ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী মিলন মেলাঃ ২০২৩

 

Power point Presentation

ঈদ পরবর্তী মিলন মেলাঃ২০২৩.pptx eid ul Fitr.pptx 1

ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী মিলন মেলাঃ ২০২৩

«الْحَمْدُ لِلَّهِ «سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ».

আলহামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজীম

 

মুমিনরাই হবেন মুমিনদের প্রকৃত বন্ধু।

“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তাদের জন্য আমার মহব্বত (ভালোবাসা) নিশ্চিত হয়ে যায়, যারা আমার জন্যই একে অপরকে ভালোবাসে; আবার তাদের জন্যও আমার মহব্বত নিশ্চিত হয়ে যায়, যারা আমার কারণেই একে অপরকে সাহায্য করে।” আহমাদ ও হাকেম সহিহ

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমাদের বন্ধু কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনগণ, যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে বিনীত হয়ে।” [সূরা আল-মায়েদা: ৫৫]

“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসল, আল্লাহর জন্য কাউকে ঘৃণা করল, আল্লাহর জন্য কাউকে দান করল এবং আল্লাহর জন্য কাউকে দান করা থেকে বিরত থাকল, সে ব্যক্তি নিজ ঈমানকে পূর্ণতা দান করল।” আবূ দাউদ: ৪৬৮৩

স্লাইডঃ ৩

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানিয়েছেন-

“আরশের চারিপাশে কতগুলো নূরের মিম্বার রয়েছে, যেগুলোর উপর একদল লোক অবস্থান করবে, যাদের পোশাকে নূর এবং চেহারাতেও নূর, তারা নবী নন এবং শহীদও নন, তাদের প্রতি ঈর্ষা করবে নবী ও শহীদগণ;

সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য তাদের একটা বর্ণনা পেশ করুন;

তখন তিনি বললেন: তারা হলেন আল্লাহ তা‘আলার উদ্দেশ্যে একে অপরকে মহব্বতকারী, পরস্পর আল্লাহ তা‘আলার উদ্দেশ্য বন্ধুত্ব স্থাপনকারী এবং আল্লাহ তা‘আলার উদ্দেশ্যে একে অপরের সাথে সাক্ষাৎকারী। নাসায়ী, আস-সুনান আল-কুবরা এবং হাদিসটি সহীহ।

সহিহ হাদীসে এসেছে–

এরূপ সাত ব্যক্তিকে সেদিন আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সুশীতল ছায়ায় স্থান দিবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না:

১. ন্যায় বিচারক ইমাম বা নেতা;

২. মহান আল্লাহর ইবাদতে মশগুল যুবক;

৩. মাসজিদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি— যখন সে মাসজিদ থেকে বের হয় আবার তাতে ফিরে আসা পর্যন্ত মন ব্যকুল থাকে;

৪. এমন দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই পরস্পর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়;

৫. এমন ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে দু’চোখের অশ্রু ঝরায়; ৬. এমন লোক, যাকে কোন সম্ভ্রান্ত সুন্দরী নারী ব্যভিচারের জন্য আহ্বান করেছে, আর তখন সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে: আমি তো আল্লাহকে ভয় করি;

৭. যে ব্যক্তি এমন গোপনীয়তা রক্ষা করে দান-সাদকা করে যে, তার ডান হাত কী দান করল বাম হাতও তা জানতে পারে না।”   বুখারী: ৬৪২১; মুসলিম : ২৪২৭

স্লাইডঃ৪

রাসুলুল্লাহ (সা.) সব সময় এই দোয়া করতেন :

اللَّهُمَّ ارزُقني حُبَّكَ، وحُبَّ مَنْ يَنْفَعُني حُبُّهُ عندَك

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মারজুকনি হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাঁইয়ানফানি হুব্বুহু ইনদাকা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে আপনার ভালোবাসা দান করুন এবং যার ভালোবাসা আপনার কাছে আমার জন্য উপকারী হয়, তার ভালোবাসাও দান করুন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯১)

