ছবি ব্লগ (জুমআ বারের আসর)-৯

জুমআর দিনের নিষিদ্ধ কার্যাদি:-২

৪. জুমুআর সালাতের পূর্বে মসজিদে দলবদ্ধ হয়ে বসা।
“রাসূলুল্লাহ সা জুমআর সালাতের পূর্বে মসজিদে দলবদ্ধ হয়ে বসতে নিষেধ করেছেন।” সুনান আবু দাঊদঃ ১০৭৯

৫. খুৎবা অবস্থায় বৃষ্টির জন্য দু’আ ব্যতীত অন্য কোনো দু’আতে হাত না উঠানো (ইমাম হোক বা মুক্তাদি হোক)।
নবী সা থেকে সাব্যস্ত আছে যে: তিনি যখন জুমআর খুৎবাতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন, তখন তিনি তাঁর দুহাত উঠান এবং সাহাবায়ে কেরামগণও তাঁদের দুহাত উঠান। সহীহ বুখারী

হাদীসের আলোকে আমাদের সকলেরই জানা থাকা প্রয়োজন যে,জুমআর সালাতের পূর্বে মসজিদে যেয়ে দলবদ্ধ হয়ে বসে গল্প গুজব করা যাবে না বরং এই সময় দুআ দরুদ পড়ায় মশগুল থাকা প্রয়োজন। অনেক যুবকেরা এই সময়টিকেই অপ্রয়োজনীয় গল্পে কাটিয়ে দেয় যা পরবর্তীতে খুতবা শুনতে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে।

আরেকটি শিক্ষা পাওয়া যায়, খুতবার সময় দু’আর আলোচনা যখন ইমাম সাহেব দিয়ে থাকে তখনো হাত না উঠিয়ে শুধুমাত্র দু’আর সাথে মন দিয়ে আমীন বলা মনে মনে।

শুধুমাত্র জুমআর খুৎবাতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করলে সকলে একসাথে হাত তুলে দু’আ করবেন। এছাড়া জাতির কঠিন বিপদে দু’আ কুনূত পড়লে সেক্ষেত্রেও একসাথে হাত তুলে দু’আ করতে পারেন। এছাড়া বাকী সময়ে একসাথে অনেকে প্রার্থনা করার সময় হাত না তুলে শুধু আমীন বলাটাই স্কলার্সদের অভিমত।

আরেকটি বিষয় তা হলো যখন কেউ একাকী দু’আ করবেন তখন হাত তুলে দু’আ করার অনুমতির কথা সহিহ হাদীসে জানা যায়, আরাফায় ও মুযদালিফাতেও একাকী হাত তুলে দু’আ করার কথা এসেছে। তবে দু’আ করার পর মুখমন্ডলে হাত মুছার কথা হাদীস থেকে জানা যায়নি। মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক আমল করার তাওফিক দান করুন।

৬. জুমুআর দিনকে বিশেষ কোনো সালাত ও সাওমের জন্য নির্দিষ্ট করা।
রাসূলুল্লাহ সা বলেন: ‘‘অন্যান্য দিনসমূহের মধ্যে জুমআর দিনকে বিশেষ কোনো সাওমের জন্য এবং জুমআর রাতকে বিশেষ কোনো সালাতের জন্য নির্দিষ্ট করো না। তবে যদি তোমাদের কারো কোনো (নফল) সাওমের দিন সেই দিনেই পড়ে যায় (তাহলে তাতে কোনো আপত্তি নেই)।”
রাসূলুল্লাহ সা আরো বলেন: ‘‘তোমাদের কেউ জুমআর দিনে রোযা রেখো না। তবে তার আগের একদিন অথবা পরের একদিন সহ রাখতে পার। ”সহীহ বুখারী

আমাদের সমাজে অনেকেই জেনে বা না জেনে শুক্রবার দিন বা পূর্ব রাতকেই নির্দিষ্ট করে নেন বিশেষ ইবাদাতের জন্য। অনেকে আবার শুক্রবারকেই কবর যিয়ারতের জন্য নির্দিষ্ট করে নেন বিশেষ ফযিলতের জন্য। এইভাবে সহিহ কোন হাদীসে নির্দিষ্ট করার কথা আসেনি।

অথচ হাদীসের শিক্ষা হলো এই দিনকে এই সকল ইবাদাতের জন্য রাসূল স. বিশেষায়িত করেন নি। জুম’আতে যে ইবাদাত সমূহের কথা এসেছে তা আমরা পূর্বে জেনেছি।

তবে কোন কারনে যেমন ছুটির দিন সুযোগ আছে তাই ইবাদাতগুলো করা যায় এই হিসেবে কেউ করতে পারেন। তবে শুক্রবার সাওমের ব্যপারে বলা হয়েছে যে আগের দিন বা পরের দিন সহ রাখতে।

https://islamqa.info/en/12322