আসসালামুআলাইকুম
ইসলাম সকল সময়ই সহজ পথ বাতলে দিয়ে থাকে। সাধ্যের বাইরে বোঝা মহান আল্লাহ দেন না। মহান আল্লাহ আমাদের যাচাই করে থাকেন, আমরা কে, কি অবস্থায় কি করি এবং কি করা প্রয়োজন ছিলো, কতটুকু করা সম্ভব ছিলো। মহান রবের কাছে সকলকেই ফিরে যেতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে মানুষের হক, আল্লাহর হক সম্পর্কে। মহান আল্লাহ নিজের হক ক্ষমা করে দিতে পারেন, রবের ইচ্ছা হলে, কিন্তু মানুষের হক সেই মানুষ ক্ষমা না করলে, ব্যক্তি আটকে যেতে পারে। মূল ব্যপার হলো যার যার আমল নিয়েই রবের সামনে দাড়াতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিন।
জাবর বিন আতীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে আসেন। জাবর (রাঃ) -এর পরিবারের কেউ বললো, আমরা আশা করতাম যে, সে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে মৃত্যু বরণ করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তাহলে আমার উম্মাতের শহীদের সংখ্যা তো খুব কম হয়ে যাবে। আল্লাহর পথে নিহত হলে শহীদ, মহামারীতে নিহত হলে শহীদ, যে মহিলা গর্ভাবস্থায় মারা যায় সে শহীদ এবং পানিতে ডুবে, আগুনে পুড়ে ও ক্ষয়রোগে মৃত্যুবরণকারী শহীদ। [২৮০৩] তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।[২৮০৩] নাসায়ী ১৮৪৬, ৩১৯৪, আবূ দাউদ ৩১১১,
আল-কা’নাবী (রহঃ) ….. জাবির ইবন আতীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ্ ইবন ছাবিত (রাঃ)-এর রোগের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য আসেন। এ সময় তিনি তাঁকে বেহুশ অবস্থায় পান। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে জোরে ডাকেন, কিন্তু তিনি কোন জওয়াব দেননি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিঊন’ পাঠ করেন এবং বলেনঃ হে আবূ রাবী! আমি তোমার ব্যপারে পরাস্ত হয়েছি। এ কথা শুনে মহিলারা চীৎকার দিয়ে কাঁদা শুরু করে। তখন ইবন আতীক (রাঃ) তাদের শান্ত হতে বলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাদের ছেড়ে দাও, (অর্থাৎ কাঁদতে দাও)। অবশ্য যখন ওয়াজিব হবে, তখন যেন কোন ক্রন্দনকারী আর না কাঁদে। তখন তারা জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওয়াজিব হওয়ার অর্থ কি? তিনি বলেনঃ মৃত্যু।
(রাবী বলেনঃ) তখন আবদুল্লাহ্ ইবন ছাবিত (রাঃ)-এর কন্যা বললঃ আল্লাহ্র শপথ! আমার তো এরূপ ধারণা ছিল যে, তুমি শহীদ হবে। কেননা, তুমি যুদ্ধের জন্য যাবতীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করছিলে। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ্ তাকে তার নিয়্যতের ছাওয়াব প্রদান করবেন। তোমরা শাহাদত বলতে কি মনে কর? তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র রাস্তায় কতল হয়ে যাওয়াকে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্র রাস্তায় শহীদ হওয়া ছাড়াও আরো সাত ধরনের শহীদ আছে যথাঃ
(১) মহামরীতে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(২) পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(৩) পক্ষাঘাতে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(৪) পেটের রোগের কারণে (কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদিতে) মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ;
(৬) কোন কিছুর নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু বরণকারীও শহীদ এবং
(৭) যে মহিলা গর্ভাবস্থায় মারা যাবে, সেও শহীদ। সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)হাদিস নম্বরঃ৩০৯৭
বর্তমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যিনি মারা যাচ্ছেন, তার কাফন জানাযা দাফন ব্যবস্থা ফরযে কিফায়া । যেভাবে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে,ঠিক সেইভাবেই নিরাপদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই কাফন, জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যদি একান্তই সেটা সম্ভব না হয় তাহলে গ্লোভস পড়ে একব্যক্তি তায়াম্মুম করে দিবেন, আর সেটাও যদি কোনভাবে সম্ভব না হয় তাহলে কোন কিছু না করেও দাফন করা যেতে পারে ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ সব জানেন ও দেখেন। আল্লাহ ভালো জানেন।
চলুন নিচের উত্তর শুনে নেই।
মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিত ব্যক্তিদের করনীয়-২(গোসল করার পদ্ধতি)
করোনায় মৃত্যুবরণকারীর গোসল, কাফন ও জানাযার বিধানhttps://youtu.be/ocLI9DOkcjE
Posted by Ahmadullah on Friday, March 20, 2020