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَالْعَمَلَ الَّذِيْ يُبَلِّغُنِي حُبَّكَ اَللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْ نَفْسِيْ وَأَهْلِيْ وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাই ইউহিব্বুকা ওয়াল আমালাল্লাজি ইউবাল্লিগুনি হুব্বাক, আল্লাহুম্মাজআল হুব্বাকা আহাব্বা ইলাইয়্যা মিন নাফসি ওয়া আহলি ওয়া মিনাল মা-ইল বারিদ।

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার ভালোবাসা চাই। যে আপনাকে ভালোবাসে তার ভালোবাসা চাই। এমন আমল করতে চাই যা আপনার ভালোবাসা পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। হে আল্লাহ! আপনার ভালোবাসা আমার কাছে আমার নিজের চেয়ে, আমার পরিবারের চেয়ে এবং ঠান্ডা পানির চেয়ে বেশি প্রিয় বানিয়ে দিন। (তিরমিজি, হাদিস : ৮৩৯০/ ৩৪৯০; রিয়াদুস সালিহিন, হাদিস : ১৪৯০)

اَللّٰهُمَّ ارزُقني حُبَّكَ، وحُبَّ مَنْ يَنْفَعُني حُبُّهُ عندَك، اللَّهُمَّ مَا رَزَقْتَني مِمَّا أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ قُوَّةً لِي فِيمَا تُحِبُّ، اَللّٰهُمَ مَا زَوَيْتَ عَنِّي مِمَّا أُحِبُّ فَاجْعَلْهُ فَرَاغاً لِي فِيمَا تُحِبُّ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মার যুক্বনি হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাই ইয়ানফাউনি হুব্বাহু ইনদাকা, আল্লাহুম্মার যুক্বনি মিম্মা উহিব্বু ফাজআলহু ক্বুওয়্যাতান-লি ফিমা তুহিব্বু। আল্লাহুম্মা মা যাওয়াইতা আন্নি মিম্মা উহিব্বু ফাজআলহু ফারাগান লি ফিমাতুহিব্বু।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার ভালোবাসা আমাকে দান করুন। এবং ওই ব্যক্তির ভালোবাসা আমাকে দান করুন, যার ভালোবাসা আপনার নিকটে আমাকে উপকার দিবে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার যে প্রিয় বস্তু রিযিক হিসেবে  দান করেছেন, সেগুলোকে আপনার ভালোবাসার বস্তুর শক্তিতে পরিণত করুন। হে আল্লাহ! আমি যা কিছু ভালোবাসি তার থেকে আপনি যা নিয়ে গেছেন, সেগুলোকে আপনি যা ভালোবাসেন তার জন্য মুক্ত স্থান বানিয়ে দিন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯১)

اَللّٰهُم إِنيْ أَسْئَلُكَ الشوْقَ إِلى لِقَائِكَ وَلَذةَ النظْرِ إِلى وَجْهِكَ الْكَرِيْمِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আছআলুকাশ শাওকা ইলা লিকায়িকা ওয়া লাজ্জাতান নাযরি ইলা ওয়াজহিকাল কারিম।

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার সাক্ষাতের আগ্রহ কামনা করছি এবং আপনার সম্মানিত চেহারার প্রতি দৃষ্টি দেয়া কামনা করছি। (নাসায়ি, হাদিস : ১৩০৫)

স্লাইডঃ৫

কবিতা(অনলাইন থেকে সংগৃহিত)

সর্বনাশা——

১।

জিহবা আমার সকল গোনাহ –

সর্বনাশের মূল,

এই জিহবা দিয়েই বলেছি মিথ্যে,

করেছি কত ভুল।

২।

অন্তরে যা ভাবনা এসেছে,

জিহবা দিয়েই করেছি তার স্বাদ পূরণ।

চলা-ফেরায় বলেছি মিথ্যে-

সবকিছুই ধরার স্বার্থে,

কখনও হয়নি আমার মুখে মিথ্যার মরণ!

