ছবি ব্লগ (জুমআ বারের আসর)-৩

 

জুম’আ বারে করনীয়

%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%97-%e0%a7%a9

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি জুম’আর দিন ভালো করে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে (খুৎবা) শ্রবণ করবে ও চুপ থাকবে তার জুম’আর সালাতে আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের সালাত ও সাওম পালনের ছওয়াব হবে।  সুনান তিরমিযী ও নাসাঈ

এই হাদীসের আলোকে যা শিক্ষা—

প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের সালত ও সাওমের সওয়াব পেতে হলে শর্ত সমূহ হলো-

  • ভালো করে গোসল করা
  • সময়ের পূর্বেই মসজিদে চলে যাওয়া যেন ইমামের নিকটবর্তী বসা যায়।
  • চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শ্রবন করা।

এই ক্ষেত্রে বুঝা প্রয়োজন যে, প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের সালাত ও সাওমের সওয়াব পাওয়া যাবে যদি শর্তসমূহ পূরন করা হয়, তাহলে যে যত পদক্ষেপে মসজিদে আসবে তার তত সওয়াব বেশী হবে, আর তাই রাসূল স.একদল সাহাবাকে বাড়ী স্থানান্তর করে মসজিদে নববীর একদম কাছে আসতে মানা করেছিলেন যেন সওয়াব বেশী পান সেই সাহাবারা।

আবার খুতবা শুরু হয়ে যাওয়ার পর কোনভাবেই কথা বলা যাবে না এমনকি অন্যকে চুপ করেন এই কথাটিও বলা যাবে না, যদি কথা বলে ফেলেন তাহলে এই সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথ খুলে দেয়া হলো।

তাই আমরা নারীরা যাদের যাওয়ার সুযোগ আছে মসজিদে, পুর্বেই পরিকল্পনা করে কাজ গুছিয়ে নেই যেন সময় মতো পরিবারের পুরুষ সদস্যের সাথে যাওয়া যায়, সুযোগ না থাকলে পুরুষ সদস্যদের সকল কাজ গুছিয়ে আগে মসজিদে যাওয়ার জন্য তাগাদা ও সুযোগ করে দেই। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে এই সওয়াব তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পাওয়ার সুযোগ করে দিন।