জুমআ বারে করনীয়
মহানবি (সাঃ) বলেন, “প্রত্যেক সাবালক পুরুষের জন্য জুমআয় উপস্থিত হওয়া ওয়াজেব।” (নাসাঈ, সুনান ১৩৭১নং)
জুমআর সালাত ত্যাগ করা কবীরা গুনাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত:
রাসূলুল্লাহ সা. জুমআ ত্যাগের ব্যাপারে ভীষণ সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘যে সকল লোক জুমুআ ত্যাগ করে তারা যেন অবশ্যই তা থেকে ফিরে আসে, নচেৎ আল্লাহ তাআলা তাদের হৃদয়ের ওপর মোহর মেরে দিবেন অতঃপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” সহীহ মুসলিম
রাসূলুল্লাহ সা. আরো বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমআ ত্যাগ করবে আল্লাহ তার হৃদয়ের ওপর মোহর মেরে দিবেন।” সুনান তিরমিযী ও নাসাঈ
রাসূলুল্লাহ সা বলেন, ‘‘আমার ইচ্ছা হয়, কোনো ব্যক্তিকে লোকদের ইমামতি করার আদেশ দেই, অতঃপর যে সকল লোক জুমআর সালাতে আসে নি তাদের ঘর-বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়ে সেগুলোকে জ্বালিয়ে দেই।”
সহীহ মুসলিম
আমাদের সমাজে দেখা যায় সাধারনত শুক্রবার ছুটির দিন বলে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয় বিশেষ করে পুরুষ ব্যক্তিটি এবং নবযুগের যুবকেরা। জুম’আ বারের এই বরকতপূর্ণ লোভনীয় বোনাস পাওয়ার ইচ্ছা জাগ্রত করতে পারলে এই সমস্যা দূরীভূত হবে ইন শা আল্লাহ। তাই পিতা মাতা বা ঘরের স্ত্রী বা কন্যা যিনিই এই জুম’আ বারের প্রয়োজনীয়তা বুঝে থাকেন, তিনিই মহান আল্লাহর সাহায্যে পরিবারের অন্য সদস্যদের হিকমাত দিয়ে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারেন সেই ইচ্ছাকে জাগ্রত করতে।
মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিটি পরিবারকে মসজিদগামী হওয়ার তাওফিক দান করুন।