৩।

দুনিয়ার যত অপকর্ম,

হেঁকেছি আমার জবানে।

অন্তরে তাই কালিমার দাগ,

অসৎ স্বপ্ন নয়নে।

৪।

ভুলে ভুলেই কেটেছে জীবন,

কোরান করেছি হেলা,

হায়ত শেষে সন্ধ্যা নামবে,

আহ্! ফুরিয়ে যাচ্ছে বেলা।

তবুও আমি মত্ত-বেহুশ –

ক্ষণ দুনিয়ার আশে,

ভাবিনি কখনও হাশরে আমি-

কি জবাব দেবো স্রষ্টার সকাশে।

৫।

বেলা শেষে অবেলায় এসে

অনুশোচনার আগুনে,

পরিতাপে মরছি আজি

কত ভুল করেছি এই জীবনে!

৬।

আমার মতো হতভাগা নেই

এই অবনির বুকে,

ক্ষমা কর প্রভু মম অপরাধ,

তারপর দিও মৃত্যুর স্বাদ

মহা-প্রলয়ে করো না আমায়

লজ্জিত লোক সম্মুখে!

রাত পোহালে ঈদ(আসাদ বিন হাফিজ..)

রাত পোহালে ঈদ

তাড়াও চোখের নিঁদ

খুশির ছটা বুকে নিয়ে

দূর করে দাও জিদ।

আজকে বাসো ভালো

তাড়াও মনের কালো

মিষ্টি চাঁদের হাসি দেখে

হৃদয় করো আলো।

নিজকে নিজে গড়ো

বিশ্বটাকে পড়ো

ঈদের খুশির খুশবু মেখে

হৃদয় করো বড়ো।

স্লাইডঃ ৬

ইসলামিক কুইজ-১

১। কোন সূরার অপর নাম ‘সূরা ফুসসিলাত’?

২। কোন সাহাবীর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল?

৩। আর-রাহীকুল মাখতুম’ অর্থ কি?

৪। রাসূল (সা)-কে সালাত শিক্ষা দিয়েছেন কে?

৫। সর্বপ্রথম মুসলিমগণ কোথায় হিজরত করেন এবং কখন?

ইসলামিক কুইজ-২

১। নবী (সাঃ) এর কতজন মুআয্‌যিন ছিলেন?

২। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সাহাবীর নিকট থেকে কুরআন তেলাওয়াত শুনেছেন?

৩। কোন সাহাবীকে তরজুমানুল কুরআন (কুরআনের অনুবাদক) ও সাইয়্যেদুল মুফাস্‌সিরীন (শ্রেষ্ঠ তাফসীরকারক) বলা হত?

৪। কোন সাহাবীর জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুআ করেছিলেন, “হে আল্লাহ তাকে দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান কর এবং কুরআনের তাফসীর শিক্ষা দান কর”?

৫। অন্তরের মদ বলা হয় কোন জিনিসকে?

ইসলামিক কুইজ-১ উত্তর

১। উ: সূরা হা-মীম সাজদাহ্।

২। উ: সা’দ বিন মুআয (রা)।

৩। উ: মোহরাঙ্কিত জান্নাতি সুধা।

৪। উ: জিবরাঈল (আ)।

৫। উঃ নবুওতের ৫ম বর্ষে সর্বপ্রথম মুসলমানগণ হাবশায় (বর্তমানে আফ্রিকার ইথিউপিয়া নামক দেশ) হিজরত করেন।

ইসলামিক কুইজ-২ উত্তর

১। উত্তরঃ তিনজন। বেলাল বিন রাবাহ, আবদুল্লাহ বিন উম্মে মাকতূম ও আবু মাহযূরা (রাঃ)।

২। উত্তরঃ আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ)

৩। উত্তরঃ আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ)।

৪। উত্তরঃ আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ)।

৫। উ: গানকে।

স্লাইডঃ ৭

দৃষ্টি শক্তি ও স্মরন শক্তির পরীক্ষা

১। সূরা আদ দুহাঃ আয়াত ৫

২। সূরা হুজুরাতঃ আয়াত ৫

৩। সূরা যুখরুফঃ ৬৭

৪। সহিহ মুসলিমঃ ৬৪৪১

৫। আবু দাউদ

স্লাইডঃ ৮

স্থান দুটোর পরিচয় ও মাহাত্ম কি?

