhi wa sallam used to say in his prayer while in the bowing position (ruku): subboohun quddoosun Rabbul-malaa’ikati war-rooh (praise and Holiness be to You, Lord of the angels and the Soul). [Muslim] You can add this beautiful invocation to enhance your prayer.

3. Purify yourself through prayer.
The Prophet salallahu ‘alayhi wa sallam asked the companions: If someone bathes in a river outside of his house five times a day, will there be any impurity left on him? [Muslim] Visualize your prayer as cleansing your body and soul. Your prayer also protects you: indeed the prayer prevents from the indecency and evil. [Quran, 29:45]

4. Give the best sadaqah.
Give zakah (obligatory) and sadaqah (charity) to “purify” and increase your wealth. Take, [O, Muhammad], from their wealth a charity by which you purify them and cause them increase. [Quran 9:103] Remind yourself when you give sadaqah to give the best, as Allah is Al-Quddoos and He deserves the best to be given for His sake. Aishah radiyalahu anha used to perfume the charity she gave!

5. Don’t be unjust.
Allah does not wrong a person even to the amount of an atom’s weight [Quran 4:40]. Even if people do dhulm (injustice) to Him, Al-Quddoos never does injustice to people. Allah ‘azza wa jall also made injustice and oppression forbidden for you; so don’t be unjust to anyone, family or stranger, child, adult or even to animals.

6. Be clean.
Be clean inside and out and strive to purify and keep renewing your intentions when you do a good deed. Be thoughtful with your wudu; do your best to not only keep your belongings and house clean, but also your environment by not throwing litter and by removing harmful objects. Consume healthy and permissable food and drink— bought with halaal earnings— and teach children this way of living.

7. Let the Quran purify you.
And who is more truthful than Allah in speech? [Quran, 4:122] The speech of Al-Quddoos is pure and is a cure, healing, and guidance for you to purify yourself. So turn to the Quran to seek cure from the diseases of your heart, let the ayaat help you to improve your character, and recite the Quran daily to clean your heart and bring tranquillity to your body.

8. Ask Al-Quddoos.
The Prophet salallahu’ alayhi wa sallam used to ask Al-Quddoos at the beginning of prayer:
اللهم باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب اللهم نقني من خطاياي كما ينقى الثوب الأبيض من الدنس اللهم اغسلني من خطاياي بالثلج والماء والب
O Allah, distance me from my sins just as You have distanced The East from The West, O Allah, purify me of my sins as a white robe is purified of filth, O Allah, cleanse me of my sins with snow, water, and ice. [Al-Bukharee, Muslim] Use and reflect on this supplication as it contains all forms of purification: distancing (moving far away from dirt and deficiencies), removing dirt or filth, and washing or cleansing, so no impurity remains at the end.

O Allah, Al-Quddoos, we know that You are the absolutely pure beyond imagination. Lead us to a sound belief in Your oneness, help us in purifying our hearts, deeds, and intentions, and guide us to purify our bodies and keep our environment clean. Aid us in performing the best salah, giving the best charity, and helping us to turn to the Quran so we can come to You with a pure heart, ameen!

And Allah knows best.

Allah calls Himself As-Salaam— The Giver and Source of Peace, The Perfection — on one occasion in the Quran. He is the One who is the source of all peace and safety. As-Salaam is perfect and whole and He is the only one who can bestow safety and security as well as inner peace!

The Bestower of Peace, the Perfection

Salaam comes from the root seen-laam-meem, which points to three main meanings. The first main meaning is to be peaceful, content, and tranquil. The second is to be free from imperfections, and the third main meaning is to be safe, secure, and well.

This root appears 140 times in the Quran in 16 derived forms. Examples of these forms are aslama (“submits”) , salaamun (“peace”), saleemin (“sound”), al-islaami (“Islam”) and al-muslimeen (“the Muslims”).

Linguistically, salaam and salaamah mean immunity or to be free of something; another opinion is it means wellbeing and to be safe. Allah As-Salaam is the One who is free from all imperfections. He is perfect in essence and in all His attributes and actions. He is the Perfection. As-Salaam is safe from all deficiencies and His creation is safe from any injustice on His Part.

As-Salaam Himself says: He is Allah, other than whom there is no deity, the Sovereign, the Pure, The Perfection. [Quran, 59:23].

