ইসমে আযম বা আল্লাহর সর্বপ্রধান নাম

ইসম অর্থ নাম হুসনা অর্থ ভালো, আসমাউল হুসনা অর্থ সুন্দরতম নাম সমূহ।

আসমাউল হুসনার অগ্রবর্তী নামই আল্লাহর সর্বাধিক মহান নাম (ইসমে আ’যম)। ইসমে আ’যম (সর্বশ্রেষ্ঠ নাম) হলো ইসমে জিনস (সমষ্টিগত নাম)। ইসমুল্লাহিল আ’যাম’ অর্থ আল্লাহর সর্বপ্রধান এবং সবচেয়ে মহীয়ান নাম।

আল্লাহ বলেন ,

وَلِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا وَذَرُوا الَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِي أَسْمَائِهِ سَيُجْزَوْنَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

`আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে।’সূরা আরাফঃ১৮০

 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন – “আল্লাহর একটি মহীয়ান নাম রয়েছে, যখন এই নাম ধরে আল্লাহর নিকট কোনো কিছু প্রার্থনা করা হয় আল্লাহ সেই দু’আর জবাব দান করেন।” কিন্তু তিনি আমাদের বলেন নি সেই নামটি কী।

এই বিষয়ে আমাদের আলেমদের দশটির অধিক অভিমত পাওয়া যায়। সবচেয়ে পরিচিত দুইটি অভিমত হলো – ‘ইসমুল্লাহিল আ’জাম’ হলো আল্লাহর দুইটি নামের সমন্বয় “আল-হাইয়ু, আল-কাইয়ুম।”

আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন – “আল্লাহর একটি মহীয়ান নাম রয়েছে, যখন এই নাম ধরে আল্লাহর নিকট কোনো কিছু প্রার্থনা করা হয় আল্লাহ সেই দু’আর জবাব দান করেন।” কিন্তু তিনি আমাদের বলেন নি সেই নামটি কী।

এই বিষয়ে আমাদের আলেমদের দশটির অধিক অভিমত পাওয়া যায়। সবচেয়ে পরিচিত দুইটি অভিমত হলো – ‘ইসমুল্লাহিল আ’জাম’ হলো আল্লাহর দুইটি নামের সমন্বয় “আল-হাইয়ু, আল-কাইয়ুম।” আরেকটি জনপ্রিয় অভিমত হলো – “আল্লাহ” নামটি নিজেই ‘ইসমুল্লাহিল আ’জাম’। উভয় মতের পক্ষেই জোরালো যুক্তি এবং প্রমান রয়েছে।

কুরআনে বর্ণিত সকল দু’আয় আল্লাহ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রধানতম জিকির রয়েছে যাদেরকে কেন্দ্র করে অন্য জিকিরগুলো করা হয়ে থাকে। আর সে চারটি জিকির হলো – সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার। এই চারটি জিকির হলো মৌলিক জিকির।

সবগুলো জিকিরে নাম রয়েছে আল্লাহ। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার।

কুরআনে বর্ণিত সকল দু’আয় আল্লাহ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রধানতম জিকির রয়েছে যাদেরকে কেন্দ্র করে অন্য জিকিরগুলো করা হয়ে থাকে। আর সে চারটি জিকির হলো – সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার। এই চারটি জিকির হলো মৌলিক জিকির।

সবগুলো জিকিরে নাম রয়েছে আল্লাহ। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার।

وَعَن بُرَيْدَةَ: أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ سَمِعَ رَجُلًا يَقُولُ: اللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللّٰهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِىْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَه كُفُوًا أَحَدٌ فَقَالَ: دَعَا اللّٰهَ بِاسْمِهِ الْأَعْظَمِ الَّذِىْ إِذَا سُئِلَ بِه أَعْطٰى وَإِذَا دُعِىَ بِه أَجَابَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ

বুরায়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এবং জানি যে, তুমিই আল্লাহ। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন মা‘বূদ নেই। তুমি এক ও অনন্য। তুমি অমুখাপেক্ষী ও স্বনির্ভর। যিনি কাউকে জন্মও দেননি। কারো থেকে জন্মও নন। যার কোন সমকক্ষ নেই।’ তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলাকে তার ইস্‌মে আ’যম বা সর্বাধিক বড় ও সম্মানিত নামে ডাকল। এ নামে ডেকে তাঁর কাছে কেউ কিছু প্রার্থনা করলে, তিনি তাকে তা দান করেন এবং কেউ ডাকলে তিনি তার ডাকে সাড়া দেন। সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৯৩, তিরমিযী ৩৪৭৫,

ই হাদীস থেকে জানা যায়, ইসমে আযম—–

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّي أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ 

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ূলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থঃ“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই। কেননা যে, নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই; আপনি একক সত্তা,অমুখাপেক্ষী—সকল কিছু আপনার মুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেন নি এবং জন্ম নেনও নি। আর যাঁর সমকক্ষ কেউ নেই”।

অন্য হাদীসে এসেছে, এক ব্যক্তি দু’আয় বলল,

«اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، إِنِّي أَسْأَلُكَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: «تَدْرُونَ بِمَا دَعَا؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَقَدْ دَعَا اللَّهَ بِاسْمِهِ الْعَظِيمِ، الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ، وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى».

“হে আল্লাহ নিশ্চয় আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, নিশ্চয় সমস্ত প্রশংসা আপনার, আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আপনি দানশীল, আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকারী। হে মর্যাদা ও ঔদার্য প্রদানকারী, হে চিরঞ্জীব ও সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক, আমি আপনার নামের উসিলায় আপনার কাছে প্রার্থনা করছি। তখন নবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা কি জান সে কিসের দ্বারা দো‘আ করল? তারা বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, সে আল্লাহর ঐ ইসমে আযম দ্বারা দু’আ করেছে যা দ্বারা কেউ দু’আ করলে তিনি তা কবুল করেন, আর যা দ্বারা কিছু চাওয়া হলে তিনি তা দান করেন।”নাসায়ীঃ ১৩০০; তিরমিযীঃ ৩৫৪৪; আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।

وَعَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ: اسْمُ اللّٰهِ الْأَعْظَمُ فِىْ هَاتَيْنِ الْاٰيَتَيْنِ: ﴿وَإِلٰهُكُمْ إِلٰهٌ وَّاحِدٌ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ﴾

وفاتحة ﴿اٰلِ عِمْرَانَ﴾ : ﴿الٓمْ اَللهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ﴾ رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ

আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর ইস্‌মে আযম এই দু’আয়াতের মধ্যে রয়েছে,

وَإِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ لَّا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ

ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হূ ওয়া-হিদ, লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়ার রহমা-নুর রহীম। (বাকারা: ১৬৩) এছাড়াও সূরা আলে‘ইমরান-এর শুরুতে

الم اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ

আলিফ লা-ম মী-ম আল্লাহু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম(আলে ইমরানঃ১-২)।

আবূ দাঊদ ১৪৯৬, তিরমিযী ৩৪৭৮,সহীহ আত্ তারগীব ১৬৪২, সহীহ আল জামি’ ৯৮০।