মক্কায় কাবা ঘরের অংশ-হাতিম

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হিজর সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন? তিনি বলেন: হিজর কাবার অংশ”। বুখারী ও মুসলিম। তিরমিযীর বর্ণনায়, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন: হে আল্লাহর রাসূল, আমি বায়তুল্লায় সালাত আদায় করার মান্নত করেছি? তিনি বলেন: “হিজরে সালাত আদায় কর, কারণ হিজর বায়তুল্লাহর অংশ”।

কা‘বার রুকনে শামি ও রুকনে ইরাকির উত্তর পাশের ত্রিভুজ আকৃতির অংশকে ‘হিজর’ বলা হয়, বর্তমান যা অর্ধ গোলাকার বৃত্ত (বা দেয়াল) ঘেরা। ইবরাহীম ও ইসমাঈল আলাইহিমাস সালামের নির্মিত মূল কাবার অংশ হিজর। যখন আগুন লেগে ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে কা‘বার দেয়ালের অংশ বিশেষ ভেঙ্গে পড়ে, কুরাইশরা অবশিষ্ট দেয়াল ভেঙ্গে নতুনভাবে কাবা নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে, কিন্তু ইবরাহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভিত্তির উপর নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় হালাল অর্থ তাদের জোগাড় হয় নি। কারণ, তারা শর্ত করেছিল কাবার নির্মাণে হারাম অর্থ ব্যবহার করবে না, যেমন ব্যভিচারীর মোহর, সুদ ও অপরের হক ইত্যাদি, তাই উত্তর পাশের কিছু অংশ ছেড়ে কাবা নির্মাণ করা হয়, ছেড়ে দেওয়া অংশ পাথরের দেয়াল দিয়ে সাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়, যেন মানুষ বুঝে এটাও কাবার অংশ এবং তার বাইর দিয়ে তাওয়াফ করে। এ কারণে অত্র অংশকে হিজর বলা হয়, কারণ হিজর অর্থ নিষিদ্ধ করা। এটা ছিল নবুওয়াতের পূর্বের ঘটনা।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন, “হিজর কাবার অংশ কি না? তিনি বলেন: হ্যাঁ, আয়েশা বলেন, তাহলে কেন তারা এটাকে কাবার অন্তর্ভুক্ত করে নি, তিনি বলেন: তোমার কওমের অর্থ সংকট হয়েছিল”। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫৮৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৩৩।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন: আমি আল্লাহর ঘরে সালাত আদায় করতে পছন্দ করি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে হিজরে দাখিল করেন, এবং বলেন “হিজরে সালাত পড় যদি ঘরে প্রবেশ করতে চাও, কারণ এটাও ঘরের অংশ, তোমার কওম কাবা নির্মাণ করার সময় মূল ঘর থেকে হিজর বাইরে রেখে দেয়”। আবু দাউদ, হাদীস নং ২০২৮; তিরমিযী, হাদীস নং ৮৭৬; নাসাঈ, হাদীস নং ২৯১২।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যদি তোমার কওম শিরকি যুগের নিকটবর্তী না হত, আমি কাবা ভেঙ্গে (তার মেঝটি) মাটির সমান করে দিতাম এবং পূর্ব ও পশ্চিমে দু’টি দরোজা রাখতাম, (একটি প্রবেশ করার ও অপরটি বের হওয়ার), আর হিজরের দিক থেকে কাবা ছয় হাত বাড়িয়ে দিতাম, কারণ কুরাইশরা কাবা নির্মাণ করার সময় তা বাদ দিয়েছে”। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩৬৯।