Examples of salaam

The root salama makes Islam, to enter into salam. Islam means to enter into peace and to be at peace with or reconciled with the decrees and commands of Allah; the Muslim surrenders or submits to Allah ‘azza wajal.

Paradise is called Daar us Salaam: And Allah invites to the Home of Peace and guides whom He wills to a straight path [Quran, 10:25] because it is free from all pain, death, worries, and ill-speech, and it is a place of safety.
The greeting of Islam assalaamu alaykum really means: you are safe from me; you will not receive any evil from me. And for example, qalbun saleem, means a sound heart which is unblemished.

How can you live by this name?

1. Submit.
Surrender to As-Salaam so you can be secure. If you submit– Islam— you will get Allah’s salaam. Believing is to follow the guidance and do the actions (deeds). For them therein is fruit, and for them is whatever they request [or wish] [And] “Peace,” a word from a Merciful Lord. [Quran, 36:57-58] Continually remind yourself of Daar us Salaam so you will strive to do as many good deeds as possible in order to receive the salaam of Allah and be safe and secure in Paradise.

2. Strive for a clean heart.
The Prophet salallahu ‘alayhi wa sallam said: Verily, Allah does not look to your faces and your wealth but He looks to your hearts and to your deeds. [Muslim] Just like you are alert for physical diseases, constantly assess your heart for diseases like lying, backbiting, swearing, hypocrisy, jealousy, showing off, etcetera, and seek cure for them in the Quran and Sunnah as all that matters is that you arrive to al-Quddus with ‘qalbun saleem’— a sound heart.

3. Be patient in trials.
No disaster strikes except by permission of Allah. And whoever believes in Allah- He will guide his heart.[Quran, 64:11] Show patience and perseverance in hard times and As-Salaam will give you peace inside: your heart will have salaam, a feeling of well being, serenity, and peace.

4. Spread the salaam.
The Prophet salallahu ‘alayhi wa sallam said: O People! Spread salaam, feed the hungry, be in touch with your kin, and pray while people are asleep (at night) you shall enter paradise peacefully. [At-Tirmidhee] And he salallahu ‘alayhi wa sallam said about the best actions: Feeding the hungry, and saying salaam to those you know and those you don’t know. [Al-Bukhaari, Muslim] And he said: When two Muslims meet (give salaam) and shake hands, they are forgiven their sins before they part [Abu Dawood]: the salaam is a pure blessing to us from Allah As-Salaam.

5. Don’t say salaam upon Allah.
Say salaam upon the Prophet Muhammad – for example by saying salallahu ‘alayhi wa sallam- and upon the Prophets and the righteous – by saying ‘alayhi, ‘alayha or ‘alayhim sallam – as Allah ‘azza wa jall does in the Quran, but never say salaam upon Allah, because He is As-Salaam! He does not need security and safety, because He is the source of peace and perfection.

6. Ask As-Salaam.
When you are very worried, supplicate to Allah ‘azza wajal by this name. You can say, Allahumma antas Salaam (O Allah, You are As-Salaam), save me from this or ask for the safety of others. Ask As-Salaam to make Islam your safe harbour and to bring peace to your heart.

7. Don’t wrong yourself.
If you want the salaam, the security, and the protection of As-Salaam don’t wrong yourself, don’t wrong others, and don’t do wrong in your relationship with Allah ‘azza wajal. Allah is As-Salaam, which means He cannot be unjust. You wrong yourself by sinning and not fulfilling the rights of others, such as obedience to parents, protecting someone else’s honour, and helping the needy.

8. Supplicate after prayer.
When you finish your salah, supplicate as the Prophet salallahu ‘alayhi wa sallam did with:
Astaghfirullah (3 times). Allahumma antas salaam wa minkas salaam, tabaarakta yaa Dhal Jalaali wal Ikraam. I seek Allah’s Forgiveness. O Allah, You are As-Salaam and from You is all peace. Blessed are You, O Possessor of majesty and honour [Muslim]. Straight after your prayer you amazingly ask protection and safety from the mistakes committed during the salah.

O Allah, As-Salaam, we know that all peace and safety comes from You alone. Keep us safe in this world and the next, guide us to patience and inner peace, and make us of those from whom others are safe and make us safe from the injustice of others. Adorn us with sound hearts and make us of those who receive Your salaam in Paradise, ameen!

And Allah knows best.

The Understand Quran Academy Team

(cltd)