হজ্জে গমনেচ্ছুদের জন্য কি যিলহজ্জের রোজা রাখা যায়?

 

আলহামদুলিল্লাহ।

যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখা হজ্জপালনকারী ও হজ্জপালনকারী নয় সকলের জন্য মুস্তাহাব। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “অন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে এ দশদিনের নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তারা (সাহাবীরা) বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়!! তিনি বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়; তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোন কিছু নিয়ে ফেরত না আসে সেটা ভিন্ন কথা।”[সহিহ বুখারী (৯৬৯) ও সুনানে তিরমিযি (৭৫৭) তে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত হাদিস হিসেবে সংকলিত। হাদিসের এ ভাষাটি তিরমিযির]

‘আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা’ গ্রন্থে (২৮/৯১) এসেছে- আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, আরাফার দিনের পূর্বে যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখা মুস্তাহাব…। মালেকি ও শাফেয়ি মাযহাবের আলেমগণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন: হজ্জপালনকারীর জন্যেও এ দিনগুলোতে রোযা থাকা সুন্নত।[সমাপ্ত]

‘নিহায়াতুল মুহতাজ’ গ্রন্থে (৩/২০৭) বলেন: আরাফার দিনের পূর্বে আটদিন রোযা রাখা সুন্নত। ‘আর-রাওযা’ গ্রন্থে পরিস্কার করে দেয়া হয়েছে যে, এক্ষেত্রে হজ্জপালনকারী ও অন্যেরা সমান। পক্ষান্তরে, হজ্জপালনকারী সবল হলেও আরাফার দিন রোযা রাখা তার জন্য সুন্নত নয়; বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণে এবং দুআ করার জন্য যেন শক্তিশালী থাকার নিমিত্তে রোযা না-রাখা মুস্তাহাব।[কিছুটা পরিমার্জিত ও সমাপ্ত]

আল্লাহই ভাল জানেন

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

 যারা হজ্জ উপলক্ষ্যে আরাফার ময়দানে হাজ্জী হিসেবে উপস্থিত আছেন তাদের জন্য সওম রাখার কথা আসে নি।

যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ হলো আরাফার দিন।

ইমাম আহমদ ইকরামা থেকে বর্ণিত। আমি আবু হুরাইরা রা. এর সাথে তার বাড়িতে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করি, আরাফার দিনে (৯ই যিলহজ্জ) আরাফার ময়দানে অবস্থানরত(হাজ্জ পালনে রত) ব্যক্তির সাওম পালনের বিধান কী? তিনি বলেন,রাসূল স.আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে অবস্থানকারীকে সওম পালনে নিষেধ করেছেন।মুসনাদে আহমাদ: ২০৪/২

রাসূলে করীম স. আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালে পানাহার করেছেন। তার সাথে অবস্থানরত লোকজন তা দেখেছে। সহিহ মুসলিম: ১১২৩, ১১২৪