ইবন উসাইমীনকে হিজর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি বলেন: “অনেকে হিজরকে হিজরে ইসমাইল বলে যার পশ্চাতে কোনো ভিত্তি নেই। কারণ, ইসমাইল হিজর সম্পর্কে জানতেন না, তাই এটাকে হিজরে ইসমাইল না বলে শুধু হিজর বলাই শ্রেয়”। ফতোয়া: (১২/৩৯৮)।

হিজরকে হাতীমও বলা হয়: হাতীম অর্থ ভাঙ্গা বস্তু, মক্কার কুরাইশরা কাবা নির্মাণ করার সময় হাতীম ছোট দেয়াল ঘেরা করে দেয়। দেয়ালটি কাবার সমপরিমাণ ছিল না, অনেকটা অসম্পূর্ণ ও উপর থেকে ভাঙ্গা দেয়ালের মতো ছিল, তাই এটাকে হাতীম বলা হয়।

কেউ বলেছেন: মক্কার লোকেরা এখানে পরস্পর চুক্তিতে আবদ্ধ হত ও বিভিন্ন শপথ করত, কেউ তার খেলাফ করলে ধ্বংস হয়ে যেত তাই এটাকে হাতীম বলা হয়। কারণ, হাতীম অর্থ ধ্বংস। কেউ বলেছেন: মক্কার লোকেরা তাওয়াফের কাপড় এখানে রেখে দিত এবং এখানেই সেগুলো ধ্বংস হত তাই এটাকে হাতীম বলা হয়।

মোদ্দাকথা, হাতীম কাবার অংশ, এতে সালাত আদায় করার অর্থ কাবার ভেতর সালাত আদায় করা, কাবার ভেতর ফরয আদায় করা অনেকের নিকট বৈধ নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবার ভেতর ফরয সালাত আদায় করেন নি। কারণ, এভাবে সালাত আদায় করলে কাবার কিয়দংশ পশ্চাদমুখী হয়, যা ফরয সালাতে বৈধ নয়, নফল সালাতে বৈধ, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহনে চড়ে নফল আদায় করতেন, যে দিকে তার মুখ হত ভ্রুক্ষেপ করতেন না।

মদিনায় জান্নাতের বাগান রিয়াদুল জান্নাত

আবূ হুরায়রা (রা.) হতে আরও বর্ণিত, নাবী (সা.) বলেন:

صَلَاةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ صَلَاةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلَّا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ

আমার এ মাসজিদে একটি সলাত আদায় করা মাসজিদে হারাম ছাড়া অন্য সকল মাসজিদের তুলনায় এক হাযার গুণ সলাত অপেক্ষা উত্তম। সহীহ বুখারী ১১৯০ ও সহীহ মুসলিম ১৩৯৪, তিরমিযী ৩২৫

আর ইমাম আহমাদ আব্দুল্লাহ বিন যুবায়রের হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন:

মাসজিদে হারামে এক সলাত আদায় করা এ মাসজিদে (মদীনার মাসজিদে নাববীতে) একশত সলাত আদায় করা অপেক্ষা উত্তম। সহীহ: মুসনাদে আহমাদ ১৬১১৭।

আর নাবী (সা.)-এর সহধর্মিনী মায়মূনা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি: এ মসজিদে (মাসজিদে নাববীতে) এক সলাত আদায় করা কা‘বার মাসজিদ ছাড়া অন্য সকল মাসজিদের তুলনায় এক হাযার গুণ সলাত অপেক্ষা উত্তম। সহীহ মুসলিম ১৩৯৪।

আবূ হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নাবী (সা.) বলেন:

আমার ঘর এবং মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগানসমূহের একটি বাগান। আর আমার মিম্বার আমার হাওযে কাওসারে অবস্থিত হবে। সহীহ বুখারী ১১৯৬, তিরমিযী ৩৯১৫, সহীহ মুসলিম ১৩৯১।

যে ব্যক্তি মসজিদে নববী যিয়ারত করবেন তার জন্য রিয়াযুল/রিয়াদুল জান্নাতে দুই রাকাত নামায আদায় করা কিংবা যত রাকাত তিনি পারেন নামায পড়া বিধানসম্মত। যেহেতু এর ফযিলত সাব্যস্ত। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন: “আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মাঝের স্থানটুকু- রাওদাতুন মিন রিয়াদিল জান্নাহ (জান্নাতের এক টুকরা বাগান) এবং আমার হাউজ আমার মিম্বরের উপর রয়েছে।”[সহিহ বুখারী (১১৯৬) ও সহিহ মুসলিম (১৩৯১)]

ইয়াজিদ ইবনে আবু উবাইদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি সালামা বিন আকওয়া এর সাথে আসতাম এবং মুসহাফের নিকটবর্তী পিলারের কাছে নামায পড়তাম। অর্থাৎ রিয়াদুল জান্নাতে। আমি বললাম: হে আবু মুসলিম, আপনাকে দেখি এ পিলারের কাছে নামায পড়তে বেশি আগ্রহী? তিনি বলেন: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ পিলারের কাছে নামায পড়তে আগ্রহী দেখেছি।[সহিহ বুখারী (৫০২) ও সহিহ মুসলিম (৫০৯)]

স্লাইড-৯

১০+১০+১০= ৩০

১০+৫+৫= ২০

৫+২+২=   ৯

১০+ ৫x২ = ২০

১. কোন জিনিসটা এগোতে পারে, পেছাতে পারে; কিন্তু কখনোই ঘোরে না?

২. কোন বিষয়টি মিনিটে একবার আছে কিন্তু বছরে একবারও নেই?

৩. কেমন করে একটি পেনসিল ঘরে রাখবে যাতে পেনসিলটিকে কেউ টপকাতে পারবে না?

৪. কোন মাসে মানুষ কম ঘুমায়?

৫. কোন ভাষায় মানুষ কথা না বলেই মনের ভাব প্রকাশ করে?

৬. কোন বিষয়টির নাম উচ্চারণ করলেই সেই বিষয়টি শেষ হয়ে যায়?

৭. তিনজন ডাক্তার বলেছেন বদরুল তাদের ছোট ভাই। বদরুল বলেছেন তার কোনো ভাই নেই। কে মিথ্যে কথা বলেছে?

৮. দেয়ালের মাঝখান দিয়ে দেখার জন্য কী দরকার?

উত্তর

১. রাস্তা ২. ইংরেজি শব্দ ‘এম ৩. দেয়ালের সঙ্গে পেনসিলটিকে লাগিয়ে রাখতে হবে।

৪. ফেব্রুয়ারি ৫. অঙ্গভঙ্গি ৬. নীরবতা ৭. কেউই নয়, তিন ডাক্তার হলেন বদরুলের তিন বোন! ৮. জানালা

****  মানুষের পাঁচ আঙুল থেকেও নেই প্রাণ, বল তো জিনিসটার কী নাম?  উত্তর : দস্তানা।

—-তোমাকে শুকিয়ে নিজে সে ভিজে, উত্তরটা বলো দেখি, চেষ্টা করে নিজে?  উত্তর : টাওয়েল বা গামছা।

—-বেড়ে যদি যায় একবার, কোনোভাবেই কমে না আর?  উত্তর : মানুষের বয়স।

——জিনিসটা একেবারেই তোমার, অথচ ব্যবহার করে অন্যে, বারবার?  উত্তর : তোমার নাম।

—-হাজার বছরের পুরোনো হয়েও বয়স তার এক মাস, আমাদের মাথার ওপরই জিনিসটার বাস? চাঁদ

—— কোন নামাজে রুকু সেজদা করতে হয়না….. জানাযার সালাত

 

স্লাইড-১০

হেদায়েত সংক্রান্ত কিছু আল কুর’আনের বানীঃ

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন—-

১৮:২৯ وَ قُلِ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّکُمۡ ۟ فَمَنۡ شَآءَ فَلۡیُؤۡمِنۡ وَّ مَنۡ شَآءَ فَلۡیَکۡفُرۡ ۙ اِنَّاۤ اَعۡتَدۡنَا لِلظّٰلِمِیۡنَ نَارًا ۙ اَحَاطَ بِهِمۡ سُرَادِقُهَا ؕ وَ اِنۡ یَّسۡتَغِیۡثُوۡا یُغَاثُوۡا بِمَآءٍ کَالۡمُهۡلِ یَشۡوِی الۡوُجُوۡهَ ؕ بِئۡسَ الشَّرَابُ ؕ وَ سَآءَتۡ مُرۡتَفَقًا ﴿۲۹﴾

আর বলুন, সত্য তোমাদের রব-এর কাছ থেকে; কাজেই যার ইচ্ছে ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছে কুফরী করুক। নিশ্চয় আমরা যালেমদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি আগুন, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে; এটা নিকৃষ্ট পানীয়! আর জাহান্নাম কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! কাহাফঃ২৯

‘সত্য তোমাদের রব-এর কাছ থেকে; কাজেই যার ইচ্ছা ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছা কুফরী করুক।’[সূরা কাহাফ: ২৯]

১০:১০৮ قُلۡ یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ قَدۡ جَآءَکُمُ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّکُمۡ ۚ فَمَنِ اهۡتَدٰی فَاِنَّمَا یَهۡتَدِیۡ لِنَفۡسِهٖ ۚ وَ مَنۡ ضَلَّ فَاِنَّمَا یَضِلُّ عَلَیۡهَا ۚ وَ مَاۤ اَنَا عَلَیۡکُمۡ بِوَکِیۡلٍ ﴿۱۰۸﴾ؕ

“বলুন, ‘হে লোকসকল! অবশ্যই তোমাদের রবের কাছ থেকে তোমাদের কাছে সত্য এসেছে। কাজেই যারা সৎপথ অবলম্বন করবে তারা তো নিজেদেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করবে এবং যারা পথভ্রষ্ট হবে তারা তো পথভ্রষ্ট হবে নিজেদেরই ধ্বংসের জন্য এবং আমি তোমাদের উপর হাবিলদার নই।”[সূরা ইউনুস: ১০৮]

২:২৫৬ لَاۤ اِکۡرَاهَ فِی الدِّیۡنِ ۟ۙ قَدۡ تَّبَیَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَیِّ ۚ فَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ وَ یُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰهِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَکَ بِالۡعُرۡوَۃِ الۡوُثۡقٰی ٭ لَا انۡفِصَامَ لَهَا ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۵۶

দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে কেন জোর-জবরদস্তি নেই; সত্য পথ সুস্পষ্ট হয়েছে ভ্রান্ত পথ থেকে। অতএব, যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক দৃঢ়তর রজ্জু ধারন করল যা কখনো ভাঙ্গবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। [সূরা বাক্বারা: ২৫৬]

৪১:৪৬ مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفۡسِهٖ وَ مَنۡ اَسَآءَ فَعَلَیۡهَا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِظَلَّامٍ لِّلۡعَبِیۡدِ ﴿۴۶

“যে ব্যক্তি কোন নেক আমল করে সেটি তার নিজের জন্যই। আর যে ব্যক্তি কোন বদ আমল করে সেটিও তার নিজের জন্যই্। আপনার প্রভু বান্দাদের প্রতি জুলুমকারী নন।”[সূরা ফুস্‌সিলাত: ৪৬]

৪৭:১৭ وَ الَّذِیۡنَ اهۡتَدَوۡا زَادَهُمۡ هُدًی وَّ اٰتٰهُمۡ تَقۡوٰىهُمۡ ﴿۱۷

“আর যারা হেদায়েতের পথ গ্রহণ করেছে আল্লাহ তাদের হেদায়াত বৃদ্ধি করেন এবং তাদেরকে তাদের তাকওয়া দান করেন।” [সূরা মুহাম্মদ: ১৭]

৭৬:৩ اِنَّا هَدَیۡنٰهُ السَّبِیۡلَ اِمَّا شَاکِرًا وَّ اِمَّا کَفُوۡرًا ﴿۳

“নিশ্চয় আমরা তাকে পথ দেখিয়েছি— হয় সে কৃতজ্ঞ হবে; না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।”[সূরা ইনসান/দাহর: ৩]

৯১:৯ قَدۡ اَفۡلَحَ مَنۡ زَکّٰىهَا ۪ۙ﴿

“সে-ই সফলকাম হয়েছে যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করেছে।” [সূরা আশ-শামস:৯]

৯১:১০ وَ قَدۡ خَابَ مَنۡ دَسّٰىهَا ﴿ؕ۱۰

“আর সে-ই ব্যর্থ হয়েছে, যে নিজেকে কলুষিত করেছে।”  [সূরা আশ-শামস: ১০]

২৯:১৮ وَ اِنۡ تُکَذِّبُوۡا فَقَدۡ کَذَّبَ اُمَمٌ مِّنۡ قَبۡلِکُمۡ ؕ وَ مَا عَلَی الرَّسُوۡلِ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۱۸﴾

আর যদি তোমরা মিথ্যারোপ কর তবে তো তোমাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল। সুস্পষ্টভাবে প্রচার করা ছাড়া রাসূলের আর কোন দায়িত্ব নেই। সূরা আনকাবুত: ১৮]

সর্বশেষে সূরা লাইলের আয়াত সমূহ সামনে নিয়ে এসে চিন্তা করি—

৯২:৪ اِنَّ سَعۡیَکُمۡ لَشَتّٰی ؕ﴿۴﴾

৯২:৫ فَاَمَّا مَنۡ اَعۡطٰی وَ اتَّقٰی ۙ﴿۵﴾

৯২:৬ وَ صَدَّقَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ﴿۶﴾

৯২:৭ فَسَنُیَسِّرُهٗ لِلۡیُسۡرٰی ؕ﴿۷﴾

নিশ্চয় তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকৃতির।

কাজেই কেউ দান করলে, তাকওয়া অবলম্বন করলে,

এবং যা উত্তম তা সত্য বলে গ্ৰহণ করলে,

আমরা তার জন্য সুগম করে দেব সহজ পথ। সূরা লাইলঃ ৪-৭

 

৯২:৮ وَ اَمَّا مَنۡۢ بَخِلَ وَ اسۡتَغۡنٰی ۙ﴿

৯২:৯ وَ کَذَّبَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ﴿۹

৯২:১০ فَسَنُیَسِّرُهٗ لِلۡعُسۡرٰی

আর কেউ কার্পণ্য করলে এবং নিজেরা অমুখাপেক্ষী মনে করলে,

আর যা উত্তম তাতে মিথ্যারোপ করলে,

তার জন্য আমরা সুগম করে দেব কঠোর পথ। সূরা লাইলঃ ৮-১০

স্লাইডঃ ১১

অগ্রপ্রাণে চলবো আমি—-(অনলাইন থেকে সংগৃহিত)

আল্লাহ যদি হয় গো আমার

চাইনা তো আর কিছু,

এই দুনিয়া থাক পড়ে থাক

সব রয়ে যাক পিছু।

 

অগ্রপ্রাণে চলবো আমি

আল্লাহকে পেয়ে,

পিছুলোকে করুক গীবত

যাবো সব যাতনা সয়ে।

এই দুনিয়া চাই না আমি

চাই যে আখের ফসল,

বিলাসীতা সবই ধোকা

পরকালই আসল।

সব বুঝেছি, তাই খুঁজেছি

পরকালের অন্ন,

এই জীবন-মরণ সবকিছুই

প্রভু তোমার জন্য।

জাযাকুমুল্লাহি খাইরান